ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় শোক দিবস পালন

প্রকাশিত: ০৯:২২, ১৭ আগস্ট ২০১৯

 ভিয়েনায় বাংলাদেশ  দূতাবাসে জাতীয় শোক দিবস পালন

সংবাদদাতা ভিয়েনা (অস্ট্রিয়া) থেকে ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন, ভিয়েনায় এক শোকসভার আয়োজন করা হয়। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার হউফসাইলে বাংলাদেশ দূতাবাস কার্যালয় মিলনায়তনে ১৫ আগস্ট বুধবার বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রদূত মোঃ আবু জাফর, সঞ্চালনা করেন কাউন্সিলর ও চ্যান্সারি প্রধান রাহাত বিন জামান। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তারপর পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে শূরা পাঠ এবং ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্র্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন রাষ্ট্রদূত মোঃ আবু জাফর। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন, দূতাবাসের কাউন্সিলর ও চ্যান্সারি প্রধান রাহাত বিন জামান। সভায় বক্তব্য রাখেন সর্বইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি, অস্ট্রিয়া প্রবাসী লেখক, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক এম নজরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অস্ট্রিয়া ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার বায়েজিদ মীর, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির, অস্ট্রিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভানেত্রী নাহীদ সুলতানা নাসরিন, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল জলিল, আহমেদ ফিরোজ, রুহী দাস সাহা, মিজানুর রহমান শ্যামল, নয়ন হোসেন, মনোয়ার পারভেজ, রানা বখতিয়ার, জান্নাতুল ফরহাদ, ইয়াসিম মিয়া ও সাইফুজামান। সভায় রাষ্ট্রদূত মোঃ আবু জাফর তার বক্তব্যে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করায় সমবেত সুধীজনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজ তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। সভায় এম নজরুল ইসলাম বলেন, সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ঘটনা শুধু ব্যক্তি মুজিবকে হত্যার প্রয়াস ছিল না, ছিল জাতির স্বাধীনতার শক্তিকে হত্যার অপচেষ্টা। ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে খুন করে তারা একটি আদর্শকে খুন করতে চেয়েছিল। কিন্তু আজকের দিনে বঙ্গবন্ধু অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক।
×