ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘অপশক্তি পরাজিত করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির বিজয় ধারা অব্যাহত রাখতে হবে’

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

  ‘অপশক্তি পরাজিত  করে মুক্তিযুদ্ধের  পক্ষশক্তির বিজয়  ধারা অব্যাহত রাখতে হবে’

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখতে হলে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে পরিপূর্ণতা দিয়েছেন তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনা। তাঁকে হত্যা করে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি ও প্রগতির চাকা স্তব্ধ করে দিতে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এসব ষড়যন্ত্রকারীর বিষদাঁত ভেঙ্গে দিতে হবে। যতদিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন শেখ হাসিনাও এদেশের মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। আজ ঐক্যবদ্ধভাবে শপথ নিতে হবে- বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের প্রগতির ধারাকে এগিয়ে নিতে সব ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। খালেদার জিয়ার নেতৃত্বাধীন অপশক্তিকে পরাজিত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭২তম জন্মদিনে শুক্রবার রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ‘নবীনদের দৃষ্টিতে শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নিতে তারা এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আরও বক্তব্য রাখেন দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিম-লীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ আরাফাত, শহীদ বুদ্ধিজীবী ডাঃ আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডাঃ নুজহাত চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাজাহারুল ইসলাম শয়ন এবং ইডেন মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সুরাইয়া খানম তমা। সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। সভাপতির বক্তব্যে আমির হোসনে আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে আজ পরিপূর্ণতা দিয়েছেন তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অথচ দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে শেখ হাসিনা বারবার মৃত্যু থেকে বেঁচে গেছেন। এতবার তার প্রাণনাশের চেষ্টা হয়েছে যে তার বেঁচে থাকারই কথা নয়। কিন্তু আল্লাহই তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্যই। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে। খালেদার জিয়ার নেতৃত্বাধীন অপশক্তিকে পরাজিত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এ জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি নিজেই বলেছেন, ‘জানি আমার পেছনে বুলেট। তবু আমি থামব না।’ তিনি থামছেন না, শত প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে দেশ এগিয়ে নিচ্ছেন। তিনি আজ বাংলাদেশের নন, আন্তর্জাতিক বিশ্বের মহান নেতা। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হলেই কেবল জাতীয় ঐক্য হয়। এদেশের সবচেয়ে বড় দল আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলকে বাদ রেখে কীভাবে জাতীয় ঐক্য হয়? মনে রাখবেন, দলছুট ও নীতিহীন ব্যক্তিদের মানুষ বিশ^াস করে না। আগামী কিছুদিনের মধ্যে দেখবেন কোন ঐক্য নেই। কারণ কারও সঙ্গে কারও মিল নেই। তাই আগামী নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনেই হবে। এই নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা পৃথিবীর কোন শক্তির নেই। মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেবল বুলেট ও বোমাই নয়, গ্রেনেড হামলারও শিকার হয়েছেন। মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করেই তিনি দেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে নিয়ে যাচ্ছেন। জাতির পিতা এদেশকে স্বাধীন করেছেন। আর তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্য মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনাকে কেন্দ্র করেই বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষ অন্ধকার পাড়ি দিয়ে আলোর পথে এগিয়ে চলেছে। স্বাগত বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির একটাই টার্গেট শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে হঠানোই তাদের টার্গেট। সব ষড়যন্ত্রও তাকে ঘিরেই। এই ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে হবে। অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, সব হারানোর বেদনা নিয়ে শেখ হাসিনা জলেস্থলে সর্বত্র দেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন, দেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তিনি তাঁর কন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে গর্ব করতেন। মাত্র সাড়ে ৯ বছরে তাঁর মেয়ে শেখ হাসিনা দেশকে কোথায় নিয়ে গেছেন সেটা দেখেই বঙ্গবন্ধু গর্বিত হতেন। ডাঃ নুজহাত চৌধুরী বলেন, প্রগতি, অগ্রগতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাংলাদেশ টিকিয়ে রাখতে হলে শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আসুন, সবাই আমরা তাকে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করি। উন্নয়ন, প্রগতি ও অগ্রগতির ধারাকে এগিয়ে নিতে আগামী নির্বাচনে সবাই তাকে ভোট দেবেন, তার দলকে ভোট দেবেন। তার নির্বাচিত প্রতিনিধিকেও ভোট দেবেন। কারণ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে দেশ আবারও অন্ধকারে তলিয়ে যাবে, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দেবে।
×