ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অর্জন যেন নষ্ট না হয় ॥ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত: ১০:১৩, ১৪ জুলাই ২০১৯

অর্জন যেন নষ্ট না হয় ॥ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারী কর্মচারীদের দুর্নীতির বিষয়ে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, দুর্নীতির কারণে আমাদের অর্জনগুলো যেন নষ্ট হয়ে না যায়। আমরা এত খেটে, সারাদিন এত কাজের পর যদি দুর্নীতির কারণে সব অর্জন নষ্ট হয়ে যায়, সেটা হবে খুবই দুঃখজনক। এটা কোনভাবেই সহ্য করা হবে না। এ ব্যাপারে সবার সজাগ ও দায়িত্বশীল হতে হবে। আর যে ঘুষ নেবে সে-ই কেবল অপরাধী নয়, যে ঘুষ দেবে সেও অপরাধী। উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখতে দুর্নীতি প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান তিনি। শনিবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তাদের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ বিষয়ে সকলকে দায়িত্বশীল হওয়ার পাশাপাশি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হতে হবে। দুর্নীতির কারণে আমাদের উন্নয়নটা যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে সকলকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনাদেরই (সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা) নির্দেশনা দিতে হবে একেবারে নিম্নস্তর পর্যন্ত যারা কাজ করে তাদের। যাতে আমাদের এত কষ্টের অর্জনগুলো দুর্নীতির কারণে নষ্ট হয়ে না যায়। পরিকল্পিত উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবার এমন একটা প্রবণতা হয়ে গেছে, যার যেখানে জমি আছে সেখানেই একটা দালানকোঠা তুলে ফেলছে। অনেক সময় কৃষিজমির ওপরও দালানকোঠা হচ্ছে। এই জায়গায় মনে হয় একটা নীতিমালা এবং একটা নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার, একটা মাস্টার প্ল্যান থাকা দরকার। তিনি বলেন, আমরা কীভাবে আমাদের কৃষিজমিগুলো রক্ষা করব, এটাও আমাদের দেখা উচিত। আমরা পরিবেশ রক্ষা করব, প্রতিবেশ রক্ষা করব, পাশাপাশি উন্নয়নটা যাতে হয়, আর সেই উন্নয়নটা যেন একটু পরিকল্পিতভাবে হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের যে মানুষ তাদেরও সকল নাগরিক সুবিধাটা আমরা দিতে চাই। যাতে করে তাদের কাজ খোঁজার জন্য আর গ্রাম থেকে শহরে আসতে না হয়। নিজের গ্রামেই সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা তারা পেতে পারে। তিনি বলেন, মানুষের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ার ফলে এবং যেহেতু আমরা ঘোষণা দিয়েছি ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ তাই যত্রতত্র দালানকোঠা ও স্থাপনা তৈরি হওয়ায় কৃষিজমি কমে যাওয়ার একটা আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে মাস্টার প্ল্যান থাকা এবং তা যথাযথভাবে কার্যকরের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, এটা বোধ হয় আমাদের একটু দেখা উচিত যে, কিভাবে আমাদের কৃষিজমিগুলো আমরা রক্ষা করব। পরিবেশ এবং প্রতিবেশ রক্ষা করে উন্নয়ন যেন পরিকল্পিতভাবে করা যায়। শিল্পায়নের জন্য সারাদেশে এক শ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, যত্রতত্র যেখানে সেখানে ঘর-বাড়ি এবং কলকারখানা এভাবে যদি হতে থাকে তাহলে যেমন আমাদের আবাদি জমিও নষ্ট হবে তেমনি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য নাগরিক সুবিধা দেয়াটাও একটু কঠিন হয়ে যাবে। তিনি এজন্য মানুষকে বোঝানোর এবং নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপনা নির্মাণ করলে তারা যে সুবিধাগুলো পাবেন সে সম্পর্কে তাদের অবহিতকরণের জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদকে একটি বৈশ্বিক সমস্যা আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী এই ব্যাধি নির্মূলে সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন এবং এই ধারা অব্যাহত রাখার, যাতে করে কোনভাবেই সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকারও আহ্বান জানান। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। সেই সঙ্গে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে আমরা ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি। তিনি বলেন, এর মধ্যে বাংলাদেশে একটা ভিক্ষুকও থাকবে না। একটা মানুষও গৃহহারা থাকবে না। একটা মানুষও না খেয়ে কষ্ট পাবে না। অন্তত মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো আমরা পূরণ করব। তাদের জীবনের ন্যূনতম চাহিদা, সেটা যেন আমরা পূরণ করতে পারি, সে লক্ষ্য সামনে রেখে সমস্ত পরিকল্পনা, সমস্ত কাজ করতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেয়ার কথাও বলেন শেখ হাসিনা। সরকার প্রধান বলেন, গ্রামের জনগণকে যেন শহরে ভিড় করতে না হয়। নিজের গ্রামেই তারা যেন সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, প্রশাসনে কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার ফলেই দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষ আপনাদের কাজের সুফল পাচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, কর্মকর্তাদের কাজের ফলেই আমাদের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে, মাথা পিছু আয় বেড়েছে। দেশ এগিয়ে যাওয়া এবং মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে যাওয়ার ফলেই আজ আমরা ৫ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিতে পেরেছি। তিনি বলেন, দীর্ঘ পরিকল্পনা ছাড়া দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। এ কারণে আমরা সব সময় দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। আগামী ’২১ এবং ’৪১ সালকে সামনে রেখে আমরা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত একটি দেশ। চীনের প্রবৃদ্ধির প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীনের থেকেও আমাদের প্রবৃদ্ধি বেশি। আমাদের প্রবৃদ্ধি ইতোমধ্যে ৮ দশমিক ১ ভাগে পৌঁছেছে। এ অর্থবছরের শেষ নাগাদ ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনই আমাদের লক্ষ্য। আর এটা আমরা করতে পারব বলেই বিশ্বাস করি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সরকারের সাফল্য তুলে ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা প্রসঙ্গে সরকারের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকার আভাস দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের দেশে আছেই এবং ভৌগোলিক কারণেই এটা হয়ে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন সারাদেশে বন্যা চলছে। এ বন্যা পাহাড়ী, হাওর বা একটু উঁচু অঞ্চলে আছে। এ পানিটা ধীরগতিতে নেমে আসতে আসতে নি¤œ অঞ্চলগুলো প্লাবিত হবে। এ জন্য আপনারা সাবধান থাকবেন। তিনি প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বন্যায় মানুষের যেন প্রাণহানি না ঘটে এবং খাদ্যের জন্য মানুষ যেন কষ্ট না পায়। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন। দাফতরিক কাজে গতিশীলতা আনয়নে তার সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে কর্মসম্পাদন চুক্তির ফলে দ্রুত দেশটা উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমি মনে করি, লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কমেছে এবং আমাদের কাজে গতিশীলতা বেড়েছে, দক্ষতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে কাজের আগ্রহটাও বেড়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এখন তো ডিজিটাল যুগ। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। কিভাবে, কোন্ কাজটা করলে দেশটা আরও উন্নত হতে পারে বা দ্রুত আমরা কাজটি করে লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে পারব, সেটা আপনাদের চিন্তা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির বাস্তবায়নে সফলতার স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননাপ্রাপ্ত ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে অভিনন্দন জানান। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে প্রত্যেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগের পক্ষে জ্যেষ্ঠ সচিব ও সচিবরা ২০১৯-২০ অর্থবছরের কর্মসম্পাদন চুক্তিতে সই করেন। পরে তারা প্রধানমন্ত্রীর হাতে এই চুক্তিপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং দফতরের সিনিয়র সচিব এবং সচিববৃন্দ একযোগে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে স্বাক্ষর করে একে একে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তা তুলে দেন। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সম্পাদনের সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ অনুষ্ঠানে ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সম্মাননাপত্র এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ২০১৭-১৮ সালের বার্ষিক কর্মসংস্থান চুক্তি সম্পাদনে সাফল্যের বিবেচনায় বিদ্যুত বিভাগ প্রথম, বাস্তবায়ন, পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ দ্বিতীয়, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ বিভাগ তৃতীয় স্থান অর্জন করায় অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সচিবদের হাতে প্রধানমন্ত্রী ক্রেস্ট এবং সম্মাননাপত্র তুলে দেন। শুদ্ধাচার চর্চা ও দুর্নীতি প্রতিরোধের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য এবং সরকারী কর্মচারীদের শুদ্ধাচার চর্চায় উৎসাহ প্রদানে সরকার প্রদত্ত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে শুদ্ধাচার পুরস্কার লাভ করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুল মালেক বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে তার মন্ত্রণালয়ের সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সম্মাননাপত্র গ্রহণ করেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রলালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সুরক্ষা বিভাগ এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণও প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে এপিএ’র সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননাপত্র গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ শফিউল আলম, মুখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান এবং বিদ্যুত বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস বক্তৃতা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মোঃ আবুল কালাম আজাদ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, বিভিন্ন সিনিয়র সচিব এবং সচিববৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগ এবং দফতরের প্রধানগণ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-ের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। প্রসঙ্গত, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূলত প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি সমঝোতা দলিল। একইভাবে মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবগণ সংযুক্ত দফতর/সংস্থাসমূহের সঙ্গে এবং দফতর/সংস্থাসমূহের প্রধানগণ মাঠ পর্যায়ের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহ, এ সকল উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য গৃহীত কার্যক্রমসমূহ এবং এ কার্যক্রমের ফল পরিমাপের জন্য কর্মসম্পাদন সূচক ও লক্ষ্যমাত্রাসমূহ বর্ণনা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অর্থবছর সমাপ্ত হওয়ার পর ওই বছরের চুক্তিতে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাসমূহের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের প্রকৃত অর্জন মূল্যায়ন করা হয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশে প্রথম বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বা এপিএ প্রবর্তন করা হয়। এবার ষষ্ঠ বছরের মতো এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
×