ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

গোবিন্দগঞ্জে সম্ভাব্য প্রার্থীর ব্যাপক গণসংযোগ

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

গোবিন্দগঞ্জে সম্ভাব্য প্রার্থীর ব্যাপক গণসংযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২৯ সেপ্টেম্বর ॥ গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের পক্ষে ব্যাপক নির্বাচনী তৎপরতার মাধ্যমে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে বর্তমান সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ জনসংযোগ, র‌্যালি ও বিভিন্ন এলাকায় মতবিনিময় সভা করে নির্বাচনী তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন। এতে গোবিন্দগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা প্রতীক সম্পর্কে ভোটারদের মধ্যে এক গণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছে। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় পদপ্রার্থীদের মধ্যে অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদকে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে মনোনয়ন প্রাপ্তদের মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এবং সেই লক্ষ্য নিয়েই তিনি এগিয়ে চলেছেন। শনিবার আবুল কালাম আজাদ নৌকা প্রতীকের পক্ষে গোবিন্দগঞ্জের তালুককানুপুর ইউনিয়নের বাজার এলাকা, দরবার ইউনিয়নের বিশুবাড়ি, বগুলাগাড়িসহ বিভিন্ন গ্রামে এলাকাবাসীর ভোটারসহ সর্বস্তরের নারী-পুরুষের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাত করেন ও তাদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেন এবং তাদের সঙ্গে ব্যাপক জনসংযোগ করেন। এছাড়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ওই সমস্ত এলাকার গ্রামীণ সড়ক দিয়ে র‌্যালিও করেন। এর পাশাপাশি তিনি গোবিন্দগঞ্জের বগুলাগাড়ি, নলডাঙ্গা, গোবিন্দপুর গ্রামের জন্য নতুন বিদ্যুত লাইন সংযোগের উদ্বোধন করেন। এসব এলাকার মানুষ ইতিপূর্বে বিদ্যুত থেকে বঞ্চিত ছিল। বর্তমান সরকার শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুত স্লোগান কাজে লাগিয়ে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বিদ্যুতসংযোগ প্রদানের মাধ্যমে মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করেন। অপরদিকে দরবস্ত ইউনিয়নের কাটাখালি, বালুয়া, কালিতলা, হাতিয়াদহ, বিরামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় আগে যেখানে যাতায়াতে উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় নানা সমস্যার সঙ্কটে পড়ত মানুষ। এ সমস্ত এলাকায় আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য তার সময়কালে নতুন সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করেন। জেলা বিএনপির নয়া কমিটি বাতিল দাবি অন্যদিকে, জেলা বিএনপির উপদেষ্টাসহ ২৩৪ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষিত হওয়ায় দলের ত্যাগী, যোগ্য ও পদবঞ্চিত সিনিয়র নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। শনিবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তারা দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অসম্মান করে বাদ দিয়ে অদক্ষ, অযোগ্য ও অনভিজ্ঞদের ওই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার তীব্র প্রতিবাদ জানান। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে ঘোষিত জেলা কমিটির অসঙ্গতি দূর করে বাদপড়া নেতৃবৃন্দ সঠিক পদমর্যাদায় অন্তর্ভুক্ত করে একাধিক পদ প্রাপ্তদের পদসহ অযোগ্য অদক্ষদের জেলা কমিটি থেকে বাতিলের দাবি জানান। এ বিষয়ে তারা বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে শহর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাকিল ইসলাম পাপুল ৩৫ নেতাকর্মী স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, গাইবান্ধা জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের অর্থ বাণিজ্য, প্রতিহিংসা ও স্বজনপ্রীতির কারণে জেলার ত্যাগী, যোগ্য ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা এবং সিনিয়র নেতৃবৃন্দ পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন। তিনি আরও বলেন, আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নেয়ার কারণে অসংখ্য মামলার স্বীকার ২৭ জন নেতাকর্মীকে এই কমিটিতে চরমভাবে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট হামিদুল হক ছানা, গাইবান্ধা শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আমান উল্যা চৌধুরী সাজু, সহ-সভাপতি ফরহাদ আলম ডাবলু, সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি জামিরুল ইসলাম খন্দকার, সাদুল্যাপুর ডিগ্রী কলেজের সাবেক ভিপি সাজ্জাদ হোসেন পল্টন, শহর বিএনপি নেতা মুছা আহমেদ, ফরিদুল ইসলাম, ফরহাদ আলী প্রমুখ।
×