ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘কবি মেহেরুন্নেসা আমাদের ইতিহাসের অংশ’

প্রকাশিত: ১১:২৭, ২৯ আগস্ট ২০১৯

‘কবি মেহেরুন্নেসা আমাদের ইতিহাসের অংশ’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাটক, ডকুফিকশন চলচ্চিত্র, চিত্র প্রদর্শনী আর কথামালায় বাংলাদেশের প্রথম শহীদ মহিলা কবি মেহেরুন্নেসার ৭৭তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয় রাজধানীর বনানীর ক্যানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’র সেমিনার কক্ষে বুধবার দুপুরে। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে স্বপ্নকলা সাংস্কৃতিক ভুবন ও কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি ফিল্ম এ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগ। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন স্বপ্নকলা সাংস্কৃতিক ভুবনের প্রধান উপদেষ্টা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল। প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক ও গবেষক অধ্যাপক কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিভার্সিটির বাণিজ্যিক বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম ও কবি কাজী মোহিনী ইসলাম। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য কবি কাজী রোজী। অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহফুজুল ইসলাম। অনুষ্ঠান উদ্বোধনের সময় মনোরঞ্জন ঘোষাল বলেন, মেহেরুন্নেসার মতো বিপ্লবীদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ভাষা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলাম। তিনি যেমন আমার প্রেরণা ছিলেন, তেমনি যুগে যুগে নতুন প্রজন্মের কাছেও তিনি প্রেরণা হয়ে থাকবেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা বলেন, মেহেরুন্নেসা আমাদের ইতিহাসের একটি অংশ। স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা বললেই অন্যদের মধ্যে মেহেরুন্নেসার কথা চলে আসে। তিনি আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে মিশে আছেন। তার কবিতা নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। স্বাধীনতাযুদ্ধে তার অবদান অনস্বীকার্য। কবি কাজী রোজী বলেন, মেহেরুন্নেসাকে আবারও সামনে নিয়ে আসতে হবে। অনিয়মের বিরুদ্ধে মেহেরুন্নেসার মতো প্রতিবাদ করতে হবে। নতুন প্রজন্মের মেহেরুন্নেসার মতো নতুন করে লড়াইয়ে নামতে হবে। সম্পূর্ণরূপে অসাম্প্রদায়িক একটি রাষ্ট্র গঠনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বপ্নকলা সাংস্কৃতিক ভুবনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রিয়াজ মাহমুদ মিঠু। মেহেরুন্নেসার স্মৃতি রক্ষার জন্য বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারী অর্থায়নে মিরপুরে মেহেরুন্নেসা সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে হবে। তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে মেহেরুন্নেসার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপনের দাবি জানান। সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, মেহেরুন্নেসা যে সময় আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন, সে সময় একজন নারীর জন্য বিপ্লবী হওয়া, বিপ্লবী কবিতা লেখা খুব সহজ ছিল না। বিপ্লবীরা কখনও মরে না। মেহেরুন্নেসাও মরেনি তিনি চিরভাস্মর হয়ে থাকবেন আমাদের মাঝে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্বপ্নকলার পরিচালক নোমান বিন সাদেক, মোহাম্মদ সোহেল, তাবাসসুম আম্বিয়া সামিরা, মাসুম বিল্লাহ, মহারাজসহ সিইউবি মিডিয়া ক্লাবের সদস্যবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি ফিল্ম এ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নুরুল ইসলাম বাবুল। আলোচনা শেষে প্রদর্শিত হয় মেহেরুন্নেসাকে নিয়ে ডকুফিকশন চলচ্চিত্র ‘শহীদ কবি মেহেরুন্নেসা’ এবং দুর্লভ চিত্র প্রদর্শনী। অনুষ্ঠানে মেহেরুন্নেসার লেখা কবিতা আবৃত্তি করা হয়। এরপর মঞ্চস্থ হয় একক নাট্য ‘মেহের বলছি’।
×