ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রিটিশ উগ্রপন্থী ধর্মীয় নেতা আনজেম চৌধুরীর মুক্তি

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২০ অক্টোবর ২০১৮

 ব্রিটিশ উগ্রপন্থী ধর্মীয় নেতা আনজেম চৌধুরীর মুক্তি

ব্রিটেনের উগ্রপন্থী ধর্মীয় নেতা আনজেম চৌধুরীকে (৫১) শুক্রবার ভোরে বেলমারশ কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীকে সমর্থন জানিয়ে তাতে যোগ দিতে লোকজনকে উৎসাহিত করার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছিল। বিচারে তার পাঁচ বছর ছয়মাসের জেল হয়। ২০১৬ সালে তাকে এই শাস্তি দেয়া হয়েছিল। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্টের। ব্রিটেনে আনজেম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি উগ্রপন্থী সহিংস জঙ্গীদের নেটওয়ার্ক পরিচালিত হত। ২০১৩ সালে সেনাদের হত্যাকারী লী রিগবিকে তিনি রিক্রুট করেছিলেন। বর্তমানে আনজেম চৌধুরী তার শাস্তির অর্ধেক ভোগ করেছেন। তাকে এখন বাকি শাস্তি কঠোর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে পার করতে হবে। পুলিশ এখন তাকে ২৫টি ধাপে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি সন্ত্রাসী হামলার জন্য কাউকে সংগঠিত না করলেও তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বিপজ্জনক উগ্রপন্থী ব্যক্তিদের একজন হিসেবে অভিযোগ রয়েছে। মেট পুলিশের প্রধান রিচার্ড ওয়াল্টন তাকে একজন শতভাগ বিপজ্জনক সন্ত্রাসী হিসেবে অভিহিত করেছেন। ইংল্যান্ডে তার ইসলামিক উগ্রপন্থা অবস্থা সৃষ্টির ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী একজন অপরাধীকে তার শাস্তি ভোগ করার মাঝামাঝি সময়ে মুক্তি দেয়া হয়। বাকিটা তাকে কমিউনিটির মধ্যে পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে থাকতে হয়। তার পুরোপুরি মুক্তি হয় না। তবে তাকে কিছু শর্তের অধীনে থাকতে হয়। যদি তিনি তা লঙ্ঘন করেন তাকে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশ ও এম-১৫ সহ বেশ কয়েকটি সংস্থা আনজেম চৌধুরীকে পর্যবেক্ষণ করবে। তাকে এখন একটি প্রোবেশন হোস্টেলে ছয়মাস থাকতে হবে। সেখানে তাকে যে বিষয়গুলো মানতে হবে তা হচ্ছে- তিনি কোন মসজিদে ইমামতি বা নামাজ পড়াতে পারবেন না। কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে তিনি নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। একটি মাত্র ফোন পাবেন ব্যবহার করার জন্য। অনুমতি ছাড়া কোন ইন্টারনেট সংযোগ বা ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না তিনি। ইন্টারনেট ব্যবহার করলে তা অবশ্যই পর্যবেক্ষণ করা হবে। অনুমতি ছাড়া ব্রিটেন ত্যাগ করতে পারবেন না। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের তত্ত্ববধানে সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে এ সপ্তাহের শুরুতে তার সম্পদ বাজেয়াফত করা হয়েছে। এর মানে হল তাকে চরমভাবে আর্থিক নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে চলতে হবে। তিনি কোন ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খুললে বা অর্থ সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দেয়া হবে। ব্রিটিশ প্রধামন্ত্রী টেরেসা মে বৃহস্পতিবার বলেছেন যে, এ ধরনের অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, কারাগার ও পর্যবেক্ষণ সংস্থার লোকজনের উল্লেখযোগ্য অভিজ্ঞতা রয়েছে।
×