ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তবলীগ জামাত নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে ॥ অভিযোগ সা’দ অনুসারীদের

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

তবলীগ জামাত নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে ॥ অভিযোগ সা’দ অনুসারীদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তবলীগ জামাত নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তবলীগ জামাতের মাওলানা সা’দ অনুসারীরা। বিদেশী মেহমানদের নিরাপত্তা দিতে হবে। চলমান সঙ্কট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে তারা ৯ দফা দাবি জানান। সোমবার বিকেলে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সা’দ অনুসারী তবলীগের মুরব্বি মাওলানা আশরাফ আলী এসব দাবি জানান। মাওলানা আশরাফ আলী জানান, দেশের বিভিন্নস্থানে পাকিস্তানী মতাদর্শের শূরাপন্থী এবং মাদ্রাসা ছাত্ররা হামলা ও ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে। তাদের আক্রোশের শিকার হয়েছে মূলধারা তবলীগের মুরব্বী ও সাথী এবং পর্দানশীন মহিলারা। তিনি বলেন, ১ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তবলীগের উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টঙ্গী মাঠের পুরো নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে নিতে হবে। নির্বাচনের পর উভয়পক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে টঙ্গী মাঠ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কাকরাইল মসজিদে উভয় পক্ষকে অবস্থান ও ব্যবহারে সমতা নিশ্চিত করতে হবে। একপক্ষ কাকরাইলে থাকলে অন্য পক্ষকে টঙ্গীর ময়দান পরিচালনার ও ব্যবহারের সুযোগ দিতে হবে। বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন মসজিদে বা এলাকায় একপক্ষ অন্য পক্ষকে তবলীগের কাজে বাধা দিতে পারবে না। বাধা দিলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। মাদ্রাসার ছাত্রদের দিয়ে তবলীগের কাজে বাধা দেয়া বা রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করা যাবে না। দারুল উলুম দেওবন্দ অধ্যক্ষ মুফতি আবুল কাসেম নোমানী এবং শিক্ষক ও পরিচালক হযরত মাওলানা আরশাদ মাদানী উভয়ই বলেছেন, দারুল উলুম দেওবন্দ তবলীগের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোন পক্ষে কথা বলবে না। আমরা চাই, দেশের আলেমরাও কথায় ও কাজে দারুল উলুম দেওবন্দের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেন। বিদেশী মেহমানদের নিরাপত্তা দিতে হবে। বাংলাদেশে তবলীগকে রাজনীতিমুক্ত রাখতে হবে। টঙ্গী এজতেমা ময়দানে তবলীগ জামাতের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রকৃত ঘটনা লুকিয়ে মূলধারা থেকে বিচ্যুতরাই তবলীগের ঐতিহ্য ও পুরান প্রথা ভেঙ্গে বিভাজন তৈরি করেছে। দুই পক্ষকে পৃথক কাজের সুযোগ থাকা ছাড়া এ মুহূর্তে সমাধান দেখছি না। বিদেশী মেহমানদের হেনস্থার অভিযোগ করে মাওলানা আশরাফ আলী বলেন, ইন্দোনেশিয়ার ১৩ তবলীগ সাথী কাকরাইলে রাখা তাদের পাসপোর্ট, ডলার ও অন্যান্য জিনিসপত্র আনতে গেলে তাদের হেনস্থা করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ করতে রমনা থানায় গেলেও থানা অভিযোগ গ্রহণ করেনি।
×