ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ করে রফতানি আয় বাড়ানোর উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৪:২২, ২৮ অক্টোবর ২০১৮

খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ করে রফতানি আয় বাড়ানোর উদ্যোগ

ওয়াজেদ হীরা ॥ বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনে দিন দিন সাফল্য আসছে। কৃষিপণ্য রফতানির উজ্জ্বল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে মান উন্নত ও ফুড প্রসেসিং ব্যবস্থা সায়েন্টিফিক্যালি না হওয়ায় অনেক সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। আর এতে করে উৎপাদনের বিরাট অংশ পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিশ্বে সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ ৩য়, আলু ও আম উৎপাদনে ৭ম, পেয়ারা উৎপাদনে ৮ম অবস্থানে রয়েছে। তবে কৃষিপণ্য রফতানিতে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে আসতে পারছে না বাংলাদেশ। কৃষি বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীদের মতে, নজর দিলে কৃষিপণ্য রফতানিতে একটা অবস্থান করে নিতে পারবে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যেই কৃষি অর্থনীতির বিকাশ ঘটাতে ফুড প্রসেসিং করে সেই পণ্য রফতানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আর এতে করে উৎপাদিত পণ্যের অনেকটাই নষ্ট হওয়া থেকে কমে আসবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোসহ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিভিন্ন কৃষি পণ্য উৎপাদনে ইতোমধ্যে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ। তবে উৎপাদন মৌসুমে সংরক্ষণের অভাবে অনেক কৃষি পণ্য পচে নষ্ট হয়। রফতানি বাড়লে কৃষক লাভবান হবে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রা ভা-ার হবে সমৃদ্ধ। সূত্রমতে, বাংলাদেশ অনায়াসেই দেশের চাহিদা মিটিয়ে অনেক কৃষিপণ্য রফতানি করতে পারে। তাছাড়া কৃষিভিত্তিক শিল্প উন্নয়নেরও রয়েছে বিরাট সম্ভাবনা। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা, উদ্যোক্তা বিশেষ করে যুবকদের উৎসাহিত করা, প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, পর্যাপ্ত ঋণ, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুত সরবরাহ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। তাহলে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও দরিদ্র বিমোচনে মডেল হবে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে। ‘রেডি টু ইট’ ক্যাটাগরির আওতায় শীতকালীন সবজি থেকে শুরু করে দেশের মৌসুমি ফল আম-কাঁঠালের মতো পণ্যের প্রক্রিয়াজাত খাবার রফতানি হবে বিদেশে। খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের বিকাশে কি সমস্যা রয়েছে এবং তা উত্তরণে করণীয় নির্ধারণে একটি রোডম্যাপ তৈরি করছে সরকার। সম্পূর্ণ কৃষিভিত্তিক এই শিল্পখাতে উদ্ভিদ, মৎস্য ও প্রাণিজ খাদ্য, মধু ও মৌমাছির বিপণন, বোতলজাত পানি ও লবণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমান রেডি টু ইট ক্যাটাগরির আওতায় ১৪০টি দেশে প্রক্রিয়াজাত খাবার রফতানি হচ্ছে। সংশ্লিস্ট সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে। আরও জানা গেছে, দেশে প্রায় ৬৮২ লক্ষ টন প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য উৎপাদন হচ্ছে এবং প্রায় ১৭০ লক্ষ টন রফতানি হচ্ছে। সূত্র মতে, রেডি টু ইট পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার প্রায় ৭০ হাজার কোটি ডলার। এর বিপরীতে এ খাতে বাংলাদেশের রফতানি খুবই নগণ্য। এ সংক্রান্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘রেডি টু ইট’ ক্যাটাগরির পণ্য খাতে রফতানি আয় ২০২১ সাল নাগাদ ৬০০ কোটি ডলার এবং ২০৪১ সাল নাগাদ আড়াই হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এজন্য বেসরকারী খাতের বিনিয়োগ বাড়ানোর উপর তাগিদ দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, কৃষি অর্থনীতির আকার বাড়াতে ২০৩০ সালের মধ্যে কৃষির উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে, বাংলাদেশ থেকে প্রসেসিং বা প্রক্রিয়াজাতকরণ খাবার আমদানির পাশাপাশি এ শিল্পে যৌথ অথবা একক বিনিয়োগের প্রস্তাব করছেন বিদেশী উদ্যোক্তারা। পোল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা কৃষিজাত খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে বিনিয়োগের জন্য ইতোমধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। শুধু ফুড প্রসেসিং শিল্পের