হাসান নাসির, চট্টগ্রাম অফিস ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার চট্টগ্রাম ছিল মিছিলের নগরী। বিকেলে লালদীঘি মাঠে নগরী ও জেলার ১৬টি আসনের প্রার্থীদের পরিচিতি সভার পর প্রচারে আসে নতুন গতি। এ সভায় ভিডিও প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে সেখান থেকে বিশাল মিছিলসহকারে প্রার্থীরা ফিরে যান নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায়।
লালদীঘি মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বশরীরে উপস্থিত না হলেও পরিচিতি সভা পরিণত হয় বিরাট এক জনসভায়। নগরী ও নগরীর বাইরে থেকে প্রার্থীদের সমর্থনে বড় বড় মিছিল এসে মিলিত হয় সভাস্থলে। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা হাতে ছবি ও প্রতীক সম্বলিত ফেস্টুন এবং মুখে ‘নৌকা-নৌকা’ স্লোগান ধারণ করে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ফাঁকে ফাঁকে করতালি ও মিছিলে প্রকম্পিত হয় এলাকা। সমাবেশ লালদীঘি মাঠ ছাড়িয়ে সংলগ্ন সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। পরিচিতি সভা শেষে মিছিল বেরিয়ে পড়ে বিভিন্ন সড়কে।
বুধবার লালদীঘি মাঠে উপস্থিত ছিলেন মহাজোট মনোনীত চট্টগ্রামের সকল প্রার্থী। পরিচিতি সভা সফল করার প্রস্তুতির কারণে দিনের প্রথমার্ধে তেমন গণসংযোগ হয়নি। তবে মিছিলসহকারে সমাবেশে যোগ দেয়ার যে ঢেউ শুরু হয় তা সন্ধ্যার পরও অব্যাহত থাকে। বিভিন্ন এলাকায় নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা অলিগলিতে খ- খ- মিছিল বের করে।
চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী এমএ লতিফ বুধবার পশ্চিম মাদারবাড়ি ওয়ার্ডের সদরঘাট থানা এলাকায় গণসংযোগ করেন। নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে তিনি আনু মাঝিরঘাট এলাকা থেকে শুরু করে মাঝিঘাট রোড, বাদশা মিঞা গলি বাইতুছ সালাত মসজিদসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ চালান। চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সমর্থনে বেশ কয়েকটি মিছিল দেখা যায় আন্দরকিল্লা, লালদীঘি, এনায়েত বাজার ও জামালখান এলাকায়। তিনিও স্থানীয় নেতাদের নিয়ে গণসংযোগ করেন।
চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালি) এলাকার বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ানের পক্ষে এদিন ব্যাপক গণসংযোগ হয়। তিনি প্রচারণা চালান বোয়ালখালী এলাকায়। তার প্রচারে উঠে আসে জড়াজীর্ণ কালুরঘাট সেতু।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: