ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্যামসনের লিস্ট-এ কাঁপিয়ে দেয়া ডাবল সেঞ্চুরি

প্রকাশিত: ১২:২১, ১৩ অক্টোবর ২০১৯

স্যামসনের লিস্ট-এ কাঁপিয়ে দেয়া ডাবল সেঞ্চুরি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘ঋষভ পন্থকে ছাড়া উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে যদি কাউকে বেছে নিতে বলা হয় তবে আমি সঞ্জু স্যামসনকেই নেব। কিপিংয়ের পাশাপাশি ওর ব্যাটিংটাও অসাধারণ।’ আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে স্যামসনের পারফর্মেন্স দেখে বলছিলেন গ্রেট সুনীল গাভাস্কার। ভারতের হয়ে একটি মাত্র টি২০ খেলা স্যামসন এবার ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে লিস্ট-এ ক্রিকেটে রেকর্ড বইয়ের অনেক পরিসংখ্যানই নাড়িয়ে দিলেন। চলতি বিজয় হাজারে ট্রফিতে শনিবার কেরলের হয়ে গোয়ার বিপক্ষে ২০ চার ও ১০ ছক্কায় ১২৯ বলে খেলেছেন ২১২ রানের টর্নেডো ইনিংস। সর্বোপরি পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে যা দ্বিতীয় দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরি। আর উইকেরক্ষক হিসেবে লিস্ট-এ ম্যাচে এটিই নতুন বিশ্ব রেকর্ড। ২৪ বছর বয়সী স্যামসন এদিন ষষ্ঠ ভারতীয় হিসেবে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে গ্রেট শচীন টেন্ডুলকর-বিরেন্দর শেবাগদের পাশে নাম লিখিয়েছেন। বাকিরা হলেনÑ রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান ও কর্ণ কৌশল। এর মধ্যে শচীন, শেবাগ ও রোহিত আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতেই এমন কীর্তি গড়েন। অর্থাৎ ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে লিস্ট-এ ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি পেলেন স্যামসন। ১২৯ বলে ২১২ রানের পথে ১২৫ বলে ডাবল সেঞ্চুরিতে পা রাখেন তিনি। যা ভারতের হয়ে দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড। ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা- এ দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে অপরাজিত ২৪৮ রানের পথে ১৩২ বলে ডাবল সেঞ্চরি হাঁকিয়ে এতদিন রেকর্ডটা ছিল ধাওয়ানের দখলে। আর সর্বোপরি বিশ্বব্যাপী লিস্ট-এ ম্যাচে ১২০ বলে দ্রুত ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার ট্রফি হেডের দখলে। তবে উইকেটরক্ষক হিসেবে ঠিকই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন স্যামসন। ২০১৮ সালে পাকিস্তানের ঘরোয়া ওয়ানডে টুর্নামেন্টে অপরাজিত ২০৮ রান করেছিলেন আবিদ আলি। স্যামসন ছাড়িয়ে গেছেন তাকে। আর ভারতের ঘরোয়া লিস্ট-এ ম্যাচে উইকেটরক্ষক হিসেবে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের পথে তিনি পেছনে ফেলেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। কিংবদন্তি অধিনায়কের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ছিল অপরাজিত ১৮৩। তবে সঞ্চুই একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি ৫০ ওভারের কোন ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাটিং করে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকালেন। শচীন, শেবাগ, রোহিত, ধাওয়ান, কৌশল, হেড, সবাই ওপেনিংয়ে নেমে ওই কীর্তি গড়েছিলেন। ভারত অনুর্ধ-১৯ দলের হয়ে দারুণ নৈপুণ্যে জমজমাট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) অল্প বয়সেই সুযোগ পান স্যামসন। ভিন্ন ভিন্ন মৌসুমে খেলেন দিল্লী ডেয়ারডেভিলস, কলকাতা নাইটরাইডার্স ও রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে। ২০১৬ সালে একমাত্র আন্তর্জাতিক টি২০ খেলা স্যামসন ভালমতোই ভারতীয় নির্বাচকদের রাডারে আছেন। ইতি টানলেন এ্যান্ডি ফ্লাওয়ার স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইংলিশদের সঙ্গে এক যুগের সম্পর্কের ইতি টানলেন এ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। ইংল্যান্ড এ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সঙ্গে এ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের যাত্রার শুরু ২০০৭ সালে, ওই সময়ের কোচ পিটার মুরের সহকারী হিসেবে। পরে ২০০৯ সালে প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পান জিম্বাবুইয়ের সাবেক অধিনায়ক। ২০১৪ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের মেয়াদকালে তার অধীনে তিনটি এ্যাশেজ সিরিজ ও ২০১০ সালে টি২০ বিশ্বকাপ জয় করে ইংল্যান্ড। ২০১১ সালে টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছিল দলটি। ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমের পর ফ্লাওয়ারের অধীনেই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এ্যাশেজ জিতেছিল ইংল্যান্ড। তবে ২০১৩-১৪ এ্যাশেজে ভরাডুবির পর পদত্যাগ করেন। দায়িত্ব নেন ইংল্যান্ড লায়ন্স দলের, ‘টেকনিক্যাল ডিরেক্টর অব এলিট ক্রিকেট’ হিসেবে।
×