ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আয়ারল্যান্ড সফরে ‘এ’ দলের পারফর্মেন্স থেকে আশা দেখছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ॥ সাকিব শুরু থেকেই প্র্যাকটিসে যোগ দেবেন, সেই আশাও করছেন প্রধান নির্বাচক

ব্যাকআপ ক্রিকেটারের ঘাটতি পূরণের উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ১৯ আগস্ট ২০১৮

ব্যাকআপ ক্রিকেটারের ঘাটতি পূরণের উদ্যোগ

মিথুন আশরাফ ॥ আয়ারল্যান্ড সফরে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ক্রিকেটাররা। ওয়ানডে সিরিজ ২-২ ড্র করে টি২০ সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে। কয়েকজন ক্রিকেটারও নজর কেড়েছেন। আর এই ‘এ’ দলের ক্রিকেটারদের পারফর্মেন্স দেখে বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুও মহাখুশি। তার মনে হচ্ছে, ‘ব্যাকআপ ক্রিকেটারের ঘাটতি দ্রুত পূরণ হবে।’ জাতীয় দলে ব্যাকআপ ক্রিকেটারের যে ঘাটতি তা পূরণ করাতো জরুরীও। নান্নু শনিবার জানিয়েছেন, ‘সর্বোপরি ওখানে (আয়ারল্যান্ড সফরে) সবার পারফর্মেন্সই দেখা হয়েছে। সৌম্য সরকার সেখানে টি২০ ভাল খেলেছে। আফিফ (হোসেন) ভাল খেলেছে। বিশেষ করে আল-আমিনের পারফর্মেন্স নজরে এসেছে বেশি। পেস বোলারদের মধ্যে খালেদ (আহমেদ), শরিফুল (ইসলাম), (মোহাম্মদ) সাইফউদ্দিন ভাল বোলিং করেছে। সবমিলিয়ে আমাদের টোটাল পারফর্মেন্সের যে ফিডব্যাকটি আমরা চেয়েছিলাম সেটি আমরা পেয়েছি।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘আশাকরি সামনে জাতীয় দলে যে ঘাটতি থাকবে এখান থেকে আমরা তা পূরণ করতে পারব। ‘এ’ দলে যারা গিয়েছে তাদের সবারই সুযোগ থাকবে। যে কোন প্লেসে যাকে যখন দরকার হবে তখন তাকে সেই জায়গায় খেলানো হবে। ‘এ’ দলের যদি ধারাবাহিকভাবে আরও কয়েকটি প্রোগ্রাম থাকে তাহলে দেখবেন যে আমাদের যে ব্যাকআপ ক্রিকেটারের (জাতীয় দলে) ঘাটতি রয়েছে সেটি তাড়াতাড়িই পূরণ হয়ে যাবে।’ নান্নু সৌম্য, আফিফ, আল আমিন, খালেদ, শরিফুল, সাইফউদ্দিনের নাম উল্লেখ করেছেন। এ ক্রিকেটারদের মধ্যে এশিয়া কাপের জন্য ঘোষিত প্রাথমিক দলে আফিফ ও আল আমিন ছাড়া বাকিরা আছেন। সৌম্য টি২০ সিরিজে নিজ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৫ রান করেছেন। আফিফের অর্জন আয়ারল্যান্ড সফরে নজরকাড়া নয়। আনঅফিসিয়াল ওয়ানডে সিরিজে ১ ম্যাচ খেলে অপরাজিত ২ রান ও উইকেটশূন্যই শেষ হয় তার সিরিজ। টি২০ সিরিজে ৩ ম্যাচে ৩৮ রান ও বল হাতে ১ উইকেটের বেশি নিতে পারেননি। সেই তুলনায় আল আমিন আকর্ষণ কুড়িয়েছেন। ওয়ানডে সিরিজে ৫ ম্যাচে ১১০ রান করেন। টি২০ সিরিজে ৩ ম্যাচে ৩৮ রান করেন। খালেদ, শরিফুল, সাইফউদ্দিন তো মাতিয়ে দেন। খালেদ ওয়ানডে সিরিজে নিজ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০ উইকেট নিয়েছেন। শরিফুল ওয়ানডে সিরিজে ৭ উইকেট নেন। টি২০ সিরিজে ৩ উইকেট শিকার করেন। সাইফউদ্দিন তো টি২০ সিরিজে নিজ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯ উইকেট নিজের নামের পাশে লেখান। এ ক্রিকেটাররাই জাতীয় দলের ব্যাকআপ ক্রিকেটার হিসেবে ধরা দেবেন। এমন আশা প্রধান নির্বাচকের। সাকিব আল হাসান শেষ পর্যন্ত এশিয়া কাপে খেলবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। চোটাক্রান্ত আঙ্গুলে এশিয়া কাপের আগে অস্ত্রোপচার করার ইচ্ছা সাকিবের। নিজেই জানিয়েছিলেন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন চেয়েছেন, এশিয়া কাপটা খেলেই সাকিব অস্ত্রোপচার করুক। আবার সাকিবের কাঁধেই সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে প্রধান নির্বাচক সাকিবকে ২৭ আগস্ট থেকে এশিয়া কাপের জন্য শুরু হতে যাওয়া জাতীয় দলের প্রস্তুতিতে দেখতে চান। তার আশা সাকিব প্রস্তুতিতে যোগ দেবেন। স্বাভাবিকভাবেই সাকিব এশিয়া কাপ খেলবেন, সেই আশাও করছেন প্রধান নির্বাচক। তিনি বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে তার সার্জারির ব্যাপারে কোন আপডেট নেই। সুতরাং এই বিষয়ে এখনই ভাবছি না আমরা। কারণ আমরা যখনই জানতে পারব যে সার্জারিটি কখন হবে তখনই চিন্তা করব। আমাদের ২৭ (আগস্ট) তারিখ থেকে প্রোগ্রাম (প্রস্তুতি) শুরু হবে। আশা করছি সে (সাকিব) আমাদের সঙ্গে যুক্ত হবে।’ দ্রুত জাতীয় দলের জন্য ব্যাকআপ ক্রিকেটারের ঘাটতি দূর হয় কিনা, সাকিব শুরু থেকেই অনুশীলনে থেকে এশিয়া কাপ খেলেন কিনা সেটিই এখন দেখার বিষয়।
×