ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজস্ব বোর্ডের সংস্কার প্রয়োজন ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:২৩, ২ জুন ২০১৯

  রাজস্ব বোর্ডের সংস্কার প্রয়োজন ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কার্যক্রমে সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তার মতে, কিছু আইনের কারণে কার্যক্রমে জটিলতা তৈরি হয় বিধায় এ সংস্কার দরকার। শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘তারুণ্যের ভাবনা-প্রাক বাজেট আলোচনা সভা’য় মন্ত্রী এ মতামত দেন। এম এ মান্নান বলেন, এনবিআরের সংস্কার করা জরুরী। নিয়ম ও আইনের বেড়াজালে অনেক কিছুই সময়মতো করা যায় না। বিভিন্ন বন্দর থেকে আসা রাজস্ব এনবিআরে না গিয়ে অন্য উপায়ে সরাসরি সরকারী কোষাগারে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফির সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ মহিলা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (বিডব্লিউসিসিআই) সভাপতি সেলিমা আহমেদ, সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফারহাদ প্রমুখ। সভায় মন্ত্রী আরও বলেন, এনবিআরের কিছু আইন আছে তারা মানবেই। কিছু আইনের কারণে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা তৈরি হয়। তাই আমাদের অনেক কিছুই সংস্কারের প্রয়োজন আছে। পুরাতন আমলের আইনও সংস্কার করা দরকার। আমাদের মধ্যে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আছে। হয়ত আইনে আছে কোন ফাইল সই করতে ডিসিদের ২০ দিন সময় নিতে হবে। হয়ত এই ফাইল একদিনেই সই করা যায়। যে কাজ একদিনে হওয়ার কথা সেই কাজ ২০ দিনে করা হচ্ছে। অনেক সময় ২০ দিনেও হয় না, আরও ১০ দিন সময় নেয়া হয়। এই সমস্ত কাজে আমলাতন্ত্রিক জটিলতা দূর করতে হবে। উন্নয়ন প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশের তারুণ্যের ভাগ্য বদলে সরকার কাজ করছে। তরুণদের নিয়ে অনেক কিছু করার আছে। তরুণরা অনেক গতিতে কাজ করতে পারবে। তরুণরা দেশের জন্য অনেক কাজ করতে পারবে। তরুণদের বলব, তোমাদের দাবিগুলো তুলে ধরো শান্তিপূর্ণভাবে। দরকার হয় তোমরা শাহবাগে যাও, কিন্তু কোন বাসে ঢিল মেরো না। অন্য দেশের তরুণরা যেভাবে দাবি তুলে ধরে, তোমরাও সভ্যভাবে তোমাদের দাবি তুলে ধরো। দয়া করে বাসে ঢিল ছুড়বে না। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কয়েকদিন আগে থাইল্যান্ড গিয়েছিলাম। সেখানে টেলিনরের মিয়ানমার প্রধানের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ হচ্ছিল। মিয়ানমার নাকি কিছুদিনের মধ্যেই ফাইভ-জি-তে যাবে। সুতরাং উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন দেশই চুপচাপ বসে নেই। আমরা হয়ত ভাবতাম মিয়ানমার কিছু করছে না, এই ধারণা ভুল। আমাদের আশপাশের মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়াও অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। কোন দেশই চুপচাপ বসে নেই। আমাদেরও কাজ করতে হবে। আগামী অর্থবছরের বাজেট (২০১৯-২০) সম্পর্কে চিন্তাভাবনা ও ধারণা তুলে ধরার জন্য দেশের বিভিন্ন খাতের খ্যাতিমান বক্তাদের একটি প্যানেল সভায় অংশ নেয়।
×