ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিহত সোহাগের বাড়িতে এখন শুধুই কান্না

প্রকাশিত: ০৮:৩৪, ১৯ আগস্ট ২০১৯

 নিহত সোহাগের  বাড়িতে এখন শুধুই কান্না

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ, ১৮ আগস্ট ॥ কলকাতার সেক্সপিয়ার সরণিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ভুটিয়ারগাতি গ্রামের কাজী মাইনুল আলম সোহাগ’র (৩৬) গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। নিহত মঈনুল ভুটিয়ারগাতি গ্রামের কাজী খলিলুর রহমানের ছেলে। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ্যাম্বুলেন্সে সোহাগ’র মৃতদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছায়। তখন বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী, ভাই-বোনেরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এলাকাবাসী ভিড় করে। সকালে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে লাশ বাংলাদেশে আনা হয়। তার চাচাত ভাই জিহাদ মৃতদেহ গ্রহণ করেন। চোখের সমস্যা নিয়ে বুধবার কলকাতার এ্যাপোলো হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যান। রবিবার তার দেশে ফেরার কথা ছিল। মইনুল আলম সোহাগ গ্রামীণ ফোনের ঢাকার মতিঝিল এলাকার এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সড়ক দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া নিহতের সঙ্গে থাকা তার চাচাত ভাই কাজী শাফী রহমত উল্লাহ জিহাদ জানান, তারা চোখের চিকিৎসার জন্য গত ১৪ আগস্ট কলকাতায় যান। ১৬ আগস্ট মাঈনুল, ফারজানাসহ তারা তিনজন কলকাতার সেক্সপিয়র সরণিতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অটোরিক্সার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সে সময় দুই দিক থেকে আসা দু’টি প্রাইভেটকার উল্টে তাদের গায়ের ওপর এসে পড়ে। এতে তারা সবাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে কলকাতার পিজি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাদের মঈনুল ও ফারজানাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের ভাই কাজী সাইফুল আলম জানান, সোহাগের স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছে। এছাড়া ফারজানা ইসলাম তানিয়া কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার চান্দুর গ্রামের মুন্সি আমিনুল ইসলামের মেয়ে। তার চাচাত ভাই আবু ওবায়দা শাফিন তার মরদেহটি গ্রহণ করেন। ফারজানা ইসলাম তানিয়া সিটি ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে রাজধানীর ধানমন্ডি শাখায় কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।
×