ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮

উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ রবিবার সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। শীত উপেক্ষা করে ভোটাররা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাধিকার প্রদান করেন। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের। কুষ্টিয়া রবিবার অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচনে কুষ্টিয়ার চার সংসদীয় আসনে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ভোট চলাকালে কেন্দ্রগুলোতে কোন সহিংস ঘটনা ঘটেনি। সকালের দিকে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি কম দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা বাড়তে থাকে। তবে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ গ্রহণের জন্য কেন্দ্রে কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছিল বেশ তৎপর। কুষ্টিয়ার চার সংসদীয় আসনের সব ক’টিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন। লক্ষ্মীপুর লক্ষ্মীপুরে চার আসনে বিচ্ছিন্ন দু’একটি ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। পৃথক সংঘর্ষে আ’লীগ ও বিএনপির ১০ জন আহত হয়েছে। তবে ৪টি আসনের কেন্দ্রগুলোতে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ঐক্যফ্রন্টের তেমন কোন নেতাকর্মী ও পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। নির্বাচন পূর্বরাতে বিভিন্ন এলাকায় গ্রেফতার এড়াতে ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা নিজেদের আত্মগোপন করেন। এছাড়া নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলায় অনেক নেতাকর্মী জেল হাজতে রয়েছেন। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রগুলো ও এর আশপাশ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে প্রশাসন। জেলাজুড়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ প্রায় দশ হাজার সদস্য টহল, মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত ছিল। বেলা ১১টায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের পার্বতীনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা সালাউদ্দিন ভূঁইয়াসহ ৫ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী আহত হন। একই সময়ে নন্দনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থীত স্বতন্ত্রপ্রার্থী আপেল মার্কার সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থদের সংঘর্ষে উভয়পক্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পিরোজপুর জেলার ৩ আসনে ৩৭৮ ভোট কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা খবর পাওয়া যায়নি। পিরোজপুর-১ আসনে (সদর-নাজিরপুর ও স্বরুপকাঠি) ১৯৩ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা নির্বিঘেœ ভোট প্রদান করেছেন। কয়েকটি কেন্দ্রে সরজমিনে দেখা গেছে ভোটাররা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোট দিচ্ছেন। পিরোজপুর সদর কিয়ামদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে নতুন ভোটার প্রথম ভোট দিতে এসে তটিনি জানান, শান্তিপূর্র্ণভাবে ভোট দিতে পেরে আনন্দিত। এই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে সে স্বাধীনতনার স্বপক্ষের ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রার্থীকে ভোট দিয়ে সে গর্ববোধ করছেন। সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে নারী-পুরুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা গেছে। দাউদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন বৃদ্ধ শেফালী দেউরী, তাকে জিজ্ঞেস করলে সে জানান, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। সে ১ মাইল হেঁটে ভোট কেন্দ্রে এসেছেন। কিয়ামদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কা প্রার্থী এ্যাডভোকেট শ.