ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় অব্যাহত থাকবে ॥ ইকুয়েডর

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ৭ অক্টোবর ২০১৮

এ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় অব্যাহত থাকবে ॥ ইকুয়েডর

উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান এ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিলো ইকুয়েডর। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোস ভ্যালেন্সিয়া এ্যামোরেসকে উদ্ধৃত করে রুশ বার্তা সংস্থা স্পুটনিকের অনলাইন ভার্সনে এই খবর জানানো হয়েছে। ইকুয়েডরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ্যাসাঞ্জের প্রত্যক্ষ আলোচনার মধ্যদিয়ে তার বিষয়টি মীমাংসা করা হবে। -খবর ইয়াহু নিউজের বিশ্বজুড়ে ক্ষমতা উন্মোচনকারী বিকল্প সংবাদ মাধ্যম উইকিলিকসের এডিটর-ইন-চীফ জুলিয়ান এ্যাসাঞ্জ রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে ২০১২ সাল থেকে লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে বাস করছেন। সুইডেনে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠার পর সে বছর জুন থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসের আশ্রয়ে আছেন তিনি। তবে ধর্ষণের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন এ্যাসাঞ্জ। তার আশঙ্কা, সুইডেনে গেলে সুইডিশ সরকার তাকে গ্রেফতার করে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে প্রত্যর্পণ করবে। আর যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বিচারের নামে মৃত্যুদ- দেবে। জুনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মরেনো এ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয়ের সুরক্ষার অবসান ঘটাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। তবে এখনও সেরকম কোনও খবর জানা যায়নি। এমন সময়ে সংবাদ মাধ্যম ইউনিভার্সোকে জোস ভ্যালেন্সিয়া এ্যামোরেস বলেন, ‘একজন রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে এ্যাসাঞ্জের স্ট্যাটাস বলবৎ রয়েছে।’ তিনি জানিয়েছেন, এ্যাসাঞ্জের ইস্যুটি তার আইনজীবীর সঙ্গে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের প্রত্যক্ষ সাক্ষাতকারের মধ্য দিয়ে নিষ্পত্তি করা হবে। চলতি বছরেই এ্যাসাঞ্জের ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ কেটে দেয় দূতাবাস কর্তৃপক্ষ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নীতিতে হস্তক্ষেপ করে এমন বার্তা আদান-প্রদান করছিলেন তিনি। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মরেনো জানান, জুলিয়ান এ্যাসাঞ্জকে অবশ্যই ইকুয়েডরের লন্ডন দূতাবাস ছাড়তে হবে বলে। মরেনো বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি না যে এ্যাসাঞ্জ হ্যাকার।
×