ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাফ অনুর্ধ-১৫ ফুটবল, উচ্ছ্বাসের হ্যাটট্রিক

মালদ্বীপকে ৯ গোলে উড়িয়ে সেমিতে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২৮ অক্টোবর ২০১৮

মালদ্বীপকে ৯ গোলে উড়িয়ে সেমিতে বাংলাদেশ

রুমেল খান ॥ ম্যাচের আগে সমীকরণটা ছিল এমন- জিতলেই শেষ চারে নাম লেখানোটা নিশ্চিত হয়ে যাবে। সেই কাজটাই অনায়াসে করে ফেললো বাংলাদেশের কিশোররা। সাফ অনুর্ধ-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বিশাল জয় কুড়িয়ে নিয়েছে তারা। শনিবার নেপালের ললিতপুরের আনফা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে প্রতিপক্ষ মালদ্বীপকে রীতিমতো গোলের বন্যায় ছয়লাব করে দিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। স্কোরলাইন ছিল ৯-০! দলের জয়ে একাই হ্যাটট্রিকসহ চার গোল করে ফরোয়ার্ড নিহাত জামান উচ্ছাস। এছাড়া ফরোয়ার্ড রাসেল আহমেদ এবং মিডফিল্ডার আশিকুর রহমান জোড়া গোল করে। অপর গোলটি অধিনায়ক-মিডফিল্ডার মেহেদী হাসানের। খেলার প্রথমার্ধেই বিজয়ী দল এগিয়ে ছিল ৪-০ গোলে। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সেমিফাইনাল খেলা নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ দল। ৩ পয়েন্ট নিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে সেমিতে উঠেছে গ্রুপের আরেক দল স্বাগতিক নেপাল, যারা নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল মালদ্বীপকে। টানা দুই ম্যাচেই হেরে পয়েন্টশূন্য মালদ্বীপ রিক্তহস্তে বিদায় নিল টুর্নামেন্ট থেকে। আগামী সোমবার গ্রুপসেরা হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-নেপাল। এ ম্যাচ ড্র হলেও গোল তফাতে এগিয়ে থাকার সুবাদে (এখন বাংলাদেশের +৯, নেপালের +৪) বাংলাদেশই হয়ে যাবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই ছন্দে খেলে আধিপত্য বিস্তার করে বাংলাদেশ। একের পর এক আক্রমণ শানায়। সেগুলো প্রতিহত করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় মালদ্বীপ-রক্ষণভাগকে। তবে প্রথম ১০ মিনিট পর্যন্ত নিজেদের পোস্ট গোলমুক্ত রাখতে সক্ষম হয় তারা। কিন্তু ১১তম মিনিটে ভেঙ্গে যায় তাদের সব প্রতিরোধ। মুড়ি-মুড়কির মতো গোল করতে শুরু করে বাংলাদেশ। ১১ মিনিটে কামরানউদ্দিন রাজুর লম্বা করে বাড়ানো বলে মেহেদী হেড করার পর ডি-বক্সের মধ্যে ফাঁকায় থাকা উচ্ছাস নিখুঁত টোকায় বল জালে জড়িয়ে দেন (১-০)। ২০ মিনিটে উচ্ছাসের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। সতীর্থের লম্বা থ্রো ইনের পর বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দু’জনকে কাটিয়ে তীব্র শটে লক্ষ্যভেদ করে এই ফরোয়ার্ড (২-০)। তিন মিনিট পর প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের ব্যাকপাস থেকে বল পাওয়ার পর গোলরক্ষককে সহজেই পরাস্ত করে হ্যাটট্রিক পূরণ করে উচ্ছাস (৩-০)। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দূরপাল্লার শটে কাছের পোস্ট দিয়ে মেহেদী লক্ষ্যভেদ করলে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় বাংলাদেশ (৪-০)। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া শটে জাল খুঁজে নেয় উচ্ছাস (৫-০) পরের মিনিটেই মেহেদীর সঙ্গে বল দেয়া-নেয়া করে তীব্র শটে ব্যবধান আরও বাড়ায় রাসেল আহমেদ (৬-০)। ৬৬ মিনিটে সতীর্থের থ্রো ইন হাঁটু দিয়ে নামিয়ে দারুণ ফ্লিকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে রাসেল (৭-০)। ৮০ মিনিটে মালদ্বীপ গোলরক্ষক বল গ্লাভসবন্দী করতে ব্যর্থ হলে বদলি হিসেবে নামা মিডফিল্ডার আশিকুর রহমান চমৎকার এক ব্যাকভলিতে স্কোরলাইন ৮-০ করে। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে তৌহিদুল ইসলাম হৃদয় নিজে শট না নিয়ে ডানদিকে থাকা আশিকুরকে বল বাড়ায়। নিখুঁত শটে মালদ্বীপের হারের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেয় এই মিডফিল্ডার (৯-০)। ২০১৫ সালে নিজেদের মাটিতে এই আসরের শিরোপা জেতা বাংলাদেশ পরের আসরে (২০১৭) শিরোপা ধরে রাখতে পারেনি।
×