স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ অস্ত্র ও গুলিসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় প্রায় পৌনে ২ ঘণ্টা কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করে এলাকাবাসী। তাদের দাবি সোহেলকে অস্ত্র দিয়ে আটক করা হয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, আটক সোহেলের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘেরাওয়ে অংশ নেয়া সমর্থনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জও করেছে। আটক সোহেলকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। আজ বুধবার রিমান্ডের শুনানি হবে।
আটক ব্যক্তির নাম সোহেল (৩৩)। তিনি দিনাজপুর শহরের দপ্তরীপাড়া মহল্লার মৃত রশিদ খালাসির ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ দু’টি মামলা রয়েছে। আটকের পরে আরও একটি অস্ত্র মামলা দিয়েছে পুলিশ।
দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ-উজ্জামান আশরাফ জানান, সোমবার রাত ৮টায় তিনিসহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার ও কোতোয়ালি থানার ওসি রেদওয়ানুর রহিমের নেতৃত্বে অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় শহরের পশ্চিম বালুয়াডাঙ্গা রেলব্রিজ এলাকার উচার মোড় থেকে সোহেলকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে আমেরিকার তৈরি একটি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এসময় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপর হামলা করে আটক সোহেলকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। তিনি জানান, সোহেলের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার মামলা রয়েছে। একই সঙ্গে ২০১৭ সালের একটি অস্ত্র আইনে দায়ের করা এজাহারভুক্ত আসামি সে।
রাত ৮ টার দিকে সোহেলকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়া হলে দপ্তরীপাড়া, হঠাৎপাড়া, পশ্চিম বালুয়াডাঙ্গা ও উচার মোড় এলাকার সোহেলকে আটকের প্রতিবাদে ৩ শতাধিক লোক কোতোয়ালি থানায় এসে হাজির হয়। রাত সাড়ে ৮ টা থেকে কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করে। তারা দাবি করে, সোহেলের কাছে কোন অস্ত্র ছিল না, তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। তবে পুলিশ বারবার ঘেরাওকারীদের সরে যেতে বললেও তারা সরে যায়নি। অবশেষে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে পুলিশ ঘেরাওকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। অবশেষে এলাকাবাসী চলে গেলে রাত ১০টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: