ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের চাপে খাদ্য নিরাপত্তাহীন দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১০:৪৩, ৫ এপ্রিল ২০১৯

রোহিঙ্গাদের চাপে খাদ্য নিরাপত্তাহীন দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ দানাদার খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনকারী দেশ হয়েও খাদ্য নিরাপত্তাহীন দেশের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গার চাপে এই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। গ্লোবাল নেটওয়ার্ক এ্যাগেইনস্ট ফুড ক্রাইসিসের এক প্রতিবেদনে কক্সবাজারের ১৫ লাখ মানুষের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, সেখানকার ১৩ লাখ মানুষই খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করছেন। খবর বাংলাট্রিবিউন অনলাইনের। খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ২০১৮ সালের খাদ্য উৎপাদন ও প্রবৃদ্ধি সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী ধানের উৎপাদন প্রবৃদ্ধির হারে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে এখানে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আমন, আউশ ও বোরো মিলিয়ে বর্তমানে দেশে ধানের বার্ষিক ফলন ৩ কোটি ৬২ লাখ টনের বেশি। ভুট্টা উৎপাদন ছাড়িয়েছে ২৭ লাখ টন। আবহাওয়াগত কারণে গমের পাশাপাশি এক কোটি টনের বেশি আলু উৎপাদন হচ্ছে দেশে। সবজি ও অন্যান্য ফসল উৎপাদনেও সাফল্য এসেছে। সব মিলিয়ে দানাদার খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এ অর্জন ম্লান হচ্ছে রোহিঙ্গা চাপে। রোহিঙ্গাদের কারণে খাদ্য নিরাপত্তাহীন দেশের তালিকায় প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। তবে গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘গ্লোবাল রিপোর্ট অন ফুড ক্রাইসিস : জয়েন্ট এ্যানালাইসিস ফর বেটার ডিসিশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এফএও বলেছে, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চারটি দেশে প্রায় ১ কোটি ৪৭ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ এর মধ্যে অন্যতম। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় থাকা এ অঞ্চলের বাকি তিনটি দেশ মিয়ানমার, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। বিশ্বসেরা এয়ারলাইন্সের খেতাব এবারও সিঙ্গাপুরের বিডিনিউজ ॥ ভ্রমণবিষয়ক ওয়েবসাইট ট্রিপএডভাইজর ২ এপ্রিল ‘বিশ্বসেরা এয়ারলাইন্সের খেতাব তুলে দিয়েছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের হাতে। টানা দ্বিতীয়বারের মতো এই খ্যাতি অর্জন করল প্রতিষ্ঠানটি। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গো চুন ফং বলেন, ‘দ্বিতীয়বারের মতো এই ‘বেস্ট এয়ারলাইন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’য়ের খেতাব পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই মাহেন্দ্রক্ষণে আমরা আমাদের গ্রাহকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
×