ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

সাক্ষীদের ওপর ইউপি চেয়ারম্যানদের ঘামলা

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ১৩ আগস্ট ২০১৮

 সাক্ষীদের ওপর ইউপি চেয়ারম্যানদের ঘামলা

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ জেলার জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের ভিজিএফের চাল পাচারের ঘটনায় তদন্ত টিমের কাছে সাক্ষী দিতে এসে ইউপি চেয়ারম্যানের লোকদের লাঠিসোটায় হামলার শিকার হয়েছে বেশকিছু সাক্ষী। নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য সাক্ষীরা ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকে আশ্রয় নিতে গেলে সেখান হতে তাদের টেনে হিঁচড়ে বের করে বেধরক মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়। রবিবার দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে। এ সময় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় তদন্তে ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাব বিস্তার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, সরকারের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচী আওতায় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ভিজিএফ কার্ডধারীরা এবার ১০ কেজির পরিবর্তে ২০ কেজি করে চাল পাবে। নীলফামারী জেলার ছয় উপজেলার ৬০ ইউনিয়ন ও ৪ পৌরসভায় ভিজিএফের চাল বিতরণের জন্য ৪ লাখ ৪ হাজার ৩১৫ কার্ডধারী পরিবারের জন্য ৮ হাজার ৮৬ দশমিক ৩০০ টন চাল বরাদ্দ দেয়। এর মধ্যে জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের জন্য ৬ হাজার ৩৭৫ কার্ডের বিপরীতে ১২৭ দশমিক ৫০০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার জলঢাকা উপজেলার সরকারী খাদ্যগুদাম থেকে ধর্মপাল ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান ওই ভিজিএফের চাল উত্তোলন করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসার পথে চাল বহনের একটি ট্রাক্টরের ট্রলি ৩০ কেজি ওজনের ২৪৬ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রির জন্য পাচারে পার্শ্ববর্তী ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী বাজারে যায়। সেখানে স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তা আটক করে। খবর পেয়ে ডোমার থানা পুলিশ ট্রাক্টরের ট্রলিতে থাকা উক্ত চালের বস্তাগুলো জব্দ করে থানায় নেয়। ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে ও ১১ আগস্ট দৈনিক জনকণ্ঠসহ বিভিন্ন পত্রিকায় তা প্রকাশ পেলে প্রশাসনের পক্ষে একটি তিন সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করে দেয়া হয়। তদন্ত টিমের আহ্বায়ক জলঢাকা উপজেলা প্রকৌশলী দফতরের উপজেলা প্রকৌশলী হারুন আর রশীদ ও অপর দুই সদস্য একই উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আতাউর গণি ওসমানী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান রবিবার বেলা ১২টার দিকে ধর্মপাল ইউনিয়ন পরিষদে ঘটনা তদন্তে উপস্থিত হন।
×