এবার ভোটবিপ্লব হবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে ॥ কাদের

নিজস্ব সংবাদদাতা ফেনী, ২৮ ডিসেম্বর ॥ এবারের নির্বাচনে ভোটবিপ্লব হবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। বিএনপি-জামায়াত ভোটকেন্দ্র পাহারা দেয়ার নামে যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নিবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার ফেনী নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের ফেনীর জায়লস্করে সড়ক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন আমরা বেশির ভাগ আসনে জয়লাভ করব। তাই আমাদের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার প্রশ্নই ওঠেনা। আমাদের ক্ষমতায় বসাবেন এই দেশের জনগণ। বিদেশী কোন শক্তি আমাদের ক্ষমতায় বসাবে এটা সত্য নয়। বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ভারতের কোন হস্তক্ষেপ আছে বলে বা মাথা ঘামাবে বলে আমার জানা নেই। আমাদের ক্ষমতায় ভারত বসাবে না। আমাদের ক্ষমতায় বসাবে বাংলাদেশের জনগণ। যারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় নিয়ে যেতে চায়, তাদের অপচেষ্টাকে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণ সমুচিত জবাব দেবে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফেনী পৌর সভার প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজি, জায়লস্কর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিলন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালেহ আহম্মদসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। নিজস্ব সংবাদদাতা নোয়াখালী থেকে জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এবারের নির্বাচনে জনগণ অনেক বেশি উৎসবমুখর। নাশকতার আশঙ্কায় কেন্দ্রগুলো পাহারা দেয়ার জন্য নেতাকর্মীর পাশাপাশি জনগণও খুব সচেতন রয়েছে। নির্বাচন বানচালের যত চক্রান্তই হোক, এই অপচেষ্টা ব্যর্থ হবে। শুক্রবার শেষ বিকেলে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ছোট ফেনী নদী সেতু এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, নির্বাচনে নাশকতা ও সহিংসতার পরিকল্পনা হতে পারে। কিন্তু তারা সফল হবে না। যেভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে তাতে তাদের সকল পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে নির্বাচন স্বস্তিদায়ক হবে। তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে দুটি পক্ষ হয়ে গেছে। একটি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা চিন্তা করলেও অপর একটি পক্ষ নির্বাচনে থকার পক্ষে আছেন। জনবিচ্ছিন্ন অংশই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা চিন্তা করছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে বিএনপি নাশকতা ও সহিংসতা করার চেষ্টা করতে পারে। এতে শঙ্কিত হওয়ার মতো কোন কারণ নেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সব কিছুর পরও আমি আশা করছি সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশেই ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন শেষ হবে। ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার মনে হয় না তারা সরে যাবে। তাদেরও (ঐক্যফ্রন্ট) কিছু নেতা আছে যারা জিততে পারে। কাজেই আমার মনে হয় না তারা সরে যাবে। তবে এ নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে বিভক্তি আছে। এজন্য তারা (বিএনপি) নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে এবং নির্বাচন বাতিল করার জন্য দাবি জানিয়ে (বিএনপি) আগাম কিছু আবেদন তৈরি করে রেখেছে বলে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার এলাকায় টহলরত বিজিবি সদস্যরা এমন কিছু আবেদন ফরম উদ্ধার করেছে। কোম্পানীগঞ্জে নৌকার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি (কাদের) বলেন, ’৭০ সালের মতো গণজোয়ার দেখা যাচ্ছে। আশা করছি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নৌকা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবে। এর আগে ওবায়দুল কাদের উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বামনী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন এবং সকলের কাছে দোয়া চান।