ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রীলঙ্কা সিরিজে সরফরাজই অধিনায়ক

প্রকাশিত: ১২:০৬, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

শ্রীলঙ্কা সিরিজে সরফরাজই অধিনায়ক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ একটুর জন্য বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি পাকিস্তান। সরফরাজ আহমেদের দল শেষ করে পাঁচ নম্বরে থেকে। ব্যাটিংয়ে-নেতৃত্বে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ অধিনায়ক কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন। তাকে সরিয়ে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেয়ার দাবি ওঠে। তবে আপাতত সেই পথে হাঁটছে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ঘরের মাটিতে আসন্ন শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ওয়ানডে ও টি২০ সিরিজে সরফরাজই নেতৃত্ব দেবেন বলে নিশ্চিত করেছে পিসিবি। মিসবাহ-উল হক প্রধান নির্বাচক ও প্রধান কোচের দায়িত্ব নেয়ার পর পাকিস্তান ক্রিকেটে এটিই প্রথম কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। সাবেক অধিনায়ক জানিয়েছেন, আপাতত দলে স্থিতিশীলতা বজায় রেখে সবকিছু গুছিয়ে নিতে চান তিনি। আর সরফরাজও মিসবাহর অধীনে কাজ করতে মুখিয়ে আছেন। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পাকিস্তানের মাটিতে আসন্ন সিরিজের ভাগ্য অবশ্য এখনও অনিশ্চিত। কারণ নতুন করে পাওয়া হুমকির প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনরায় খতিয়ে দেখাতে চাইছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। দেশটির সরকারও সেটা চাইছে। পাকিস্তান ক্রিকেটে এই মুহূর্তে অসীম ক্ষমতার অধিকারী মিসাবহ বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে সরফরাজের নাম সুপারিশ করাটা ধারাবাহিকতার জন্য। সবচেয়ে বড় কথা হলো সরফরাজের ভেতর থেকে সেরাটা বের করে আনা আমার পক্ষে সম্ভব। কারণ বেশিরভাগ ক্রিকেটারের চেয়ে আমি অনেক ভাল জানি তার সম্পর্কে, সে বেশিরভাগ ম্যাচ খেলেছে আমার অধিনায়কত্বে।’ অন্যদিকে মিসবাহর অধীনে কাজ করতে আগ্রহী সরফরাজও। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেট দলের নেতৃত্ব উপভোগ করছি। মিসবাহ-উল-হকের নতুন সেটআপের অধীনে আমি আমার নেতৃত্বের জায়গা আরও উন্নতি করতে পারব। অধিনায়ক হিসেবে মিসবাহর সাফল্য তার রেকর্ডই বলে দেয়। তার অধীনে আমি আমার ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ ম্যাচ খেলেছি, তাই দু’জনের জানাশোনা খুব ভাল। আমার মনে হয়, আমাদের সমন্বয় ভাল হবে।’ ২০১৭ সালের এপ্রিলে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি২০ তিন সংস্করণে পাকিস্তান দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়ার দুই মাস পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে নেতৃত্ব দেন সরফরাজ। ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে হারিয়ে রীতিমতো বীরের মর্যাদা পান তিনি। তারপর থেকেই ব্যর্থতা জেঁকে ধরে। ওয়ানডেতে টানা হারের রেকর্ড নিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে যান সরফরাজ। সেখানে শুরুটা অত্যন্ত বাজে হলেও শেষ পর্যন্ত সেমির রেসে ফিরেছিল পাকিস্তান। একটুর জন্য সেটি আর হয়ে ওঠেনি। পিসিবি এবং কোচিং স্টাফে আসে ব্যাপক পরিবর্তন। চাকরি হারান কোচ মিকি আর্থারসহ আরও অনেকেই। শেষ মহূর্তে আবেদন করে প্রধান কোচ হন মিসাবহ। একই সঙ্গে দলের প্রধান নির্বাকের দায়িত্ব পান। অনেকদিন পর বোলিং কোচ হিসেবে ফিরিয়ে আনা হয় আরেক গ্রেট ওয়াকার ইউনুসকে।
×