ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদ ও বন্যায় মূল্যস্ফীতি বেড়েছে

প্রকাশিত: ১১:০৭, ২১ আগস্ট ২০১৯

ঈদ ও বন্যায় মূল্যস্ফীতি বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত অর্থবছরের শেষ মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও এর উর্ধগতির মধ্য দিয়ে নতুন অর্থবছর শুরু হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাইয়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ, জুনে ছিল ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। গত মাসে সব খাতে সার্বিকভাবেই মূল্যস্ফীতি আগের মাসের চেয়ে বেড়েছে। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব তথ্য জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সদস্য সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েন। তবে, জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমেছে ৫ দশমিক ৬২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ঈদের কারণে মানুষ কেনাকাটা বেশি করেছে। তাছাড়া বন্যার কারণে অনেক শাকসবজি নষ্ট হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে সরবরাহ ব্যবস্থার মধ্যে সমস্যা ছিল। তাই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তবে, গ্যাসের দাম বাড়ার কারণেও কিছুটা মূল্যস্ফীতি বেড়েছে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, জুলাই মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। তথ্যে আরও দেখা গেছে, বছরওয়ারি পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে মে মাসে ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, ফল, তামাক, দুগ্ধজাতীয় পণ্য এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর দাম বেড়েছে। মাসওয়ারি ডিম, শাক-সবজি ও মসলা জাতীয় পণ্যের দামও চড়া হয়েছে। গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
×