ইরানের কয়েকজন উর্ধতন কূটনীতিকের ফ্রান্স ও রাশিয়া সফরের মধ্যেই সরকারের এক মুখপাত্র সোমবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ইউরোপের কাছ থেকে চুক্তির বিষয়ে নতুন কোন প্রস্তাব না পেলে তেহরান কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। বৈশ্বিক বাজারে তেহরানের অপরিশোধিত তেল বিক্রির জন্য ইউরোপকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়ার মন্তব্যটি করেছেন আলী রাব্বি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তেহনার চুক্তি থেকে বের হয়ে যাবার পর ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। অপরিশোধিত তেল বিক্রিতে তৈরি হয় বাধা। সোমবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ যখন মস্কোতে ছিলেন তখন তার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্যারিসে ফ্রান্সের অর্থনীতিবিদের একটি দলের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। -এপি
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো গত সপ্তাহে জাভেদ জারিফকে গ্রুপ সেভেন সামিটে আমন্ত্রণ জানানোর পর ইরানের তরফ থেকে সর্বশেষ এই মন্তব্যটি এলো। সোমবার তেহরানে ‘চুক্তির জন্য চুক্তি’ শীর্ষক শিরোনামে সংবাদ সম্মেলন করে রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিক রাব্বি সাংবাদিকদের কাছে ইরানের কৌশল বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘ইরানের তেল অবশ্যই ক্রয় করতে হবে এবং এর অর্থ ইরানে ফিরে আসা জরুরী।’ আসলে যা-ই বলা হোক না কেন, ইরানের পরমাণু ইস্যুই এখন আলোচনার বিষয়বস্তু। যে দেশ ইরানের অপরিশোধিত তেল ক্রয় করবে সে দেশটিই যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন হয়ে পড়বে এবং মার্কিন অর্থনৈতিক বাজারে তারা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে ইরান ইতোমধ্যে তার সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) গত সপ্তাহে নিশ্চিত করেছে যে, ইরানের স্বল্পমাত্রার ইউরেনিয়াম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। জাতিসংঘের সংস্থাটি আরও জানায়, যেখানে ৩.৬৭ শতাংশের বেশি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার নিয়ম নেই সেখানে এখন পর্যন্ত ইরান ৪.৫ শতাংশ সমৃদ্ধ অব্যাহত রেখেছে। শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য ৩.৬৭ শতাংশ ইউরেনিয়াম যথেষ্ট এবং পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য যে শক্তি দরকার হয় তারচেয়ে এটি পরিমাণে অনেক কম।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: