ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শীতের সবজির দাম চড়া

রাজধানীর বাজারে ইলিশের ছড়াছড়ি ॥ অন্য পণ্যে স্বস্তি

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

রাজধানীর বাজারে ইলিশের ছড়াছড়ি ॥ অন্য পণ্যে স্বস্তি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ভাদ্র মাসের সুস্বাদু ইলিশ মাছের ছড়াছড়ি রাজধানীর বাজারগুলোতে। অন্য সময়ের চেয়ে কিছুটা সস্তায় পেয়ে ক্রেতারা বাজারের ব্যাগ ভরছেন ইলিশ দিয়ে। কারণ মৌসুম শেষ হলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে ইলিশ ধরার ওপর। এছাড়া শীতের ছোট সাইজের ইলিশের সেই স্বাদও পাওয়া যায় না। এ কারণে বাজার থেকে তো বটেই-ঢাকার গলির মোড়ে বসে থাকা মৌসুমি ইলিশ বিক্রেতার কাছ থেকেও মাছ কিনছেন ভোক্তারা। কেউ কেউ বেশি করে ইলিশ মাছ কিনে ফ্রিজে মজুত করে রাখছেন। প্রতিটি এক কেজি সাইজের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৯শ’ থেকে ১২শ’ টাকায়। ৫০০-৬০০ গ্রাম সাইজের মাছের দাম বেশ সস্তা। প্রতিটি আধাকেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকায়। সরবরাহ বাড়ায় জাতীয় এই মাছটির দাম আরও কমার কথা জানিয়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। এদিকে, ভোগ্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি আছে চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও আটার দামে। এসব পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে কোরবানির পরও মসলা জাতীয় তিন পণ্য পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম কমছে না। সরকারী সংস্থা টিসিবি’র তথ্যমতে, প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০, রসুন ১৪০-১৭০ ও আদা ১৩০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা পর্যায়ে। আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। অথচ দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে। শুধু তাই নয়, আর মাত্র এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ উঠা শুরু হবে। এ অবস্থায় কেন দাম কমছে না এ প্রশ্নের উত্তর নেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, এবার কোরবানি ঈদের আগে থেকে দাম বাড়ানোর একটি অপচেষ্টা গ্রহণ করে অসাধু ব্যবসায়ীরা। ওই সময় এক লাফে ৩০ টাকার পেঁয়াজ ৫৫-৬৫ টাকা হয়ে যায়। কিন্তু রাষ্ট্রীয় সংস্থা টিসিবি পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণা দিলে সেই সময় দাম বাড়ানোর অপচেষ্টা থেকে সরে আসে ব্যবসায়ীরা। এ কারণে কোরবানির সময় এবার মসলা জাতীয় পণ্যের দাম কিছুটা বাড়লে ভোক্তামহলে এ নিয়ে তেমন আপত্তি ছিল না। কিন্তু এখন দাম না কমে বরং বাড়ার ঘটনায় ভোক্তাদের অস্বস্তি বাড়ছে। কাওরান বাজরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হালিম মাতুব্বর জনকণ্ঠকে বলেন, আমদানি পর্যায়ে দাম বেশি হওয়ার কারণে খুচরা বাজারে দাম বেড়ে গেছে। তবে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসলেই বাজার আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠবে। এদিকে, বাজারে শীতের আগাম সবজি উঠলেও দাম চড়া। একমাত্র আলু ছাড়া ৬০ টাকার নিচে কোন সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। সবজির পাশাপাশি দেশীয় জাতের সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। প্রতিকেজি রুই ৩৫০-৪৫০, সরপুঁটি ২৫০-৩০০, চিংড়ি ৮০০-১২০০ টাকা কেজি, পাবদা ৫৫০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরু ও খাসির মাংস আগের দামে বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।
×