ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

পল্লবীতে যুবক হত্যা, চারজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 পল্লবীতে যুবক হত্যা, চারজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর পল্লবীতে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া আর চারজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, রাজধানীর পল্লবীর বারনটেক এলাকা থেকে সাইফুল ইসলাম (১৮) নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকালে পুলিশ ওই এলাকার একটি বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে। সাইফুল ওই এলাকায় থাকতেন। নিহতের বাবার নাম জহিরুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি শেরপুর সদর এলাকায়। পুলিশ জানায়, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কে বা কারা তাকে হত্যা করে সেখানে ফেলে গেছে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, সকালে স্থানীয়দের কাছে থেকে খবর পেয়ে পল্লবীর বারনটেক এলাকা থেকে সাইফুল নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে আসল ঘটনা জানা যাবে। তদন্ত করা হচ্ছে। বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে স্কুলছাত্রসহ দু’জনের মৃত্যু ॥ শনিবার সকালে পুরানো ঢাকার গেন্ডারিয়ায় বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে আমানউল্লাহ আমান (১১) নামে এক স্কুল পড়ুয়া শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃত আমান গেন্ডারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। ওই স্কুলের শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও ইমন ইসলাম জানায়, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে স্কুল গেটের বিপরীতে রাস্তার পাশে একটি গ্যাসের পাইপের ওপর বসে ছিল ৫ম শ্রেণী ছাত্র আমান। এ সময় পাশের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয় আমান। পরে সেখানে সে অচেতন হয়ে পড়েছিল। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের খালু আব্দুল খালেক জানান, সূত্রাপুর নতুন রাস্তার পাশে ৯৯/২ নম্বর বাসায় মা’য়ের সঙ্গে থাকত সে। তার বাবা মৃত বাদল আহমেদ। মা মুনিয়া বেগম বাসায় সেলাই মেশিনে কাজ করে। তার একমাত্র ছেলে আমান। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, বিকেলে তার লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে একই সময় শনিরআখড়ায় বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে রনি (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। সকাল ১০টার দিকে শনিরআখড়া ফ্লাইওভার ব্রিজের ওপরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ১১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রনিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী মোঃ রাহিদ ও হানিফ জানান, শনিরআখড়া ফ্লাইওভার ব্রিজের একটি স্থানে বৈদ্যুতিক তারের কাজ করছিলেন রনি। সেখানে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে রনি ফ্লাইওভারে নিচে পড়ে যান। পরে হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই যুবকের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তার স্ত্রী তানিয়া আক্তার জানান, নিহত যুবকের নাম রনি। বাবার নাম তোবারক হোসেন। গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে। পরিবার নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় থাকতেন। ইন্টারনেটের কাজ করতেন। গামের্ন্টস কর্মীর ঝুলন্ত লাশ ॥ অন্যদিকে শুক্রবার মধ্যরাতে বনানীর মহাখালীর বটতলা দক্ষিণ পাড়ার একটি বাসা থেকে আইভি আক্তার (১৮) নামের এক গার্মেন্টসকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের বাবার নাম আইয়ূব আলী। গ্রামের বাড়ি রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার মাছবাড়ি গ্রামে। পরিবারের সঙ্গে মহাখালী বটতলার দক্ষিণপাড়ার টিনসেড বাসায় থাকতেন তিনি। বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিশ্বজিৎ জানান, রাত দেড়টায় মহাখালীর বটতলা দক্ষিণ পাড়ার ওই বাসা থেকে আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো আইভি আক্তারের ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়। নিহত আইভির বোন আইরিন জানান, তেজগাঁও এলাকার একটি গার্মেন্টসে সহকারী হিসেবে চাকরি করতেন আইভি। রাতে গার্মেন্টস থেকে ফিরে নিজের রুমে গিয়ে গলায় ফাঁসি দেন তিনি। দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে তারা মরদেহ উদ্ধার করে। তবে কি কারণে আইভি গলায় ফাঁস দিয়েছে। তা জানাতে পারেননি আইরিন। সড়ক দুঘর্টনায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু ॥ শুক্রবার গভীররাতে পুরানো ঢাকার শ্যামপুর পোস্তগোলা এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ (২৭) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহত সোহাগ স্থানীয় শান্তা মরিয়ম ইউনিভার্সিটিতে ফ্যাশন ডিজাইনিং বিষয়ে পড়াাশোনা করত। নিহতের বন্ধু শুভ সরকার জানান, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে সোহাগ কেরানীগঞ্জ হাসনাবাদ থেকে পুরানো ঢাকার গেন্ডারিয়ার বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে পোস্তাগোলা ব্রিজের ওপরে একটি বেপোরোয়া ট্রাক পেছন থেকে তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে সোহাগ রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। ঘটনাস্থলের ঠিক পেছনে একটি সিএনজিতে ছিলাম আমরা। পরে সেখানে থেকে সোহাগকে দ্রুত উদ্ধার করে রাত ১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
×