ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

নাটোরে পরকীয়ার বলি রাজমিস্ত্রি

প্রকাশিত: ০৭:১৫, ৪ জানুয়ারি ২০১৯

  নাটোরে পরকীয়ার বলি রাজমিস্ত্রি

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর, ৩ জানুয়ারি ॥ সিংড়ায় সিদ্দিক প্রামাণিক (৪০) নামে এক রাজমিস্ত্রির মাথা থেঁতলানো মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার চকলাউরা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সিদ্দিক একই এলাকার আয়েজ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই ফরিদ উদ্দিন সিদ্দিকের স্ত্রীসহ তিনজনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। অন্যদিকে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী শিউলিকে আটক করেছে পুলিশ। সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও এলাকাবাসী জানান, সকালে উপজেলার হাতিয়ানদহ ইউনিয়নের চকলাউরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে সিদ্দিকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহতের গলা ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, রাজমিস্ত্রির কাজের সুবাদে একই এলাকার সেলিমের সঙ্গে সিদ্দিকের সখ্য গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে সেলিমের সঙ্গে সিদ্দিকের স্ত্রী শিউলির পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরকীয়ার কারণেই সিদ্দিককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের। বগুড়ায় যুবক স্টাফ রিপোর্টার বগুড়া অফিস থেকে জানান, শেরপুর উপজেলায় সুদের পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধে সোহাগ (২৫) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে বৃহস্পতিবার ভোরে সে মারা যায়। পুলিশ জানায়, উপজেলার মীর্জাপুরের মোদনপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে সোহাগ পিতার সঙ্গে মুদি দোকান করত। ব্যবসার জন্য একই এলাকার এক ব্যক্তির নিকট থেকে সে সুদে টাকা নিয়েছিল। এর ৭ হাজার টাকা পাওনা নিয়ে ঋণ দেয়া ব্যক্তির সঙ্গে তার বিরোধ বাধে। বুধবার রাত ৯ টার দিকে ওই ব্যক্তি সোহাগকে বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে পাশের রানীরহাট মোড়ে ডেকে নিয়ে পাওনা টাকার জন্য আটকে রাখে। সুদের টাকা পরিশোধের জন্য সে সোহাগের পরিবারের সদস্যদের টাকা নিয়ে ঘটনাস্থলে আসতে বলে। এরই এক পর্যায়ে বাগবিতন্ডার পর লাঠি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হলে সে গুরুতর আহত হয়। এ সময় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সোহাগকে উদ্ধার করে বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে ভোরে সে মারা যায়। এ ব্যাপারে শেরপুর থানায় ৪ জনকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মাগুরায় এক ব্যক্তি নিজস্ব সংবাদদাতা মাগুরা থেকে জানান, একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা । পূর্ব বিরোধের জের ধরে বুধবার রাত ৯টার দিকে মাগুরা পৌর এলাকার কাশিনাথপুর গ্রামের সাইনবোর্ড এলাকায় রশিদ লস্কর (৪০) নামে এক ব্যক্তিতে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার বাড়ি শালিখা উপজেলার গজদুর্ব গ্রামে। জানা যায়, নিহত রশিদ লস্কর রাতে মাগুরা শহর থেকে ইজিবাইকে পৌর এলাকার কাশিনাথপুর গ্রামের সাইনবোর্ডে নিজ বাড়ির সামনে নামার পর কয়েক দুর্বত্ত তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শালিখার গজদুর্ব গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বে রশিদ লস্কর মাগুরা পৌর এলাকার কাশিনাথপুরের সাইনবোর্ড এলাকায় বসবাস করতেন। মুন্সীগঞ্জে বৃদ্ধা স্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, সিরাজদিখানে পারিবারিক কলহের জেরে জামিলা বেগম নামে ৮০ বছরের এক বৃদ্ধ খুন হয়েছে। সে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের চরকোন্দলিয়া গ্রামের মৃত মমতাজউদ্দিন মন্টুর স্ত্রী। জানা যায়, নিহত জামিলা বেগমের সঙ্গে তার ছেলে শুক্কুর আলীর স্ত্রী মাকসুদা বেগমের (৩০) পারিবারিক বিষয় নিয়ে বুধবার সকালে বিবাদ হয়। স্থানীয় মুরব্বিরা বিষয়টি মীমাংসা করে দেবার কথা বলেন। কিন্তু জামিলার পুত্রবধূ মাকসুদা এসব কিছুর তোয়াক্কা না করে তার বাবারবাড়ির লোকজন নিয়ে এসে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জামিলা বেগমসহ অন্যান্যের ওপর হামলা চালায়। এ হামলায় মাকসুদা বেগমের মামা কেরামত আলী, আব্দুল আলী, আজগর, ফালান, সৈকত ও শাফিসহ একদল দুর্বৃত্ত বাড়িতে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। হামলার এক পর্যায়ে বৃদ্ধ জামিলার গলা চেপে ধরে হামলাকারীরা। এতে জামিলার দেহ ঘটনাস্থলেই নিস্তেজ হয়ে যায়। পরে ঢাকা মিটফোর্ড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। কিশোরগঞ্জে কাঠুরিয়া নিজস্ব সংবাদদাতা কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, হোসেনপুরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আবু তাহের (৫৫) নামে এক কাঠুরিয়া নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার জিনারী গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে নিজবাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে জিনারী গ্রামের আবু তাহেরের লাশ স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত আবু তাহেরের বুকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, নিহত আবু তাহের একজন মাদকসেবী। তিনি মাদক বিক্রির সঙ্গেও জড়িত। তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও মেয়ে কুলসুম বেগম বিদেশে শ্রমিকের কাজ করে।
×