ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখুন॥ তোফায়েল

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২২ ডিসেম্বর ২০১৮

 নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখুন॥ তোফায়েল

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ২১ ডিসেম্বর ॥ ভোলা-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে বিজয়ী করে আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছিলাম। আগামী ৩০ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুর কন্যা যিনি আজ বিশ্বখ্যাত নেতা। আবার সেই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা তা অব্যাহত রাখার আহবান জানান তিনি। তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমার কাছে ভোলায় এসে মনে হয়, জাতির পিতা আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন। তিনি তো আমাদের মাঝে আছেন। চিরদিন আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন। কারণ জাতির জনকের মৃত্যু নেই। তার আদর্শ নিয়ে তার কন্যা শেখ হাসিনা উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছেন। ’৭০-এ নৌকায় ভোট দিয়ে যেমন আমরা স্বাধীনতা এনেছি। আগামী ৩০ ডিসেম্বর আবার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমরা উন্নয়নকে ধরে রাখব। শুক্রবার ভোলার আলী নগর ইউনিয়নের দক্ষিণ আলীনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বেলা সাড়ে ১১টায় সদর উপজেলার গুইংঘারহাটে পথসভার মধ্যদিয়ে দিনের প্রচার শুরু করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। পরে তিনি গাজারিয়া বাজারসহ উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে পাঁচটি পথসভা করেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে নৌকার পক্ষে স্লোগান নিয়ে জনতার ঢল নামে। শুধু দলীয় কর্মীই নয়, বিভিন্ন বয়সী কয়েক হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেয়। বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আর ওরা যদি আবার ক্ষমতায় আসতে পারে, প্রথমদিনেই এক লাখের বেশি লোক হত্যা করবে। ২০০১ এর পর মেয়েদের ইজ্জত পর্যন্ত লুট করেছে। ভাল মানুষের চোখ তুলে নিয়েছে। সেই হাফিজ ইব্রাহিম মানুষ মেরেছে। ঘর পুড়িয়েছে। চরপাতায় দুজনকে মেরেছে। আমি আপনাদের সব সময় মনে রাখি। সামনে সুযোগ এসেছে। যারা ২০০১ সালের পর ঘর পুড়িয়েছে। মানুষ খুন করেছে। মা-বোনের ইজ্জত লুট করেছে। যারা খাবার প্লেট কেড়ে নিয়েছে। যারা নিরীহ মানুষের গলায় জুতার মালা পরিয়েছে। ২০০১ সালের অত্যাচারের প্রতিশোধ আমরা নেইনি। কিন্ত আগামী ৩০ ডিসেম্বর নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এই অত্যাচারের প্রতিশোধ নেবেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমাদের স্লোগান ‘আমার গ্রাম আমার শহর’। ইতোমধ্যেই আমাদের গ্রাম শহর হয়েছে। রাস্তা পাকা, ঘরে বিদ্যুত। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ দেয়ার কারণে আমাদের দেশে দারিদ্র্যসীমা কমে গেছে। তিনি বলেন, উত্তর দিঘলদীর মন্ত্রী ছিল। নিজের বাড়ি যাওয়ার রাস্তাও করেনি। আবার মোশারেফ হোসেন শাজাহানও মন্ত্রী ছিল, একটা রাস্তাও করেনি। আপনাদের এখানে রাস্তাঘাট, পুল, কালভাট আমি করেছি। ২/১ টা যা বাকি আছে টেন্ডার হয়েছে। আমি কোন রাস্তা কাঁচা রাখব না। সেই সময় আসছে আপনাদের ঘরে ঘরে গ্যাস পৌঁছবে। ভোলাতে পর্যাপ্ত গ্যাস আছে। নৌকায় ভোট দেবেন আপনার উন্নয়ন হবে। ভোলা আলীনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বশির আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু, যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন মনছুর প্রমুখ।
×