স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ২৩ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। টেলিফোনে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় জনকণ্ঠকে জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় ইলেকশনের তারিখ ঘোষণার বিষয়টি আমরা সাপোর্ট দিয়ে আসছিলাম। আমরা বলেছিলাম অন্য দলের মতামত যাই হোক আমরা তফসিল চাই। কমিশন কথা রেখেছে। তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আমরা আশা করি একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।
সন্ধ্যায় এক প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আশা করি সকল রাজনৈতিক দল ও মানুষের সহযোগিতায় সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সবাই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকে তাকিয়ে আছে। এটা নির্বাচন কমিশনের জন্যও চ্যালেঞ্জ। আশা করি সেই চ্যালেঞ্জ তারা সফলভাবেই উত্তরণ ঘটাতে পারবে।
তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সংলাপে আমরা বারবার দাবি জানিয়েছি ঘোষিত সময়ের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করার জন্য। কারণ সবগুলো রাজনৈতিক দল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। যারা চায় না তারাও আশা করি এখন নির্বাচনমুখী হবে। তিনি বলেন, সময় কম। দেশের মানুষ অধীর আগ্রহে আছে নির্বাচনের জন্য। তাই তফসিল পেছানো কোনভাবেই ঠিক হতো না। নির্বাচন কমিশন বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে তফসিল ঘোষণা করায় আমরা শুধু নই, দেশবাসী খুশি। নির্বাচনের দিন সেনা মোতায়েন ও পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মনে করি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা প্রয়োজন। এতে সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়ে। ইসির সঙ্গে সংলাপে আমরা এ বিষয়গুলোও তুলে ধরেছিলাম।
গুলশানের নিজ বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হাওলাদার আরও বলেন, সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। আগের চেয়ে তিন লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বাড়ানো হয়েছে। এতেও আমরা খুশি। সীমিত পরিসরে ইভিএম ব্যবহারের দাবি ইসি আমলে নিয়েছে। অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে ইসি সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাই ইসির প্রতি সকলের পূর্ণ আস্থা আছে। আশা করি সংবিধানের ভেতরেই সবকিছু করা হবে।
তিনি বলেন, জাতির উদ্দেশে দেয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ শুনলাম। উনার প্রতিটি বক্তব্য ও সিদ্ধান্ত ভাল লেগেছে। আশা করি সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে আশা জাগাবে তার বক্তব্য এবং দেশে এখন নির্বাচনের উৎসব তৈরি হবে। সবাই ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে নির্বাচনের পথে আসবেন। এতে দেশ আরও গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাবে বলে আমি মনে করি।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে ১৯ নবেম্বর পর্যন্ত, তা বাছাই হবে ২২ নবেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৯ নবেম্বর। তার ২৩ দিন পর হবে ভোটগ্রহণ। অর্থাৎ ২৩ ডিসেম্বর। ৩০০টি আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচনে এবার ভোট দেবেন ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৪৮০ ভোটার। নির্বাচন নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক শিবিরে মতানৈক্যের অবসান না ঘটার মধ্যে বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: