ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নাদাল-ফেদেরারের মতোই মেসি-রোনাল্ডো

প্রকাশিত: ১১:৪৫, ৫ মে ২০১৯

নাদাল-ফেদেরারের মতোই মেসি-রোনাল্ডো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বর্তমান বিশ্বের সেরা দুই তারকা লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। অসাধারণ সব পারফর্মেন্সের সৌজন্যে নিজেদের অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তারা। আর মেসি-রোনাল্ডোর সময়ের ফুটবলার হতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মন্তব্য করেছেন জুভেন্টাসের ইতালিয়ান ডিফেন্ডার জিওর্জি চিয়েল্লিনি। সেই সঙ্গে মেসি-রোনাল্ডোকে টেনিসের দুই কিংবদন্তি রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদালের সঙ্গেও তুলনা করেন তিনি। ইতালিয়ান সিরি’এ লীগে শুক্রবারও গোলের দেখা পেয়েছেন রোনাল্ডো। তুরিন ডার্বিতে সিআর সেভেনের গোলেই তুরিনের সঙ্গে ১-১ ব্যবধানে ড্র করে প্রথমেই পিছিয়ে পড়া জুভেন্টাস। ক্লাব ফুটবলে পর্তুগীজ সুপারস্টারের এটা ৬০১তম গোল। হেডের সৌজন্যে যা তার শততম গোল। এর আগে গত বুধবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে লিভারপুলের বিপক্ষে বার্সিলোনার ৩-০ ব্যবধানের জয়ে জোড়া গোল করেন লিওনেল মেসি। তাতেই বার্সিলোনা তথা ক্লাব ফুটবলে ৬০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারও। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রোনাল্ডোর পর দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে অবিস্মরণীয় এই কীর্তি গড়েন এলএম টেন। তবে তাদের মধ্যে সেরা ফুটবলার কে? মেসি নাকি রোনাল্ডো? এই নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। তবে তাদের সময়ের প্রজন্মকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন চিয়েল্লিনি। আর মেসি-রোনাল্ডোকে তুলনা করেছেন নাদাল-ফেদেরারের সঙ্গে। এ প্রসঙ্গে চিয়েল্লিনি বলেন, এই দুই তারকা খেলোয়াড়ের সময়ের হতে পেরে আমরা সৌভাগ্যবান। আমরা তাদের রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদালের সঙ্গে তুলনা করতে পারি। একদিন দেখা যায় ক্রিস্টিয়ানো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী খেলোয়াড়, অন্যদিন মেসি। তবে সত্যটা হলো যে তারা দুইজনই ভিন্ন গ্রহের, যারা আমাদের সঙ্গে ভিন্ন ধরনের খেলা খেলে। মেসি-রোনাল্ডো যেমন রাজত্ব করছেন ফুটবলে। টেনিসে তেমনি ঝলমল করছে নাদাল-ফেদেরারের নাম। গ্র্যান্ডস্লাম সংখ্যায় রজার ফেদেরার এগিয়ে থাকলেও তার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন নাদাল। সুইজারল্যান্ডের জীবন্ত কিংবদন্তি ফেদেরার ২০টি মেজর শিরোপা জিতেছেন তার সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে। অন্যদিকে স্প্যানিশ টেনিস তারকা নাদালের গ্র্যান্ডস্লাম সংখ্যা ১৭। তবে চিয়েল্লিনি মেসি-রোনাল্ডোর তুলনা করলেও তাতে দ্বিমত পোষণ করছেন তারই স্বদেশী সতীর্থ মারিও বালোতেল্লি। সাবেক ম্যানচেস্টার সিটির এই প্রতিভাবান স্ট্রাইকার মনে করেন, অন্তত ফুটবলের স্বার্থে হলেও এই দুই মহাতারকার তুলনা বন্ধ রাখা উচিত। তবে রোনাল্ডো-মেসি দু’জনকেই বিশ্বের সেরা মনে করেন বালোতেল্লি। যে কারণেই তাদের মধ্যে তুলনায় আপত্তি ২৮ বছর বয়সী এই তারকার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড লিখেছেন, ‘ফুটবলের ভালর জন্য দয়া করে মেসির সঙ্গে জুভেন্টাসের সিআর সেভেনের (রোনাল্ডোর) তুলনা করবেন না। বয়সে একত্রিশকেও ছাড়িয়ে গেছেন মেসি। কিন্তু ফ্রি-কিকে এখনও দুর্দান্ত এলএম টেন। সর্বশেষ লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচে করা ফ্রি-কিক দেখেও বিস্মিত বার্সিলোনার অভিজ্ঞ কোচ আর্নেস্টো ভালভার্ডে। ম্যাচের শেষে তিনি বলেন, মাঠে তাকে দুর্দান্ত ফ্রি-কিকটা নিতে দেখলাম। সত্য বলতে লিও সবসময়ই বিস্ময়কর। আমরা কেউ জানি না সে কি করতে চায়। এমনকি আমিও জানি না কিভাবে সে এতো ভাল ফ্রি-কিক নেয়। কিন্তু সে একের পর এক অবাক করা ফ্রি-কিকে গোল করেই চলেছে। মেসিকে দলের যখনই বেশি দরকার হয়ে পড়ে তখনই সে এমন কিছু করে দেখায়। সত্য বলতে সে কিভাবে এতো ভাল শট নেয় এটা আমি জানতেও চাই না। কিন্তু যখনই তাকে আমাদের খুবই দরকার পড়ে সে এমন কিছু করে। লিভারপুলকে থামাতে আমাদের ওই পরিস্থিতিতে একটা গোল দরকার ছিল এবং পরবর্তী লেগের জন্য নিজেদের লিড নেয়া দরকার ছিল। এদিকে লিভারপুলের বিপক্ষে ৩০ গজ দূর থেকে সেই ফ্রি-কিক নাকি মূল জায়গা থেকে তিন মিটার সামনে বল বসিয়ে নিয়েছিলেন বার্সার অধিনায়ক। টিভি রিপ্লের স্ক্রিনশট নিয়ে স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা দেখিয়েছে, যেখানে মেসিকে ফাউল করেছিলেন লিভারপুল ডিফেন্ডার ফ্যাবিনহো, সে জায়গাটুকু চিহ্নিত করেননি রেফারি। ফলে ফাউলের জায়গা থেকে তিন মিটার সামনে এসে বল বসান মেসি। সেখান থেকেই নেন ফ্রি-কিক। ইচ্ছাকৃত কিংবা মনের ভুলেই হয়তো বল বসিয়েছিলেন মেসি। ম্যাচ পরিচালনা করা ডাচ রেফারি বোর্ন কুইপার্সের চোখও এড়িয়ে যায় বিষয়টি।
×