জন্য পৃথক অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির জন্য জমি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন, ফুড প্রসেসিং শিল্পের উদ্যোক্তা-বিনিয়োগকারীদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঋতুভেদে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের সঠিক ব্যবহার করা গেলে দ্রুত এ শিল্পের রফতানি বাড়ানো সম্ভব। এজন্য ফুড প্রসেসিং শিল্পের বিকাশ ঘটানোর কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের নীতিগত সহায়তা এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর করার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। এছাড়া শুল্ক ও অশুল্কজনিত যেসব সমস্যা রয়েছে তাও দূর করা প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ফুড পসেসিং শিল্পের বিকাশ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গত বছর সরকারী উদ্যোগে জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। টাস্কফোর্সের বিভিন্ন বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে। টাস্কফোর্সে বৈঠকেও বার বার উঠেছ এসেছে এই শিল্পে সমস্যা ও সম্ভাবনার বিষয়টি। টাস্কফোর্স মনে করছে, উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা প্রদান ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো গেলে অতি দ্রুত দেশের এই সম্ভাবনাময় খাত ফুড প্রসেসিং শিল্পের বিকাশ ঘটবে। ফুড প্রসেসিং শিল্পের আওতায় বাংলার ঐহিত্য কুমিল্লার রসমালাই থেকে বগুঁড়ার দই, টাঙ্গাইলের চমচম এমনকি নেত্রকোনার ঐহিত্য বালিশ মিষ্টি সবই রফতানি করা সম্ভব। জানা গেছে, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে এ শিল্প খাত একদিকে যেমন কৃষকের পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করছে, তেমনি প্রক্রিয়াকরণের কারণে কৃষিজাত এসব পণ্য সংরক্ষণ করা যাচ্ছে বছরজুড়ে। স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর এসব খাদ্য দেশের পুষ্টি চাহিদা মেটাতেও সহায়তা করছে। বিশেষ করে টমেটো, আলু, আম, জলপাই, বিভিন্ন ধরনের ভেজিটেবলস থেকে বর্তমানে দেশেই চিপস, কুকিবাইট, ভেজিটেবল জুস, চানাচুর, ম্যাংগো জুস, পিংক গোয়াভা, ফ্রুট মকটেল, চকলেটসহ বিভিন্ন খাদ্য তৈরি করা হচ্ছে। নানা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও সম্ভাবনার আলোকে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য নিয়ে বাংলাদেশ এ্যাগ্রো প্রসেসরস এ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-অনুষ্ঠিত হয়। এবারও ৬ষ্ঠ বাপা ফুডপ্রো এক্সপো অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাপার সভাপতি ফখরুল ইসলাম মুন্সি জানিয়েছেন, প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য খাত জিডিপিতে ২ শতাংশের বেশি অবদান রাখছে। এই খাতে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি রনফতানি আয় অর্জন করেছে। এাছাড়াও বিশে^র ১৪৪টির বেশি দেশে বাংলাদেশের প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য নিয়মিতভাবে রফতানি হচ্ছে। বিদেশে এই রফতানির সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে। কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে বাপার সভাপতি বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বেড়েই চলছে। কৃষি-প্রক্রিয়াজাত পণ্যের কাঁচামালের চাহিদা ৭০-৮০ শতাংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয়। আগামী ৫-৭ বছরের মদ্যে এই খাতে রফতানি দশ হাজার কোটি টাকা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন। এ্যাগ্রো ফুড প্রসেসিং শিল্পের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বাংলাদেশ এ্যাগ্রো প্রসেসরস এ্যাসোসিয়েশনের মতে, (বাপা), ফুড প্রসেসিং শিল্প সম্ভাবনাময় খাত। বাপার সভাপতি মনে করেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এমনকি চীন ও জাপানে প্রতিনিয়ত চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু প্রক্রিয়াজাত শিল্পের অবকাঠামো দুর্বলতায় পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত কৃষি রফতানিতে ব্যাংক সুদের হার ও শুল্কের ক্ষেত্রে বড় ধরনের সুবিধা দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও উচ্চ সুদের হার রয়েছে। আবার দেশে কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচও বাড়ছে। ফলে আমরা পণ্যের দামে প্রতিযোগীদের চেয়ে পিছিয়ে পড়ছি। এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রূপকল্প-২১ সামনে রেখে ৬০ বিলিয়ন