ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বহুল প্রতীক্ষিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হচ্ছে কাল থেকে

প্রকাশিত: ০৬:১১, ১৪ নভেম্বর ২০১৮

বহুল প্রতীক্ষিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হচ্ছে কাল থেকে

মোয়াজ্জেমুল হক/ এইচএম এরশাদ ॥ নাটকীয় কোন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি না হলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হচ্ছে বহুল কাক্সিক্ষত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। তবে আশ্রিত তিনটি ক্যাম্পে মঙ্গলবার প্রত্যাবাসনবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করেছে রোহিঙ্গারা। পূর্বে দেয়া ৬ দাবির সঙ্গে নতুন আরও একটি দাবি যোগ করে তারা স্লোগান দিয়েছে। নতুন দাবিটি হচ্ছে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বিদেশী রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের অবাধ আসা-যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে মিয়ানমারকে। এদিকে প্রত্যাবাসনে উভয় দেশ প্রস্তুতিপর্ব সম্পন্ন করেছে। এপারে টেকনাফের নয়াপাড়া কেরুনতলীঘাট ও ওপারে মংডু টাউনশিপের অদূরে তাং ফো লে ওয়ে পয়েন্ট প্রস্তুত এবং নিরাপত্তাসহ যাবতীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কাল থেকে প্রতিদিন চলবে। দৈনিক দেড় শ’ রোহিঙ্গা এ পথে প্রত্যাবাসিত হবে বলে আবারও নিশ্চিত করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালাম। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ইউএনএইচসিআরের ভাড়া করা ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে প্রত্যাবাসন শুরু হবে। কেরুনতলীঘাট থেকে ওপারের তাং ফো লে ওয়ে পয়েন্টে পৌঁছতে সময় নেবে সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট। অপরদিকে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন যেন না হয় সে লক্ষ্যে বহুমুখী ষড়যন্ত্রের জন্ম নিয়েছে। এ ষড়যন্ত্রে রয়েছে দেশী-বিদেশী এনজিওসহ বিভিন্ন সংস্থা। বিভিন্ন সংস্থার দোহাই দিচ্ছে রাখাইন রাজ্য এখনও প্রত্যাবাসনে প্রস্তুত নয়। অথচ, মিয়ানমার ঘোষণা দিয়েছে রোহিঙ্গাদের অভ্যর্থনা জানাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। শুধু তাই নয়, মিয়ানমার পক্ষ আরও জানিয়েছে, প্রত্যাবাসন শুরু না হলে এর দায়ভার বাংলাদেশের ওপর বর্তাবে। এমন ঘোষণার পর প্রত্যাবাসন শুরুর পক্ষে ইতিবাচক তৎপরতার কোন বিকল্প নেই।
×