ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ছ’টি আসনের সব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে ॥ ইসি

প্রকাশিত: ০৫:০১, ২৫ নভেম্বর ২০১৮

 ছ’টি আসনের সব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে ॥ ইসি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছ’টি আসনের সব কেন্দ্রেই ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে কোন ছয়টি আসনে ব্যবহার করা হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। আগামী ২৮ নবেম্বর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শনিবার নির্বাচন কমিশনে বৈঠকে ছ’টি আসনের সব কেন্দ্রে ইভিএমে ব্যবহারের সিদ্ধান্তের কথা জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, দ্বৈবচয়নের মাধমে এসব আসন ঠিক করা হবে। প্রথম থেকেই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের আপত্তি জানিয়ে আসছে বিএনপি। পরে ঐক্যফ্রন্ট নামের জোট করার পর থেকেই জোটের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশনে চিঠিও দেয়া হয়েছে। কিন্তু ইসির পক্ষ থেকে সব সময়ই বলা হচ্ছিল এবারে নির্বাচনে সীমিত পরিসরে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর অনুষ্ঠানেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেন, কত আসনে এবং কোন কোন কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে তা শনিবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ব্যালট পেপারে ভোট দেয়ার ‘ঝামেলা’ দূর করতে হবে। আর এটি করতে পারে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। ইভিএম একটি নতুন উদ্যোগ। ইতিপূর্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এটি ব্যবহার করা হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে কোন আইনগত বাধা নেই। সেটা ব্যবহার করব। শনিবার বিকেলে কমিশনের বৈঠক শেষে ইসি সচিব এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে কোন ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে তা আগামী ২৮ নবেম্বর দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে আসনগুলো ঠিক করা হবে। তিনি বলেন, ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মোট ৪০ হাজারের মধ্যে ৯০০’র মতো কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। যেহেতু আসন নির্ধারণ করা হয়নি তাই গড়ে দেড় শ’টি করে কেন্দ্র ধরে নিলে মোট ৯শ’ কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হতে পারে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিধান রাখা হয়েছে কোন ভোটার যদি ইভিএমে ভোট দিতে না পারেন বা আঙ্গুলের ছাপ না মেলে সে ক্ষেত্রে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ওই ভোটারের পক্ষে ভোট দিতে পারবেন। একজন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোট ভোটের কত শতাংশ দিতে পারবেন জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, একজন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোট ভোটারের পক্ষে ২৫ শতাংশ ভোট দিয়ে দিতে পারবেন। মানুষ আগের চেয়ে অনেক শিক্ষিত হয়েছে। এছাড়া আমরা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে সুফল পেয়েছি। তাই ইভিএম ব্যবহারে কোন সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, রবিবার থেকে সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরের সদস্যদের তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তাদের সঙ্গে আমাদের আইসিটি শাখার কর্মকর্তারা, বিভাগীয় পর্যায়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন। ইভিএম যৌথভাবে সেনাবাহিনী ও ইসি কর্মকর্তারা পরিচালনা করবেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আপত্তির পরও ইভিএম ব্যবহার হওয়ার কারণ জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষ শিক্ষিত হচ্ছে। এসব বিবেচনা করে কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। এর আগে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে এবং জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন করতে দেশের প্রত্যেক জেলায় ইসির পক্ষ থেকে ইভিএম মেলার আয়োজন করা হয়। সেখানে ইভিএমে কিভাবে ভোট দিতে হয় জনগণকে তা শেখানো হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে গত ১২ নবেম্বর ঢাকা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইভিএম মেলার আয়োজন করা হয়।
×