ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেক্সিটে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চাইলেন মে

প্রকাশিত: ১০:৪৪, ৬ এপ্রিল ২০১৯

 ব্রেক্সিটে ৩০ জুন পর্যন্ত  সময়  চাইলেন  মে

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে ব্রেক্সিটে ৩০ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে চিঠি লিখেছেন। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কের কাছে শুক্রবার টেরেসা মে এ চিঠি লেখেন। খবর বিবিসির। তবে ২৩ মে’র ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন এড়াতে ওই সময়ের আগেই ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) সম্পন্ন করা তার লক্ষ্য বলেও টেরেসা মে জানিয়েছেন। এদিকে, ইইউ এর কর্মকর্তা ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, ইইউ নেতাদের চেয়ারম্যান ডোনাল্ড টাস্ক ব্রেক্সিটে আরও দেরিতেও সায় দিতে পারেন। বিবাদমান ব্রিটিশ রাজনীতিবিদদের একটি ব্রেক্সিট পরিকল্পনা অনুমোদনের সময় দেয়ার জন্য সময় আরও এক বছর পর্যন্ত বাড়াতে পারেন টাস্ক। বর্তমান সময় অনুযায়ী ১২ এপ্রিলেই ব্রেক্সিট সম্পন্ন করার সময়সীমা রয়েছে। ব্রিটিশ এমপিরা এখনও ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করতে পারেননি। এখন এমপিরা ঠিক সময়মতো চুক্তি অনুমোদন করতে পারলে যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় পার্লামেন্টে নির্বাচনের আগেই ব্রেক্সিট সম্পন্ন করতে পারবে। আর চুক্তি অনুমোদনে ব্যর্থ হলে যুক্তরাজ্যকে ইইউ নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। ব্রেক্সিটের বাড়তি সময়ের প্রশ্নে ইইউ নেতাদেরও একমত হতে হবে। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট টাস্ক ব্রেক্সিটের সময় ১২ মাস বাড়ানোর প্রস্তাব করবেন। আর এ সময়ের আগে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করে ফেললে সে সময় কমিয়ে আনারও পথ খোলা রাখা হবে তার প্রস্তাবে। কিন্তু টাস্কের এ প্রস্তাব আগামী সপ্তাহে ইইউ নেতাদের সর্বসম্মতভাবে গ্রহণ করতে হবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বুধবারের বৈঠকের আগেই ব্রেক্সিটের সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানানোর জন্য ডোনাল্ড টাস্ককে চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে তিনি ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত সময় চেয়েছেন। কিন্তু ফ্রান্স এখনও সময় বাড়াতে রাজি না থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে। ব্রেক্সিটের সময় বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে যুক্তরাজ্য একটি পরিষ্কার পরিকল্পনা পেশ না করা পর্যন্ত ফ্রান্স এতে রাজি নয় বলে জানিয়েছে। ব্রেক্সিটের সময় বাড়ানোর বিষয়টিতে ২৭টি ইইউ দেশেরই সম্মতি থাকতে হবে। ফ্রান্স সময় বাড়ানোতে আগ্রহ না দেখালেও অন্যান্য ইউরোপীয় রাজনীতিবিদরা যুক্তরাজ্যকে আরও ভাবনা-চিন্তার জন্য সময় দিতে রাজি থাকারই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
×