ম. রেজাউল করিম জানান, পিরোজপুরের-১ আসনের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে শেখ হাসিনার উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে পিরোজপুর-১ আসনের ভোটররা তাকে ভোট প্রদান করবেন এবং ইনশাল্লাহ এ আসনে জয়ী হবেন বলে আশাবাদী। পিরোজপুর-২ আসনের (কাউখালী, ভান্ডারিয়া, ইন্দুরকানী) ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট প্রদান করেছেন। এখানে মহাজোট প্রার্থী সাইকেল মার্কা প্রতীক নিয়ে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন লেবার পার্টি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। পিরোজপুর-৩ আসন (মঠবাড়িয়া) শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে মহাজোট প্রার্থী ডাঃ রুস্তুম আলী ফরাজী সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ধানের শীষ প্রতীকের বিএনপি প্রার্থী রুহুল আমিন দুলাল। খাগড়াছড়ি খাগড়াছড়িতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। জেলার ১৮৭ ভোট কেন্দ্রে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটগ্রহণ শুরুর দিকে ভোটারের সংখ্যা কম দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে ভোটারের উপস্থিতি বেড়েছে। তীব্র শীত উপেক্ষা করে কোন কোন কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাররা ভোট প্রয়োগ করছেন। জেলা-উপজেলা শহরগুলোর তুলনায় প্রত্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে ছিল স্বতঃস্ফূর্ত ভোটারদের উপস্থিতি। পুরুষদের চেয়ে মহিলা ভোটারের উপস্থিতি ছিল চোখে পরার মতো। খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ১টি ও লক্ষীছড়ি উপজেলার ২টি ভোট কেন্দ্রে হেলিকপ্টারযোগে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা গেছেন গতকালই। সেখানেও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের কথা জানা গেছে। জেলায় মোট ভোট কেন্দ্র হচ্ছে ৮৮টি এবং ভোট কক্ষ হচ্ছে ৮২৯। নীলফামারী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারীর চারটি আসনে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল আটটা থেকে জেলার ৫০৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে। সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা সদরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন নীলফামারী ২ আসনের নৌকার মাঝি সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর। বেলা ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় নারী-পুরুষ ভোটারদের ঢল। তারা ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রদান করে। তবে নীলফামারী ৩ আসনের জলঢাকায় বেরুবন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। এ ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার হাসানুর রহমান জানান, বেলা ১১টার দিকে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। এসময় লাঙ্গল প্রতীকের সমর্থকরা তাদের বাধা দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় কেন্দ্রের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এক জামায়াত কর্মীকে আটক করা হয়। নেত্রকোনা দু-একটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া জেলার ১০ উপজেলার ৬শ’ ১৭টি কেন্দ্রেই শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটাররা সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন। নারী ভোটাররাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট প্রয়োগ করেছেন। তবে বেলা ১২টার পর থেকে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা কম দেখা গেছে। ভোটকেন্দ্রে গোলযোগ সৃষ্টির অভিযোগে কলমাকান্দা উপজেলার গোবিন্দপুর কেন্দ্র থেকে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেত্রী কলি আক্তারকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া খালিয়াজুরির পাঁচহাট কেন্দ্রে আটক হয়েছে দুজন। পটুয়াখালী উৎসবমুখর পরিবেশে রবিবার সকাল আটটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত। এখন চলছে গণনা। কুয়াশাঢাকা ভোরেই নারী-পুরুষ ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে গিয়ে লাইনে দাঁড়ায়। তারা সারিবদ্ধভাবে ভোট দেয়। মধুখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। তবে তেগাছিয়া কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্টরা এসে দুই ঘণ্টা পরে চলে গেছেন বলে শুনেছেন প্রিসাইডিং অফিসারের এমন দাবি। বিএনপির স্থানীয় প্রার্থীর নির্দেশে ভোট থেকে সমর্থকরা সরে গেছেন এমন গুজব চলছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে এর কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ময়মনসিংহ ময়মনসিংহের ১১টি আসনে ভোট গ্রহণের সময় ভোটারদের উৎসব আমেজ যেমন ছিল তেমনি ছিল গোলমালের চিত্রও। সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ছিল ভোটারদের ঢল। উৎসবমুখর পরিবেশে এসময় ভোটাররা তাদের