ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

জেলা পরিষদের পুকুর দখল করে স্থাপনা নির্মাণ

প্রকাশিত: ০৪:৫৩, ২৯ অক্টোবর ২০১৮

 জেলা পরিষদের পুকুর দখল করে স্থাপনা  নির্মাণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ২৮ অক্টোবর ॥ তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়িয়া বাজারে ৭৫ বছরের পুরনো জেলা পরিষদের পুকুর দখল করে ঘর নির্মাণ করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী নুরুল ইসলাম ফকির ও বশির ফকির। তারা পুকুরের দখল পজিশন বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। জেলা পরিষদের সচিব ফরিদুল ইসলাম খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘর নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দিলেও প্রভাবশালীরা তা মানছে না। জানা গেছে, ১৯৪৩ সালে বরগুনা জেলা পরিষদ তালতলীর কড়াইবাড়িয়া বাজারের পশ্চিম পাশে ৬৭ শতাংশ জমিতে পুকুর খনন করে। ওই পুকুরের পানি ব্যহবার করে ওই এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষ। বর্তমানে ওই বাজারের কয়েক হাজার মানুষ পুকুরের পানি গৃহস্থালি কাজে ব্যবহার করছে। গত ১৫ দিন পূর্বে প্রভাবশালী নুরুল ইসলাম ফকির ও বশির ফকির ওই পুরনো পুকুরে ঘর নির্মাণ শুরু করে। বরগুনা জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় বাজার কমিটির লোকজন পুরনো পুকুরে ঘর নির্মাণে নিষেধ করে। কিন্তু তারা তাদের নিষেধ উপেক্ষা করে ৪০টি ঘর নির্মাণ করেছে। ঘর নির্মাণ করায় ময়লা আবর্জনায় পুকুরের পানি নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে ওই পুকুরের ঐতিহ্য হারাচ্ছে এবং গৃহস্থালি কাজে পানি ব্যবহার করতে পারছে না। এতে সমস্যায় পড়েছে ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রভাবশালী নুরুল ইসলাম ফকির ও বশির ফকির নেতৃত্ব দিয়ে মানিক ফকির, ফোরকান মোল্লা, শহিদ মোল্লা, ফয়েজ ফকির, দেলোয়ার ফকির, আফজাল ফকির, দুলাল ফকির, জলিল ফকির, খলিল ফকির ও সেলিম ফকিরসহ ৪০টি ঘর নির্মাণে সহযোগিতা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পুরাতন পুকুরের দক্ষিণ ও পূর্ব পাড়ে পুকুরের মধ্যে পিলার করে ঘর নির্মাণ করেছে। পুকুর দখল করে ঘর নির্মাণ করায় ময়লার স্তূপে পানি নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ওই বাজারে বসবাসরত মানুষ পানি ব্যবহার করতে পারছে না। কড়াইবাড়িয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল বাসার তালুকদার জানান, পুকুর দখল করে ঘর নির্মাণ করায় ময়লা আবর্জনায় পানি নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে কড়াইবাড়িয়া বাজারের দুই শতাধিক ব্যবসায়ী পরিবার গৃহস্থালি কাজে পানি ব্যবহার করতে পারছে না। বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, পুরাতন পুকুর দখল করে ঘর নির্মাণ করায় কড়াইবাড়িয়া বাজারের পরিবেশ এবং পুরাতন পুকুরের ঐহিত্য নষ্ট হয়েছে। দ্রুত পুকুর দখলমুক্ত করার দাবি জানাই। নুরুল ইসলাম ফকির বলেন, পৈত্রিক সম্পত্তিতে আমি ও আমার স্বজনরা ঘর নির্মাণ করেছি। বরগুনা জেলা পরিষদের সচিব মোঃ ফরিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি জানি। অতি দ্রুত পুকুর দখলমুক্ত করা হবে।
×