ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভুটানকে হারিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে বাংলাদেশের মেয়েরা

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ৬ অক্টোবর ২০১৮

   ভুটানকে হারিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে  বাংলাদেশের মেয়েরা

জাহিদুল আলম জয় ॥ আরও একটি স্বর্ণালি সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশের সোনার মেয়েরা। দুর্দান্ত সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ভুটানে চলমান সাফ অনুর্ধ-১৮ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবলে শিরোপা থেকে আর মাত্র এক জয় দূরে মৌসুমী, স্বপ্না, মারিয়ারা। শুক্রবার রাতে ভুটানের রাজধানী থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে স্বাগতিক ভুটানকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশের তরুণীরা। অপ্রতিরোধ্য জয়ে বাংলাদেশের হয়ে গোল করেন সানজিদা আক্তার, মিশরাত জাহান মৌসুমী, কৃষ্ণা রানী সরকার ও শামছুন্নাহার সিনিয়র। এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে ভারতকে ভাগ্যনির্ধারণী টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে নেপাল। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের খেলা ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকার পর পেনাল্টি শূটআউটে ভাগ্য নির্ধারণ করা হয়। যে কারণে রবিবার ফাইনালে নেপালের বিরুদ্ধে খেলবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এই হিমালয় কন্যাদের হারিয়েই ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলার মেয়েরা। এবার ফাইনালে সেই তাদেরই প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে বাংলার বাঘিনীরা। নেপাল ফাইনালে যাওয়ায় প্রতিশোধের মোক্ষম সুযোগ পাচ্ছে না মারিয়া, মৌসুমী, আঁখিরা। গত আগস্টে এই একই ভেন্যুতে সাফ অনুর্ধ-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের মেয়েদের কাছে ০-১ গোলে হেরে শিরোপা হারিয়েছিল বাংলার কিশোরীরা। ওই দলের প্রায় অর্ধেক ফুটবলার এবারের অনুর্ধ-১৮ দলে খেলছে। যে কারণে ভারতীয়দের বিরুদ্ধে মধুর প্রতিশোধ নিয়ে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন বুনছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু সেমিতে ভারতের বিদায়ে সেটা আর হলো না। সেমির লড়াইয়ে ভুটানের বিরুদ্ধে পুরো ম্যাচে একতরফা প্রাধান্য বিস্তার করে খেলে বাংলাদেশের তরুণীরা। গোল পেতেও খুব বেশি বিলম্ব হয়নি। দ্বিতীয় মিনিটেই সানজিদা আক্তারের গোলে এগিয়ে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা (১-০)। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে (৪৫+৩ মিনিটে) ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাংলার বাঘিনীরা। কর্নার থেকে বক্সের মধ্যে সৃষ্ট জটলা থেকে পাওয়া বল জালে পাঠান অধিনায়ক ও মিডফিল্ডার মিশরাত জাহান মৌসুমী (২-০)। বিরতির পরও আধিপত্য ধরে রেখে খেলে ছোটনের শিষ্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় ৬০ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করেন কৃষ্ণা রানী সরকার। ৮৬ মিনিটে ভুটানের জালে এক হালি গোল নিশ্চিত করেন শামছুন্নাহার সিনিয়র। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, মেয়েদের পারফর্মেন্সে আমি খুশি। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ফাইনাল খেলা। সেটা পূরণ হয়েছে। এখন আমাদের মনোযোগ শুধুই ফাইনাল ঘিরে। প্রতিপক্ষ নেপাল অনেক ভাল দল। তবে আমরা এখন শুধুই শিরোপা নিয়ে ভাবছি। আসরে এখন পর্যন্ত অপরাজিত আছে বাংলাদেশ। গ্রুপপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ১৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালের টিকেট কেটেছিল লাল-সবুজদের উজ্জীবিত মেয়েরা। এরপর নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপসেরা হয় বাংলাদেশ। এই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ফাইনালও নিশ্চিত হয়েছে। এবার বাংলার বাঘিনীদের মিশন ফাইনালে জিতে ট্রফি নিয়ে দেশে ফেরা।
×