ভোট প্রদান করেছেন। তবে ময়মনসিংহ-৪ সদর আসনের ময়মনসিংহ কলেজ কেন্দ্রের সামনের রাস্তায় ককটেল বিস্ফোরণের পর দুই পক্ষে ধাওয়া, পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় ভোটকেন্দ্রের ভেতরে কোন প্রতিক্রিয়া দেখা না গেলেও দুপুরের দিকে ভোটগ্রহণ কিছু সময় বন্ধ থাকে এই কেন্দ্রে। ময়মনসিংহ-৫ মুক্তাগাছা আসনের ত্রিমোহনী স্কুল কেন্দ্রে গোলমালের ঘটনায় দুপুরের পর থেকে প্রায় ৩ ঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুরের একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল কিছু সময়। এসবের বাইরে ১১টি আসনের বেশিরভাগ কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে। ময়মনসিংহের জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস ও পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে জানিয়েজেন, উল্লেখ করার মতো কোন ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হয়েছে। চাঁদপুর চাঁদপুর-১ কচুয়া আসনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার উপজেলার ১০৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে নারী- পুরুষ-যুবকরা শ্রেণীবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ভোটে অংশগ্রহণ করেন। ভোটগ্রহণ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সকাল ৮টায় নৌকা মনোনীত প্রার্থী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর তার নিজ কেন্দ্র গুলবাহার আশেক আলী স্কুল এ্যান্ড কলেজে ভোট প্রদান করেন। অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী মোশারফ হোসেন সকাল সোয়া ৯টায় তার নিজ কেন্দ্র বারৈয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন। চাঁদপুর-১ কচুয়া আসনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা আফরোজ বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে কচুয়া উপজেলার ১০৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। যে সকল কেন্দ্র থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছে আমরা সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। শরীয়তপুর রবিবার শরীয়তপুর-১ আসনে ১শ’ ১৮টি, শরীয়তপুর-২ আসনে ১শ’ ৩২টি ও শরীয়তপুর-৩ আসনে ১শ’টি ভোট কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও ভোট কেন্দ্রের আশপাশে বা জেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ঠাকুরগাঁও রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে প্রশাসন ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সার্বিক সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন চলাকালীন ভোটাররা যেন শান্তিপূর্ণ ও নিরাপত্তার সঙ্গে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারেন সে লক্ষ্যে শহর ও গ্রামেগঞ্জে সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি, নির্বাহী ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশসহ বিভিন্নস্তরের প্রশাসন দায়িত্ব পালন করেছে। ফলে নির্বিঘেœ ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়েছে। ২/১টি বিছিন্ন ঘটনা ছাড়া এ আসনে ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। বরগুনা বরগুনার দু’টি আসনে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ নির্বাচন সুষ্ঠু বললেও ভোটকেন্দ্র দখল, কেন্দ্র থেকে এজেন্ট নামিয়ে দেয়া, পুলিশী হয়রানিসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে বিএনপির। বিচ্ছিন্ন কয়েকটি সহিংসতায় আহত হয়েছে বিএনপির ১১ নেতাকর্মী। এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিকুজ্জামান টিটু এবং বিএনপি সমর্থক স্বপন বন্ধু। সকাল ৮টা থেকে দু’টি আসনের ২৯২টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সকালের দিকে কেন্দ্রে ভোটার উপিস্থিতি তেমন একটা না থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা বৃদ্ধি পায়। নির্বাচনে সকল ধরনের সহিংসতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপর থাকতে দেখা গেছে। তবে বিএনপির দাবি, আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলায় তাদের ১১ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে বরগুনা সদর উপজেলার পরীরখাল এলাকার বিএনপি কর্মী এমদাদুল হক মিলন, সাইদুর রহমান, বামনা উপজেলার আজীম, সোহাগ, পাথরঘাটা উপজেলার মোঃ জালাল, শাহীন মিয়া, ওয়াসিম, আবু বকর সিদ্দিক, বেলায়েত হোসেন, জাকির