ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাখাইনে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ, প্রাণ বাঁচাতে প্যাগোডায় আশ্রয় গ্রামবাসীর

প্রকাশিত: ০৮:১৪, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯

 রাখাইনে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ, প্রাণ বাঁচাতে প্যাগোডায় আশ্রয় গ্রামবাসীর

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ রাখাইনের আলেচেউং গ্রামে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে শুক্রবার সংঘর্ষ হয়েছে। বেসামরিক নাগরিকদের আবাসস্থলের এতো কাছে সংঘর্ষ ঘটেছে, যে স্কুল ঘরের দেয়ালও গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা প্রাণরক্ষা করতে কয়েক কিলোমিটার দূরের প্যাগোডাতে আশ্রয় নিয়েছেন। খবর এএফপির। আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবি তুলে প্রায় এক দশক আগে শুরু হয় আরাকান আর্মির সাংগঠনিক উদ্যোগ। নিজেদের ইতিহাস আর সংস্কৃতিকে সামনে আনতে চায় রাখাইন নৃগোষ্ঠীর (আরাকানি) বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এই সংগঠন। কারও ধারণা, এই মুহূর্তে তাদের সদস্য সংখ্যা ৩ হাজার। কেউ আবার মনে করে, ৭ হাজার সেনা রয়েছে তাদের। তবে সবাই মানেন, সামরিক শক্তি নয়, তাদের প্রকৃত অস্ত্র আরাকানের জনসাধারণের অকুণ্ঠ সমর্থন। রাখাইনের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে শক্তিশালী অবস্থান আরাকান আর্মির। এছাড়া বুথিয়াডং, রাথেডং, পোনাহগুন ও কুইকতাওয়েও নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তাদের। এছাড়া শিন প্রদেশের পালেতায়াতে শক্ত অবস্থান রয়েছে গোষ্ঠীটির। তারা বিগত কয়েক মাসে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর অন্তত ২৪টি হামলা চালানোর দাবি করেছে। তাদের ভাষ্য, রাখাইনে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে চালানো সামরিক আগ্রাসনের জবাব দিচ্ছেন তারা। সংবাদমাধ্যম ইরাবতীকে দেয়া সাক্ষাতকারে আরাকান আর্মির প্রধান ¤্রাত নাইং বলেছেন, ‘রাখাইনের অবশ্যই নিজেদের বাহিনী থাকা উচিত। এমন সশস্ত্র বাহিনী থাকলেই রাখাইন জাতিগোষ্ঠী টিকে থাকবে।’
×