ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

‘সিক্রেট অব হিস্ট্রি’ নাটকের রজতজয়ন্তী প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ১০:৪৯, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

‘সিক্রেট অব হিস্ট্রি’ নাটকের রজতজয়ন্তী প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইতিহাসের ষড়যন্ত্রমূলক ঘৃণ্য এক অধ্যায় উঠে নাটকের কাহিনীতে। বিশ্বাসঘাতকদের ষড়যন্ত্রে খুন হন স্বাধীন রাষ্ট্রের স্থপতি। শুধু তাকেই নয়, হত্যা করা হয় তার সঙ্গে রাষ্ট্রের স্তম্ভে পরিণত হওয়া তার চার অনুসারীকে। এমন কাহিনীকে উপজীব্য করে নির্মিত বুনন থিয়েটারে নাটক সিক্রেট অব হিস্ট্রি। নাটকটি রচনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহাকারী অধ্যাপক আনন জামান। নির্দেশনা দিয়েছেন শুদ্ধমান চৈতন। জেলের ভেতর জাতীয় চার নেতাকে নির্মম হত্যা ও তৎপরবর্তী ক্যান্টনমেন্ট ও রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র তুলে ধরা প্রযোজনাটির রজতজয়ন্তীর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হলো শনিবার। শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে নাটকটির রজতজয়ন্তী প্রদর্শনী আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন নাট্য ও চলচ্চিত্রনির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ, বিশিষ্ট অভিনয়শিল্পী লাকী ইনাম, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি কামাল বায়েজীদ। নাটকে শুরুতেই দেখা যায়, এক মহান রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করে গদি দখল করা খুনী রাষ্ট্রপতি জেলের ভেতর হত্যাকৃত চার নেতার লাশ গোরস্থানে বয়ে এনেছে রাতের আঁধারিতে কবরে চাপা দেয়ার জন্য। গোরস্থানের আদি ভৌতিক আবহে খুনী রাষ্ট্রপতির মুখোমুখি হয় জেলখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত গার্ড, খুনী রিসালদার ও চার নেতার ছায়া শরীর। কাহিনীর মধ্যভাগে যুক্ত হয় এক খুনী মেজর; যে অন্ধকার হলেই লাশভরা ট্রাক নিয়ে পথে নামে এবং গোরস্থান দেখলেই লাশগুলোকে চাপা দেয়। সে নয়খানি ট্রাকে শতখানি দ্রোহঠাসা সেনার লাশ গোরস্থানের ছায়ায় সারি করে রেখে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে যুক্ত হয়। খুনী রাষ্ট্রপতি আর মেজর একসঙ্গে কৌশল নির্মাণ করে চলে লাশ চাপা দেয়ার কৌশল। বাদসাধে বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর মুর্দা ফকির। সে দীঘল সাদা আলখেল্লার প্রান্ত উড়িয়ে লাশ আগলে দাঁড়ায়- মুখে ঠোঁটে এক কথা তার- ‘এ লাশ কবরে যাবে না’। একে একে অভিনীত হয় সেনা বিদ্রোহ দমনের নামে ক্যান্টনমেন্টের হত্যাকৃত সেনাদের দীর্ঘশ্বাস ও নিগূঢ় হত্যার গোপন কথকতা। নাটকটির অভিনয় নির্মাণে নিদের্শক মূল অভিনয় মঞ্চ থেকে একটি রক্তবর্ণ গালিচা দর্শক সারির মধ্যভাগ পর্যন্ত রেখে একটি কাঠগড়ার সেট স্থাপন করেছেন, যা অভিনেতার সঙ্গে দর্শকের দূরত্ব ঘুচিয়ে নাট্যস্থিত বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করতে সহায়তা করেছে।
×