হোসেন, জাহাঙ্গীর। এদের মধ্যে জালাল, শাহীন, আবু বকর ও বেলায়েত হোসেনকে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বরগুনা জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম মোল্লা অভিযোগ করে জানান, পুলিশী হয়রানিসহ ভোটকেন্দ্র থেকে জোরপূর্বক তাদের এজেন্ট নামিয়ে দিয়ে কেন্দ্র দখলের মহা উৎসব করেছে আওয়ামী লীগ। তিনি দাবি করেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চেয়ে সৈরাচারী আচরণ করেছে বর্তমান সরকার। একাধিক কেন্দ্রে রাতের আঁধারে ব্যালটে সিল মারার কারণে অনেক ভোটার কেন্দ্রে গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। অন্যদিকে বরগুনা-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, এটা কোন নির্বাচন হয়নি, ভোট ডাকাতি করা হয়েছে। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনেও যে সুষ্ঠু ভোট হতে পারে, শেখ হাসিনা তা প্রমাণ করেছেন। বিগত দিনের তুলনায় বরগুনায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। ঝালকাঠি জেলার দুটি সংসদীয় আসনের ২৩৭ কেন্দ্রে রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোন কেন্দ্রে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে বেশিরভাগ কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থী এজেন্ট দিতে পারেনি। ঝালকাঠি-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সকাল নয়টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ঝালকাঠি ও নলছিটির বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করে ভোটের পরিবেশ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোঃ হামিদুল হক বলেন, সাড়ে চার হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং প্রায় সাড়ে তিন হাজার সরকারী-আধাসরকারী কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় জেলার ২৩৭ কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বজলুল হক হারুন সকাল নয়টায় কানুদাশকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান করে রাজাপুরের বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। ঝালকাঠি-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী জীবা আমিনা খান বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নবগ্রাম গ্রামে তার নিজ বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে সকল কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে দেয়ার অভিযোগ করে নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন। ঝালকাঠি-২ আসনে ঝালকাঠি পৌর এলাকার কুতুবনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে দুপুর ১২টায় ভোট দিয়ে বের হওয়া নতুন ভোটার পারভেজ হোসেন বলেন, জীবনের প্রথম ভোট আমি নিজে দিতে পেরে খুবই আনন্দিত। রাজাপুর উপজেলার ইন্দ্রপাশা ও মনোহরপুর কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আটজন আহত হয়। নওগাঁ ছোটখাটো বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া নওগাঁ জেলার ৬টি আসনের ৬৯৯টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে এখন শুরু হয়েছে ভোট গণনা। রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলাকালে জেলার কোথাও তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটান ঘটেনি। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে নারী ও পুরুষ ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। বিকেল ৪টার মধ্যে যেসব ভোটার এনক্লোজারের ভিতর প্রবেশ করেছেন, তাদের ভোটগ্রহণ শেষে গণনা শুরু হয়েছে। জেলায় প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন বলে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন কোথাও কোথাও ভোট প্রদানের হার তারও বেশি। নওগাঁ সরকারী কলেজ মহিলা ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ হাজার ৭শ ৩৩। এর মধ্যে ভোট প্রদান করেছেন প্রায় ২ হাজার ১শ জন। ভোট প্রদানে হার শতকরা প্রায় ৭৬ ভাগ। সদর উপজেলার বোয়ালিয়া কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ৩৩৪৫। এর মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ২৬৯৬। ভোট প্রদানের হার শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি। সদর উপজেলার পিরোজপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ৩৯৮২। এ মধ্যে ভোট কাস্টিং হয়েছে ৩১৩২টি। ভোট প্রদানের হার শতকরা ৭৮ ভাগ। ভবানীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ৩৫৩০। এর মধ্যে মোট ৩২০৮ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ভোট প্রদানের শতকরা হার ৯০ ভাগেরও বেশি। অপরদিকে নওগাঁ সদর উপজেলার পাহাড়পুর গাঁজামহল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে, বদলগাছি উপজেলার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এবং মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি ভোট প্রদান করেছেন ভোটাররা। ভোটকেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। ঝিনাইদহ কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহের চারটি সংসদীয় আসনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এ চারটি আসনের অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নৌকা মার্কার কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এ আসনগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের ঝিনাইদহ-১ আসনে আব্দুল হাই, ঝিনাইদহ-২ আসনে তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি, ঝিনাইদহ-৩ আসনে শফিকুল আজম খান চঞ্চল ও ঝিনাইদহ ৪ আসনে আনোয়ারুল ইসলাম আনারসহ মোট ১৭ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ঝিনাইদহের ৪টি আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার বিপরীতে বিএনপি তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদের মধ্যে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের বিএনপি প্রার্থী এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান ও ঝিনাইদহ ৪ (কালীগঞ্জ) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের বিএনপি প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ফিরোজ পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এর আগে দুপুরের দিকে ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর কোটচাঁদপুর) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে সুরা সদস্য মতিয়ার রহমানের পক্ষে নির্বাচন বর্জন ঘোষণা দেন তার প্রধান নির্বচনী সমন্বয়কারী ফারুক আহাম্মেদ। তিনি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন। মতিয়ার রহমান সম্প্রতি গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। এছাড়া আগেই ঝিনাইদহ-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী আব্দুল মজিদের প্রার্থিতা হাইকোর্টে বাতিল হয়ে যায়। জেলার ৪টি সংসদীয় আসনের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার কর্মী-সমর্থকদের সরব উপস্থিতি ছিল। অপরদিকে বিএনপি-জামায়াতের কর্মী-সমর্থকদের তেমন একটা দেখা যায়নি। মহেশপুরের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নওশের আলী বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচনে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, আনসার, ভিডিপিসহ বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন। সিরাজগঞ্জ জেলার ৬টি নির্বাচনী এলাকায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। জেলার মোট ৮৪৪ ভোট কেন্দ্রে কোথাও ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনাও ঘটেনি। তবে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীরা এই ভোট প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে। ফরিদপুর বিচ্ছিন্ন দু-একটা ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে ফরিদপুরের চারটি আসনের ভোটগ্রহণ। জেলার কোথাও বড় ধরনের কোন সংহিসতার কথা শোনা যায়নি। ভোটগ্রহণ চলার সময়ে ফরিদপুর-১ আসনে শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, ফরিদপুর-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী শামা ওবায়েদ এবং ফরিদপুর-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ভোট বর্জন করেন। বিএনপি প্রার্থীদের অভিযোগ ছিল তাদের এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না, জাল ভোট দেয়া হচ্ছে কিংবা আগের রাতে কেন্দ্রে ভোটের বাক্স ভরাট করে রাখা হয়েছে। কিন্তু এইসব প্রার্থীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল কোন কেন্দ্রে কোন এজেন্টকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কিন্তু তারা সুস্পষ্টভাবে কোন এজেন্টের নামই বলতে পারেনি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফরিদপুর-১, ২ ও ৩ আসনে বিএনপি প্রার্থীরা কোন এজেন্টের নামই ঠিক করেনি। পরাজয়ের