ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পেপারলেস হচ্ছে এনবিআর

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ৫ নভেম্বর ২০১৮

 পেপারলেস হচ্ছে এনবিআর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)’কে পেপারলেস করে ডিজিটাল করার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। তবে, ঠিক কতদিনের মধ্যে ডিজিটাল হবে সেটি নির্ধারণ করে অন্য সরকারী প্রতিষ্ঠানকেও তা অনুসরণ করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ। রবিবার দুপুরে কাকরাইল ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)’এ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত নাগরিক সেবায় উদ্ভাবন ‘ইনোভেশন শোকেসিং’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় এনবিআর ও সঞ্চয় অধিদফতরের ১১টি উদ্ভাবনকে শোকেসিং এর আওতায় আনা হয়েছে। একাধিক এ্যাপসহ ডিজিটাল সেবা এর আওতাধীন। এসব সেবা তুলে ধরতেই এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সেবার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন এনবিআর সদস্য (আয়কর) কানন কুমার রায়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতি ছাড়া আর্থিক খাতকে দুর্নীতি মুক্ত করা সম্ভব নয়। এনবিআর এর ১১টি সেবাকে একটি এ্যাপ বা একই ছাতার তলে নিয়ে আসা উচিত। এনবিআরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পেপারলেস অফিস কতদিনে করা যাবে ? ১ বছর, ২ বছর, ৫ বছর, ১০ বছর বা ২০ বছর ? অনেকেই এ সময় হাত নেড়ে ২ বছরেরর কথা জানান। পরে মুখ্য সমন্বয়ক আজাদ এনবিআর চেয়ারম্যানের উদ্দেশে বলেন, ‘স্যার, আপনি আপনার কর্মকর্তাদের নিয়ে বসুন। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পেপারলেস এনবিআর করতে একটি সময় নির্ধারণ করুন। আপনি যে সময় নির্ধারণ করবেন, যে পরিকল্পনা করবেন আমরা অন্যান্য অফিসের জন্যও সেই সময় নির্ধারণ করব।’ মুখ্য সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘যেভাবে আপনারা এনবিআরকে ডিজিটাল করছেন, কর আহরণ যেভাবে বাড়ছে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে আমাদের অগ্রগতি কেউ থামাতে পারবে না।’ সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা পেপারলেস অফিস করার অগ্রযাত্রা যদি শুরু করতে পারি তবে অন্যান্য অফিসেও তা শুরু হবে। আজ আমাদের কর্মচারীরা উদ্বুদ্ধ হয়েছে। সবচেয়ে বৃহৎ জনবল নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা যদি শুরু করতে পারি তাহলে অন্যান্য অফিসেও তা শুরু হবে।’
×