স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস ॥ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ মোটামুটি সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। তবে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল। প্রথম ধাপে ভোট পড়েছিল ৪৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। তিনি বলেন, বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। সেই দল উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল। এবার (১৮ মার্চ অনুষ্ঠেয়) দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনও সুষ্ঠু করে তুলতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল সদস্য ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি জানান, কোন অবস্থাতেই নির্বাচনে সহিংসতা বরদাশত করা হবে না। সহিংসতা বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আগামী ৪র্থ ও ৫ম ধাপের নির্বাচনে ১০টি উপজেলার সকল কেন্দ্রে ইভিএম এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার বেলা ১১টায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সিলেটের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন কথা বলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রশাসনের আন্তরিকতার ফলে ভোট উৎসব সুষ্ঠু হয়ে থাকে। প্রত্যেক ভোটার যেন বিনা বাধায় তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। ভোট কেন্দ্রে যেন কোন ভোটারকে বাধা প্রধান না করা হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। ভোটগ্রহণ শেষে প্রত্যেক প্রার্থীর একজন করে এজেন্টের উপস্থিতিতে ভোটগণনা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তার স্বাক্ষর নিতে হবে। জাল ভোট প্রদান, বিশৃঙ্খলা রুখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। মতবিনিময় সভায় তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
ঢাকা, বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