ভয়ে বিএনপির কোন কর্মী বা সমর্থক নিজ দলের এজেন্ট হওয়ার জন্য রাজি হয়নি। এছাড়া জেলার প্রায় ২০টি কেন্দ্র ঘুরে এমন কোন ভোটার পাওয়া যায়নি যারা ভোট দিতে পারেনি। আবার আগের রাতে ভোট বাক্স ভরাট করে রাখার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গার ছিলাধরচর ও আটরা ভাটরা কেন্দ্রে বিক্ষিপ্তভাবে নৌকার প্রার্থী কাজী জাফরউল্যার সমর্থকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবর রহমান নিক্সন সমর্থকদের সঙ্গে মারামারি ঘটনা ঘটে। রংপুর রংপুরের ছয়টি আসনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছোটখাটো ২/১টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা কোন কেন্দ্রে ঘটার খবর পাওয়া যায়নি। অধিকাংশ কেন্দ্রে বিকেল ৩টার মধ্যে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে ভোটারের উপস্থিতি ছিল কম। রংপুর-৩ (সদর) আসনের মহাজোট প্রার্থী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বর্তমান এমপি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রংপুরে ভোট দিতে আসেনি। একই কেন্দ্রে রংপুর সদর আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী রিতা রহমান জানান, এখন পর্যন্ত রংপুরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। উল্লেখ্য, রংপুর জেলায় ছয়টি আসনে নৌকা-লাঙ্গল-ধানের শীষের প্রতীকের প্রার্থীসহ ৪২ জন রয়েছেন ভোটযুদ্ধে। তাদের মধ্যে রংপুর-১, রংপুর-৩ ও রংপুর-৬ এ তিনটি আসনে মহাজোটের একক প্রার্থী রয়েছে। বাকি তিনটিতে নৌকা-লাঙ্গলের উন্মুক্ত লড়াই। এছাড়া এক দশকেরও বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ধানের শীষ প্রতীকে দল থেকে ছয় প্রার্থীকে মাঠে রেখেছেন। রংপুর-৪ আসনের হারাগাছ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১১টায় দেখা যায়, সেখানে ৪০% ভোটার ভোট দিয়েছে। এ কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার আহসান হাবিব বলেন, এখানে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও রংপুর-১ আসনের মহাজোট প্রার্থী মশিয়ার রহমান রাঙ্গা রংপুর গঙ্গাচড়া সরকারী বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। ভোট দেয়ার পর তিনি বলেন, ‘উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। মানুষ নির্ভয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন।’ তিনি দাবি করেন, ‘এইচ এম এরশাদ অসুস্থ হওয়ায় নির্বাচনী প্রচার অংশ নিতে পারেননি। না হলে জাতীয় পার্টির ফলাফল আরও ভাল হতো। অসুস্থতার কারণে আবারও ১০ জানুয়ারি তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিতে যাবেন।’ রাঙ্গা আরও বলেন, ‘বিএনপি আর ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে না বুঝতে পেরে নানা কাল্পনিক অভিযোগ করছে। মির্জাপুর টাঙ্গাইল ৭ মির্জাপুর আসনে উৎসবের আমেজে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১১৩টি ভোটকেন্দ্রের কোথাও কোন প্রকার বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি বলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল মালেক জানিয়েছেন। একই তথ্য জানিয়েছেন মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুল হক। রবিবার সকাল থেকে বিকেলে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা ও গুনটিয়া, বানাইল ইউনিয়নের গল্লী, আনাইতারা ইউনিয়নের বাঙ্গরী, উয়ার্শী ইউনিয়নের সার্ফতা, মৈশামূড়া, গোড়াই ইউনিয়নের দেওহাটা, সোহাগপাড়া, মির্জাপুর পৌরসভার এস কে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও বাওয়ার কুমারজানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর, খালপাড়া, মহেড়া ইউনিয়নের মহেড়া, ছাওয়ালী, ভাতকুড়া, গবড়া, বাঁশতৈল ইউনিয়নের বাঁশতৈল, ভাওড়া ইউনিয়নের ভাওড়া, সরিষাদাইড়, আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল ও তরফপুর ইউনিয়নের পাথরঘাটা ও চকবাজার কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে বিপুল সংখ্যক ভোটারকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা গেছে। এরমধ্যে নারী ভোটারদের উপস্থিত ছিল লক্ষণীয়। