ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এশিয়া কাপে চোখ থাকবে যাদের ওপর

প্রকাশিত: ০৭:০৬, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

এশিয়া কাপে চোখ থাকবে যাদের ওপর

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মরুর দেশ আরব আমিরাতে বসেছে এশিয়ান ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এশিয়া কাপের ১৪তম আসর। এশিয়া তো বটেই দুই সপ্তাহ ধরে বিশ্বব্যাপী তাবত ক্রিকেটপ্রেমীর চোখ আটকে থাকবে দুবাই ও আবুধাবির দুটি স্টেডিয়ামে। পঞ্চাশ ওভারের ধুন্ধুমার লড়াইয়ে প্রতিষ্ঠিত চার পরাশক্তি ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গী আফগানিস্তান আর হংকং। দলগুলোতে অনেকেই আছেন যারা দৃশ্যপট বদলে দেয়ার সমর্থ্য রাখেন। তবে টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, পাকিস্তান উইলোবাজ ফখর জামান, লঙ্কান বিজাতীয় এ্যাকশনের অধিকারী পেসার লাসিথ মালিঙ্গা, অভিজ্ঞ আফগান মোহাম্মদ নবী, স্টাইলিশ ভারতীয় ব্যাটসম্যান মানীষ পা-ে এবং তরুণ হংকং ক্রিকেটার অংশুমান রাঠোর ওপর বিশেষ দৃষ্টি থকবে। সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ) ঃ টেস্ট ও ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ অলরাউন্ডার সুপার সাকিব বাংলাদেশ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও এশিয়া কাপেরই অন্যতম বড় তারকা। সাবেক গ্রেটদের অনেকে সেটি একবাক্যে স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশের হয়ে ১৮৮ ওয়ানডে খেলা সাকিব রান করেছেন ৩৫.৫০ গড়ে ৫৪৩৩, সেঞ্চুরি। আর উইকেট নিয়েছেন ২৩৭টি। ব্যাটিং কিংবা বোলিং নিজের দিনে একাই যে কোন প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করার ক্ষমতা রাখেন। তার ব্যক্তিগত সাফল্যের ওপর আসরে বাংলাদেশের অনেক কিছু নির্ভর করছে। ফখর জামান (পাকিস্তান) ঃ অল্পদিনেই ধারাবাহিক পারফর্ম করে পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ফখর জামান। গেল বছর জুনে অভিষেক হওয়ার পর মাত্র ১৮টি ওয়ানডেতে ১০৬৫ রান করেছেন তিনি, গড় ৭৬.০৭। সেঞ্চুরি ৩টি, যার মধ্যে একটি ডাবল সেঞ্চুরিও আছে। সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে ওয়ানডেতে ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করার রেকর্ড ২৮ বছর বয়সী এই বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের দখলে। লাথিস মালিঙ্গা (শ্রীলঙ্কা) ঃ লঙ্কান পেসার লাথিস মালিঙ্গা সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন গেল বছর সেপ্টেম্বরে। এরপর দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে তিনি। এশিয়া কাপে হাঠৎ করেই ডাক পেয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী এই পেসার। শ্রীলঙ্কার হয়ে ২০৪ ওয়ানডেতে ৩০১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এশিয়া কাপের এবারের আসরে নিজেকে আবার প্রমাণ করতে চাইবেন এক সময় লঙ্কান দলের এই অপরিহার্য পেসার। মোহাম্মদ নবী (আফগানিস্তান) ঃ এরই মধ্যে বিশ্ব ক্রিকেটে উদীয়মান শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে আফগানিস্তান। মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান ও মুজিব উর রহমানদের মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড় উপহার দিয়েছে দেশটি। দেশটি এ পর্যন্ত যে ১০১টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে যার সবগুলোতেই ছিলেন নবী। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ওয়ানডেতে ২৯.১২ গড়ে ২৩০১ রান ও বল হাতে ১০৯ উইকেট নিয়েছেন। সম্প্রতি আয়ারল্যান্ড সফরে ৩ ম্যাচের ওয়ানডেতে নিয়েছেন ৬ উইকেট। ব্যাটিং-বোলিংয়ে প্রতিপক্ষের জন্য যে কোন সময় হুমকি হয়ে উঠতে পারেন তিনি। মানীষ পা-ে (ভারত) ঃ ভারতীয় স্কোয়াডে মানীষ পা-ের অন্তর্ভূক্তি কিছুটা বিস্ময়কর। কারণ জাতীয় দলের হয়ে তার সাম্প্রতিক পারফর্মেন্স খুব একটা উল্লেখ করার মতো নয়। সর্বশেষ গেল বছরের ডিসেম্বরের পর আর জায়গা হয়নি ২৮ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের। তবে ভারতীয় ‘বি’ দলের হয়ে সম্প্রতি চার দলীয় টুর্নামেন্টে দারুণ পারফর্ম করে ফিরেছেন। চার ম্যাচে করেন ৩০৬ রান। প্রতি ম্যাচেই ছিলেন অপরাজিত। নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া তিনি। অংশুমান রাঠো (হংকং) ঃ এশিয়া কাপের এবারের আসরে চমক জাগানো দল হংকং। বাছাইপর্বে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে ঠাঁই করে নিয়েছে আইসিসি’র সহযোগী এই দেশটি। আর দলটিকে নেতৃত্ব দিয়ে তুলে এনেছেন অধিনায়ক অংশুমান রাঠো। টুর্নামেন্টে হংকং আন্ডারডগ হলেও ২০ বছর বয়সী অংশুমান আলো ছড়াতে পারেন এবার। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং রেকর্ড বেশ সমৃদ্ধই। হংকংয়ের হয়ে এ পর্যন্ত ১৬টি ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। যেখানে তার রান ৫২.৫৭ গড়ে ৯৪৯, সেঞ্চুরি একটি। এশিয়া কাপের বাছাইপর্বে ৫ ইনিংসেই করেছেন ২০৪ রান।
×