ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ বাংলাদেশীর লাশ এসেছে

প্রকাশিত: ১০:০৬, ১৪ এপ্রিল ২০১৯

 মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ বাংলাদেশীর লাশ এসেছে

স্টাফ রিপোর্র্টার ॥ মাসের পর মাস হাড়ভাঙ্গা খাটুনি করলেও কোম্পানির মালিক তাদের প্রতি এতটুকু সহানুভূতি দেখায়নি। সড়ক দুর্ঘটনায় জীবন গেলেও শূন্য হাতে দেশে পাঠানো হয় তাদের মরদেহ। শুক্রবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো হাউসে যখন তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়, তখন স্বজনদের শোক আর ক্ষোভের মুখে কেউ কোন জবাব দিতে পারেনি। কেন এত বছর কাজ করে মালয়েশিয়া সরকার তাদের প্রতি এতটুকু করুণাও প্রদর্শন করেনি। একে একে পাঁচটি মরদেহ ট্রাকে তোলার পরও স্বজনদের ক্ষোভ থামছিল না। মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচ বাংলাদেশী শ্রমিকের মরদেহ হস্তান্তরের সময় সে দেশের দুই প্রতিনিধি তখন মাথা নিচু করে অপরাধীর মতো নির্বাক ছিলেন। একজন আশ্বাস দিয়েছেন, পরে যোগাযোগ করে কিছু টাকা আনা যাবে। এজন্য সময় লাগবে। রাতে যাদের মরদেহ আসে তারা হলেন, আল আমিন, সোহেল, গোলাম মস্তোফা, মহিন ও রাজু মুন্সি। আলামিনের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার চরভাগোল গ্রামে। তিনি মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন ২০১৮ সালের আগস্টে। সোহেলের গ্রামের বাড়িরও চাঁদপুরে। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার দেবপুর গ্রামে। তিনি মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন ২০১৮ সালের আগস্টে। গোলাম মোস্তফার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। জেলার চাটখিল থানার নলখা গ্রামে। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে তিনি মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন। মহিনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় জেলার লাকসাম থানার দুর্লভপুর গ্রামে। তিনিও ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন। রাজু মুন্সীর গ্রামের বাড়িও কুমিল্লা জেলায়। জেলার দাউদকান্দি থানাধীন দাখারগাঁও গ্রামে। ২০১৮ সালের জুনে তিনি মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন। রাত গভীরে কার্গো হাউসে গিয়ে দেখা যায়, স্বজন হারানোর আহাজারিতে বিমানবন্দর এলাকায় মধ্যরাতের আকাশ ভারি হয়ে ওঠে। সোহেলের পাঁচ মাসের সন্তান কোলে তার স্ত্রী অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে জ্ঞান হারানোর উপক্রম হয়। মালয়েশিয়ার সরকার কেন এভাবে শূন্য হাতে তাদের দেশে পাঠাল- বার বারই এ ধরনের প্রশ্ন রেখে কাঁদতে থাকেন।
×