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী সঙ্গে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। টাঙ্গাইল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের আটটি আসনে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শীতের কারণে সকালে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোটারদের দীর্ঘলাইন দাঁড়িয়ে থেকে ভোট দিতে দেখা গেছে। কোথাও অপ্রীতিকর কোন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার আটটি আসনের এক হাজার একটি কেন্দ্রের ৫ হাজার ৬৩১টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আটটি আসনে ২৭ লাখ ৮৪ হাজার ৪২২ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ৪১১ জন এবং মহিলা ভোটার রয়েছে ১৪ লাখ ৫ হাজার ১১ জন। আটটি আসনে প্রার্থী রয়েছেন ৫১ জন। এদিকে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইল জেলাকে নিরাপত্তার চাঁদরে ঢাকা ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের। তারা নিয়মিত টহল দিয়েছে। মৌলভীবাজার জেলার চারটি আসনে উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। সকালের দিকে ভোটারের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়তে থাকে। তবে গ্রাম ও শহরে পুরুষ ভোটারের চেয়ে মহিলা ভোটারের উপস্থতি বেশি ছিল লক্ষণীয়। মৌলভীবাজার-৩ আসনের সদর থানার আমতৈল ইউনিয়নের আমতৈল উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সকাল ১০টার দিকে প্রার্থীদের পুলিং এজেন্টদের মধ্যে কথাকাটাকাটির কারণে প্রায় ১০ মিনিট ভোটগ্রহণের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও তা পুনরায় চালু হয়। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বাহিরের কিছু লোক কেন্দ্রে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে নৌকা ও ধানের শীষের ৪-৫ কর্মী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ভোটগ্রহণ কার্যক্রম বন্ধ করেন। এমনটি নিশ্চিত করেন ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা অমিয় সাহা। ঘটনার খবর পেয়ে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন। জেলার চারটি আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং অন্যান্য দল মিলে ১৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন । মৌলভীবাজার-৩ আসনে কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে ৬৪ কেন্দ্রের ভোট স্থগিত চেয়েছেন বিএনপি প্রার্থী এম নাসের রহমান। কুড়িগ্রাম বেলা ১১টা উলিপুরের শ্যামপুর গ্রামের গৃহবধূ মরজিনা (১৮) তার তিন বছরের শিশুটিকে নিয়ে জীবনে প্রথম পাঁচপীর ডিগ্রী কলেজে ভোট দিতে এসেছে। জীবনের প্রথম ভোট দিতে পারা। খুব ভোরেই উঠেছে। সংসারের সব কাজ গুছিয়ে ভোট দিতে এসেছেন। নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন। গ্রামে থাকলেও দেশের সব খবরও রাখেন গৃহবধূ মরজিনা। সরকারের উন্নয়ন ধারাকেই তার পছন্দ। তার মতে, দেশে যেন গরিব না থাকে সবাই যেন দু’বেলা দু’মুঠো খেতে পারেন। দেশের উন্নয়ন অব্যাহত থাকুক এটাই চাওয়া। মহিলাদের এই বিশাল লাইনে ভোট দিতে দাঁড়িয়েছেন কারমাইকেল কলেজের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ইমু। ভীষণ খুশি সে। জীবনের নতুন অভিজ্ঞতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার পছন্দ। তিনি তার মনোনীত প্রার্থীকেই ভোট দিবেন। শুধু নতুন ভোটার মরজিনা ও ইমু নয় প্রত্যন্ত গ্রামে শত শত মহিলা বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে এবার ভোট দিতে এসেছে। পাঁচপীর ডিগ্রী কলেজে মোট ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ২১ জন। ১১টার মধ্যেই ১ হাজার ২৫ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। পাশের ভোট কেন্দ্র অর্জুনের ডারা প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানে প্রিসাইর্ডিং কর্মকর্তা অজয় কুমার জানান, মোট ভোটারের সংখ্যা ২ হাজার ৫শ’ তেষটি জন। দুপুরের মধ্যেই অর্ধেক ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। কেন্দ্রটির পাশের গ্রাম পাতারী বাড়ী, ম-লপাড়াসহ বিভিন্নœ গ্রাম থেকে শত শত পুরুষ-মহিলা ভোট দিতে এসেছে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায়। তবে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের সংখ্যাা অনেক বেশি। ম-লপাড়া গ্রামের চিনাবালা (৪৫), লক্ষ্মী বালা (৫৫), মুক্তা (৩৮), মুক্তা বেগম (৩৫) জানান, আমরা খুব খুশি ভোটের এই পরিবেশে। আমাদের কোথায় কেউ কোন বাধা দেয়নি। তারা বাড়ি থেকে এসে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছে। তারা বলেন, বর্তমান সরকার থাকলে দেশের হিন্দু-মুসলমানরা মিলে-মিশে থাকতে পারে। কোথায় কোন সন্ত্রাসী কর্মকা- হয় না। বাউফল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার নিজ এলাকা পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোন গোলাযোগের খবর পাওয়া যায়নি। