ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

আফগানদের লজ্জার রেকর্ড

প্রকাশিত: ১১:৩৩, ১ জুলাই ২০১৯

  আফগানদের লজ্জার রেকর্ড

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ র‌্যাঙ্কিং অনুসারে অনেক পিছিয়ে থাকলেও দলটিকে কেউ খাটো করে দেখেনি। বরং আফগানিস্তানকে সবাই সমীহই করেছিল। আর বিশ্বকাপ অভিযানে নামার আগে বড় দলগুলোর দিকে রীতিমতো হুঙ্কারও ছেড়েছিল। তাদের ‘বাঘের মতোই’ লড়াকু ধরে নিয়েছিল সবাই। কিন্তু বাস্তব লড়াইয়ে একেবারে ‘কাগুজে বাঘ’ হয়ে গেছে দলটি। টানা ৮ ম্যাচেই হেরেছে আফগানরা। বিশ্বকাপের আগের ১১টি আসরে এমন নজির দেখায়নি আর কোন দল। লজ্জার এই রেকর্ড আগে ছিল জিম্বাবুইয়ের। তারা ১৯৯২ বিশ্বকাপে টানা ৭ ম্যাচ হেরেছিল। এবার বিশ্বকাপের শুরু থেকেই লজ্জাজনক সব পরাজয় দেখেছে আফগানরা। সাম্প্রতিক সময়ে এশিয়া মহাদেশে ভীতিকর দল হয়ে উঠেছিল তারা। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রায়ই সাফল্য পাচ্ছিল। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুইয়ের চেয়েও যেন শক্তিধর হয়ে উঠেছিল। সেই দলটি এবার বিশ্বকাপে অনেক অঘটনের জন্ম দেবে সেটাই ভেবেছিল সবাই। কিন্তু একেবারেই ‘বাজে’ ছিল তাদের দলগত পারফর্মেন্স। শুধু ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ উপহার দিতে পেরেছিল। প্রায় জিতে যাওয়ার পরিস্থিতি থেকেও শেষ পর্যন্ত হেরেই গেছে তারা। তাই ললাটে লেখা হয়ে গেছে টানা ৮ পরাজয়। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে টানা ৭ ম্যাচে হারের দুর্বিষহ স্মৃতি আছে জিম্বাবুইয়ের। ২৭ বছর সেই দুঃসহ কষ্ট বয়ে বেড়ানোর পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছে তারা চলতি বিশ্বকাপে দর্শক হয়ে থেকে। এই প্রথম বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়নি জিম্বাবুইয়ে, বাছাই থেকে ছিটকে পড়েছিল আফগানিস্তানের কাছে হারের কারণেই। সেই দুঃখটাও হয়তো ভোলার উপলক্ষ পেয়ে গেল জিম্বাবুইয়ে। তাদের টানা হারের আক্ষেপে ভরা স্মৃতি থেকেই শুধু মুক্তি দেয়নি আফগানরা, পাশাপাশি টানা হেরে বিশ্বকাপ খেলতে না পারার কষ্টকেও লাঘব করেছে। আফগানদের জন্য বিশ্বকাপ খেলার কষ্টটা হয়তো এখন ভুলতে পারবে জিম্বাবুইয়ে। ১৯৯২ বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৯ রানে হারিয়ে টানা ৭ পরাজয়ের বৃত্তটা ভেঙ্গেছিল তারা। এবার আফগানদের বাকি আছে আরেকটি ম্যাচ। বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হেডিংলিতে জিততে না পারলে লজ্জার রেকর্ড আরও প্রলম্বিত হবে। আর জিতে গেলে হারের বৃত্তটা ভাঙ্গার স্বস্তি অন্তত পাবে আফগানরা। দলের ভেতরে-বাইরে যে দ্বন্দ্ব আর কাদা ছোড়াছুড়ি সেখান থেকেও কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে। কিছুদিন আগে আফগানিস্তানের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স এক টুইটে লিখেছিলেন, ‘দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টির জন্য দায়ী প্রধান নির্বাচক।’ তবে মূল গোলযোগ তৈরি হয় ওয়ানডে দলে অনিয়মিত গুলবাদিন নায়েব অধিনায়ক হওয়াতে। দারুণ সফল আসগর আফগানের বদলি হিসেবে নায়েবকে দায়িত্ব দেয়া নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন রশীদ খান ও মোহাম্মদ নবীরা। এই সিদ্ধান্তের শুরু থেকেই নাখোশ দলের ক্রিকেটাররা। তারই মাসুল বিশ্বকাপ মঞ্চে দিয়ে যাচ্ছে তারা।
×