ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কুমিল্লায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ॥ তদন্ত শুরু

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ২১ আগস্ট ২০১৯

কুমিল্লায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ॥ তদন্ত শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ২০ আগস্ট ॥ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা ছারোয়ার খানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও এলজিএসপি, টিআর, কাবিখা, কাবিটা প্রকল্পসহ হোল্ডিং নম্বর, ট্যাক্স ও জন্মনিবন্ধনের টাকা আদায়পূর্বক পরিষদের ব্যাংক হিসাবে জমা না করে আত্মসাতের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী। এছাড়া এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নিকট দাখিলকৃত অভিযোগেরও তদন্ত চলছে। মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকার সৈয়দ ম্যানশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাবেক ভিপি মোঃ মনির হোসেন চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সাহেবাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা ছারোয়ার খান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাত ও স্বেচ্ছাচারিতামূলক কর্মকা-ে ইউনিয়নবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আইন ও বিধি-বিধান লঙ্ঘন করে সাহেবাবাদ লতিফা ইসমাইল উচ্চ বিদ্যালয়েরও প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত থেকে সরকারী সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা ও বেতন/ভাতা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ইউপি বাসিন্দাদের নিকট থেকে মনগড়াভাবে ট্যাক্স ধার্য করে আদায়পূর্বক প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাত, কাজ না করেই এলজিএসপি বরাদ্দের প্রায় ২৫ লাখ টাকা, টিআর, কাবিখা, কাবিটা বরাদ্দের ২৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ১% হারে প্রাপ্ত কমিশনের প্রায় ১৮ লাখ টাকা মেম্বারদের না জানিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব থেকে বিনা রেজুলিউশনে উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। তার বিরুদ্ধে হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম নিবন্ধনসহ নানা কাজে নাগরিকদের থেকে মনগড়া ও অতিরিক্ত ফির নামে অর্থ আদায় করে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।
×