বিদ্যুতের এক খাম্বা স্থানান্তরেই এক লাখ ৬৭ হাজার টাকা!

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ১২ মে ॥ পল্লী বিদ্যুতের একটি খাম্বা স্থানান্তর করতে আবেদনকারীর কাছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪শ’ ৮৯ টাকা ধার্য করা হয়েছে! ওই আবেদনকারীর নাম মোঃ তুহিন, বাবার নাম মোঃ ইদ্রিস গোলদার, নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে তার বাড়ি। তুহিন অভিযোগ করেন, তার বাড়ির সামনে বাংলাবাজার টু বড় ডালিমা সড়কের দক্ষিণ পাশে একটি জমিতে ১০ ফুট ভেতরে পল্লী বিদ্যুতের খাম্বা স্থাপন করা হয়েছে। ওই জমিতে তিনি একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা করবেন। এ কারণে খাম্বাটি ওই জায়গা থেকে সড়কের পাশে স্থানান্তর করতে চলতি বছর ৫ মার্চ পল্লী বিদ্যুতের বাউফল জোনাল অফিসে একটি আবেদন করেন এবং এক হাজার ৭শ’ ২৫ টাকা জমা দেন। ৬ মে পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুতের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (স.সেবা) স্বাক্ষরিত একটি পত্র তার কাছে পাঠানো হয়। (স্মারক নং পপবিস/৩০০.১৫/৪২০) ওই পত্রে তার কাছে খাম্বাটি স্থানন্তরের জন্য ১ লাখ ৪৩ হাজার ১শ’৫৩ টাকা, ভ্যাট ১৫ পার্সেন্ট ২১ হাজার ৪শ’ ৭৩ টাকা ও ট্যাক্স ২ পার্সেন্ট ২ হাজার ৮শ’৬৩ টাকাসহ মোট ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪শ’ ৮৯ টাকা ধার্য করা হয়। ওই টাকা জমা দেয়ার জন্য তাকে বলা হয়েছে। আবেদনকারী একটি খাম্বা স্থানান্তরের জন্য এত টাকার বিল দেখে হতভম্ব হয়ে যান। তিনি বলেন, যেখানে সরকার বিনা খরচে বিদ্যুত সংযোগ দিচ্ছেন, খাম্বা স্থাপন করছেন। সেখানে একটি খাম্বা স্থানান্তরের জন্য ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪শ’ ৮৯ টাকা বিল করার কোন যৌক্তিকতা নেই। এ বিষয়ে পটুয়াখালী পল্লী বিদুতের জেনারেল ম্যানেজার মনোহর কুমার বিশ্বাস ঘটনাটি শুনে তিনিও বিস্মিত হয়ে বলেন, এত টাকা কেন ধরা হবে! আমি খোঁজ নিয়ে দেখব। ডিজাইন দেখব। এর সঙ্গে অন্য কোন বিষয় জড়িত আছে কিনা তাও দেখব।