ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ১০:১৬, ১৭ মে ২০১৯

 ঝলক

ক্যান্সার শনাক্ত করতে কুকুর কুকুরের ঘ্রাণশক্তি মানুষের তুলনায় ১০ হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী। সম্প্রতি এক গবেষণা বলছে, কুকুরের তীব্র ঘ্রাণশক্তি প্রাথমিক পর্যায়েই ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারে। রক্তের নমুনা থেকে গন্ধ শুকে ৯৭ শতাংশ ক্ষেত্রেই নির্ভুলভাবে ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারে কুকুর। তাই এই পদ্ধতিতে কুকুরের ঘ্রাণশক্তি কাজে লাগিয়ে যদি প্রাথমিক পর্যায়েই ক্যান্সার শনাক্ত করা যায় তবে সেক্ষেত্রে ক্যান্সার থেকে রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে। সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছে বায়োসেনডিএক্স। ওই গবেষণার প্রধান হিথার জুনকুয়েইরা বলেন, যদিও ক্যান্সারের প্রতিকার এখনও আবিষ্কৃত হয়নি তবে ক্যান্সার যত দ্রুত ধরা পড়বে, এ রোগের চিকিৎসা করা ততই সহজ হবে। বর্তমানে ক্যান্সারে আক্রান্তের হার বাড়ছে। গোটা বিশ্বে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে ক্যান্সারে আক্রান্তকেও বাঁচানো সম্ভব। হিথার জুনকুয়েইরা এবং তার সহকর্মীরা ফুসফুসের ক্যান্সারের ওপর একটি গবেষণা চালিয়েছেন। এই পরীক্ষার জন্য চারটি বিরল প্রজাতির কুকুরকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। দীর্ঘ প্রশিক্ষণের পর দেখা যায় ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তদের রক্তের সিরাম এবং সম্পূর্ণ সুস্থ ব্যক্তিদের রক্তের সিরামের মধ্যে পার্থক্য করতে সক্ষম হয় ওই কুকুরগুলো। গবেষকদের দাবি, ৯৬ দশমিক ৭ শতাংশ ক্ষেত্রেই নির্ভুলভাবে ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের গন্ধ আলাদাভাবে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে ওই কুকুরগুলো। তাই ক্যান্সারের চিকিৎসায় এ ধরনের পদ্ধতিকে কাজে লাগালে প্রথম দিকেই তা শনাক্ত করা সম্ভব হবে। -ইয়াহু নিউজ . যে বাজারে বিক্রেতা শুধুই নারী বাজার বলতে আমরা সেই স্থানকেই বুঝি যেখানে নানা ধরনের ক্রেতা ও বিক্রেতার সমাগম ঘটে। তবে ভারতের মনিপুর রাজ্যে এমন একটি বাজার রয়েছে যেখানে ক্রেতা নানা ধরনের হলেও বিক্রেতা সবাই নারী। এখানে পুরুষদের বাজার থেকে কেনাকাটা করার অনুমতি থাকলেও ব্যবসা করার অনুমতি নেই। তবে এই নিষেধাজ্ঞা কিন্তু সরকারী আদেশ নয়। যদি কোন পুরুষ এখানে ব্যবসা করার চেষ্টা করেন তবে সব নারী এক জোট হয়ে প্রতিরোধ করেন। মনিপুরের রাজধানী ইম্ফলে অবস্থিত ওই বাজারের নাম ‘মাদার মার্কেট’। মনিপুরীরা ‘খেইতাল’ বলে। বাজারে প্রায় পাঁচ হাজার নারী ব্যবসায়ী রয়েছেন। এটাই এশিয়া মহাদেশের নারী দ্বারা পরিচালিত সবচেয়ে বড় বাজার। আয়তনে বড় হলেও বাজারটি বেশ ছিমছাম। এর গোড়াপত্তন প্রায় পাঁচ শ’ বছর আগে। ওই সময়ে মনিপুরের অবস্থা ছিল টালমাটাল। অধিকাংশ পুরুষই যুদ্ধবিগ্রহ নিয়ে পড়ে থাকতেন। ফলে উপার্জনের জন্য নারীরা ব্যবসা শুরু করেন। সেই থেকে শুরু। এরপর কালের বিবর্তনে বাজারের পরিধি বেড়েছে। বেড়েছে নারী ব্যবসায়ীর সংখ্যা। দৈনন্দিন সদাইপাতি থেকে শুরু করে কাপড়, হস্তশিল্প সবই পাওয়া যায় বাজারে। অন্য বাজারের চেয়ে এখানকার জিনিসপত্র তুলনামূলক সস্তায় পাওয়া যায় বলে সকাল-বিকেল এখানে ক্রেতার ভিড় লেগেই থাকে। বিশেষ করে উৎসব-পার্বণে এই বাজার থেকে কেনাকাটা করা মনিপুরবাসীদের কাছে ঐতিহ্যও বটে। লিসারাম দেবী প্রায় তিন দশক ধরে হস্তশিল্পের জিনিস বিক্রি করছেন এই বাজারে। এক সাক্ষাতকারে তিনি এই বাজারকে নারীর ক্ষমতায়তনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলে মনে করেন। শুধু লিসারাম দেবীই নন, তার মতো হাজারো মনিপুরী নারীর জন্য ক্ষমতায়ন ও নিজের পায়ে দাঁড়ানোর এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই বাজার। -বিবিসি
×