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্র ঘুরে ব্যাপক নারী ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। পাশাপাশি পুরুষ ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। সকাল ১০টায় নৌকা মার্কার প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আসম ফিরোজ এবং বেলা সাড়ে ১১টায় ধানের শীষ মার্কার প্রার্থী সালমা আলম শহরের ৭ নং ওয়ার্ডের দাশপাড়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ও প্রধান সড়কগুলোতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব ও ভ্রাম্যমাণ আদালতকে টহল দিতে দেখা গেছে। পটুয়াখালী জেলা রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ সুপার বাউফলে কয়েকটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। ভোলা দ্বীপ জেলা ভোলায় রবিবার সকালে উৎসবমুখর পরিবেশে জেলার ৪টি আসনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। কনকনে শীতের মধ্যে ভোট গ্রহণ শুরুর আগেই ভোলার বিভিন্ন কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাররা ৮টা বাজার অপেক্ষা করতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারীদের পাশাপাশি পুরুষ ভোটারের সংখ্যা বাড়তে থাকে। দিনভর ভোটারদের উপস্থিতি ছিল উৎসবমুখর। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই বিকেল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। সকাল ৮টায় ভোলা জেলা শহরের মাসুমা খানম স্কুল কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় সংখ্যালঘু নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিকে সকাল ৮টায় ভোলা-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্র্থী ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ শহরের বাংলাস্কুল কেন্দ্রে নিজের ভোট দিয়েছেন। এ সময় তিনি বলেন, ভোলাসহ সারাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। এখানে কোন সমস্য নাই। এখানে বিএনপির এজেন্টও রয়েছে। ইতোমধ্যেই ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছে দুই তৃতীয়াংশের বেশি আসনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে। তিনি আরও বলেন, ১৯৭০ সালের মতো এবার নৌকার পক্ষে গণজোয়ার। বাংলার মানুষ ভোট দিয়ে তৃতীয় মেয়াদে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করবে। এদিকে ভোলা-১ সদর আসনের বিএনপি প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীর সকাল ৯টার দিকে বাংলাস্কুল কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। এ সময় তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে এসেছি। ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকব। তার নেতাকর্মী ও এজেন্টদের ভয় ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয় বলেও তিনি দাবি করেন। তবে সরেজমিনে ভোলা শহরের বাংলাস্কুল, সরকারী স্কুল ও মাসুমা খানম কেন্দ্রসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্ট দেখা গেছে। অপরদিকে ভোলা-৩ আসনেও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে বিএনপি প্রার্থী মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, তার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। তাকে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ চেয়েও পাননি। উল্টো তাকে বলা হয়, আপনার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা রয়েছে তাই আপনি বাসা থেকে বের হবেন না। তিনি ভোলা-৩ আসনে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি করে জানান গত ১০ বছরে মানুষ কেন ভোট দিতে পারেনি তার তদন্ত দাবি করে নির্বাচন কমিশনে ই-মেইল পাঠিয়েছেন। অপরদিকে ভোলা-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন জানান, গত ২৩ বছর বিএনপি ও মেজর হাফিজের অত্যাচারের কথা মানুষ এখনও ভোলেনি। তাই তার জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায় নেমেছে। এবার তার জামানত বাতিল হয়ে যাবে নিশ্চিত হয়ে তিনি আজ ভোট কেন্দ্রে যাননি। শাওন আরও জানান, তার এজেন্টরা ভোট কেন্দ্রে ছিল। লালমোহন থানার ওসি জানান, মেজর হাফিজকে ভোট কেন্দ্রে যেতে কেউ নিষেধ করেনি। বা বাধা দেয়নি। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×