ডলার রফতানির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা পূরণ করতে হলে এখন কৃষিভিত্তিক এই শিল্পে নজর দেয়া প্রয়োজন। কৃষিভিত্তিক এই সেক্টরের বিনিয়োগ বাড়ানো হলে ফুড প্রসেসিং করে সব ধরনের খাদ্যপণ্য রফতানি করা সম্ভব। এসব খাদ্যপণ্যের কদর রয়েছে প্রবাসী বাঙালীদের কাছে। এছাড়া এসব খাবার বিদেশীদের কাছেও খুব পছন্দ। ইতোমধ্যে ফুড প্রসেসিং শিল্পে বিনিয়োগ বাড়িয়ে আরএফএল শিল্পগোষ্ঠীর ‘প্রাণ’ সামগ্রী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে। এদের পাশাপাশি এ শিল্পে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে স্কয়ার শিল্প গ্রুপ ও আহমেদ ফুড প্রোডাক্টস। ফুড প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে আমের আচার থেকে শুরু করে এখন মুড়ির মোয়া পর্যন্ত বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে। জানা গেছে, রফতানি নীতিমালায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রাপ্ত খাতের তালিকায় স্থান পেয়েছে এ্যাগ্রো-প্রোডাক্টস ও এ্যাগ্রো-প্রসেসড পণ্য। এ শিল্পের বিনিয়োগকারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হ্রাসকৃত সুদ-হারে প্রকল্প ঋণ প্রদান করার ঘোষণা রয়েছে। এছাড়া আয়কর রেয়াত প্রদান, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিমানে পরিবহনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান, বন্ড সুবিধা, পণ্যের মানোন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ও কারিগরি সুবিধা সম্প্রসারণ করা, কমপ্লায়েন্ট শিল্প স্থাপনে বিনাশুল্কে ইকুইপমেন্ট আমদানির ব্যবস্থা করা, পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতে সহায়তা করা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশে এ্যাগ্রো-প্রসেসিং খাতে উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়ছে। নিজস্ব প্রসেসিং ইউনিট রয়েছে এমন প্রসেসড ফুড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৭০০। এছাড়া বর্তমানে ম্যানুফ্যাকচারিং পণ্যের প্রায় ২২ শতাংশ হচ্ছে এ্যাগ্রো প্রসেসড পণ্য। এবারের অনুষ্ঠিত বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপোতে বাহিরের বিভিন্ন মেশিনারিজ প্রদর্শিত হয়েছে। কয়েক লাখ টাকার এসব মেশিনারিজ বিভিন্ন উদ্যোক্তারা দেখে ধারণা নিয়েছে। বাংলাদেশের গুঁড়া মসলা উৎপাদক ও রফতানিকারক কোম্পানিগুলোর জন্য ভারতের লিথোটেক কোম্পানি নিয়ে এসেছে আধুনিক মেশিন। এই মেশিন দিয়ে ছোট থেকে বড় কোম্পানি মানসম্মত মসলা তৈরি করতে পারবে। এ জন্য কোম্পানিগুলোর খরচ পড়বে তুলনামূলক কম। জানা গেছে, এই মেশিনটি চাহিদা অনুসারে বাংলাদেশী কোম্পানিগুলোকে সরবরাহ করা হয়, যার উৎপাদন ক্ষমতা ঘণ্টায় ৫০ কেজি থেকে আড়াই টন পর্যন্ত। এক মেশিন দিয়েই আদা, হলুদ, মরিচ, ধনিয়া, গরম মসলা, ডালসহ বিভিন্ন মসলা গুঁড়া করা যায়। এ বিষয়ে আফজাল এম কাতাদিয়া বলেন, ভারতে আমাদের প্রধান কার্যালয়। বাংলাদেশের খ্যাতনামা বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে আমাদের কাছ থেকে মেশিন ক্রয় করেছেন। তারা আমাদের মেশিন নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই এবার মেলায় আংশগ্রহণ করেছি। মেলায় কৃষিপণ্য ও ফল-সবজিতে ক্ষতিকারক কীটনাশকের পরিবর্তে হারবাল পোকানাশক ওষুধ নিয়ে এসেছে চীনের বেইজিং মাল্টিগ্রাস ফর্মূলেশন কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটির গ্লোবাল মার্কেটিং ডিরেক্টর শেরণ সেং বলেন, বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্যের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ দেশের স্থানীয় ও বিশ্ববাজারে এর চাহিদা রয়েছে। আর বিশ্ববাজারের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে খাদ্যপণ্যের গুণগতমান নিশ্চিত হতে হবে। ফুড প্রসেসিং নিয়ে ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো মেলা কমিটির চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, জন্মলগ্ন থেকেই ফুড প্রসেসিং সেক্টরের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাপা। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ফুড প্রসেসিং সেক্টরের ক্রমবর্ধমান বিকাশ নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ সেক্টরকে এগিয়ে নেয়া। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন উন্নত প্রযুক্তি এবং মেশিনারিজ ব্যবহারের বৃদ্ধি এবং চাহিদার প্রেক্ষিতে ফুড প্রসেসিংয়ের সারা বছর দেশে মাধ্যমে সব ধরনের খাবারই পাওয়া যাবে সেসময় খুব দূরে নয়।
×