ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবি ॥ এক পরিবারের চারজনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবি ॥ এক পরিবারের চারজনের মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ২৬ জানুয়ারি ॥ শুক্রবার রাতে বুড়িগঙ্গা নদীর তেল ঘাট এলাকা দিয়ে পার হওয়ার সময় লঞ্চের ধাক্কায় এক পরিবারের পাঁচজন নিয়ে নৌকাডুবিতে শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং ডুবুরি টিম। পাঁচজনের মধ্যে একজন জীবিত। এখনও পর্যন্ত মাঝি নিখোঁজ রয়েছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। জানা যায়, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের খেজুরবাগ শহীদ বেলায়েত রোডের বাসিন্দা মতিউর রহমান মতি (৫৫) তার পরিবার নিয়ে শুক্রবার রাতে খেজুরবাগ থেকে রওনা দেন ছোট ভাইয়ের বাসা গেন্ডারিয়া উদ্দেশে। আনুমানিক রাত ৯টার দিকে তেল ঘাট এলাকা দিয়ে নদী পার হওয়ার সময় মানিক-৩ নামে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় একজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও পরিবারের বাকি সদস্যরা তলিয়ে যায়। জীবিত উদ্ধার হওয়া আশিকুর রহমান আকাশ জানায়, নৌকা দিয়ে পার হওয়ার সময় লঞ্চটি পেছনের দিকে আসে। নৌকায় থাকা সবাই তখন চিৎকার করে লঞ্চে থাকা স্টাফদের লঞ্চটি থামানোর জন্য বলেন। কিন্তু তাদের কথা কেউই কর্ণপাত না করায় পুরো নৌকাটিই লঞ্চের পেছন দিকে তলিয়ে যায়। আকাশ তখন লঞ্চের ধাক্কা খেয়ে নৌকা থেকে নদীতে ছিটকে পড়ে যায়। পরিবারের বাকি সদস্যরা লঞ্চে পাখার সঙ্গে আটকে গেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেনÑ আকাশের চাচা মতিউর রহমান মতি (৫৫), চাচি রোজিনা বেগম (৩৫), চাচাতো ভাই তামিম (০৪) ও আকাশের মা মমতাজ বেগম (৪২)। ঘটনার দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয় রাত আনুমানিক ১১টার দিকে মমতাজ বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ডুবুরি টিম। লঞ্চের পাখার আঘাতে নিহতের ডানহাত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া যায়। তার দুই ঘণ্টা পর রাত ১টার দিকে আকাশের চাচি রোজিনা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার নৌ পুলিশের কর্তব্যরত অফিসার মোঃ সাক্রাতুল জানান, শনিবার সকালে মতিউর রহমান মতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং দুপুরে শিশু তামিমের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। নিহতদের মরদেহ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নৌকার মাঝির এখনও পর্যন্ত কোন হদিস মিলছে না, তবে উদ্ধারের তৎপরতা এখনো চলছে। এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোন মামলা করা হয় নাই।
×