ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাপানে এ পর্যন্ত ৮৬ জনের মৃত্যু

বিভিন্ন জলবায়ু অঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রা বৃদ্ধি

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ১২ আগস্ট ২০১৮

 বিভিন্ন জলবায়ু অঞ্চলে রেকর্ড  পরিমাণ তাপমাত্রা বৃদ্ধি

চলতি বছর বসন্ত ও গ্রীষ্মকালে বিভিন্ন জলবায়ু অঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে চলতি বছর মে ও জুন মাসে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। জাপানে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে অন্তত ৮৬ জন মারা গেছে সাহারা অঞ্চলের সীমান্তবর্তী অংশ এবং উত্তর মেরু এলাকায় স্থাপিত তাপমাত্রা গ্রাহক যন্ত্রগুলো সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। নিউইয়র্ক টাইমস। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যই তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে গেল? আবহাওয়াবিদ ও গবেষকরা প্রশ্নটির উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন। শুক্রবার প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ওয়েদার এ্যাট্রিবিউশনের এক প্রকল্প সমীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয, মানবিক কর্মকান্ডের ফলে জলবাযু পরিবর্তন না ঘটে থাকলে ইউরোপের উত্তরাঞ্চলে তাপ প্রবাহ বর্তমানের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি উত্তপ্ত হতো। সমীক্ষার বিষয়বস্তু ছিল মূলত ইউরোপের তাপমাত্রাকে ঘিরে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, কেবলমাত্র গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ বেড়ে যাওয়ায় তাপপ্রবাহ এত তীব্র ও ঘনঘন হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। ওয়ার্ল্ড মেটেরলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের উপপ্রধান এলেনা মানেনকোভা বলেন, চলতি বছর অনেক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বিষয়টিকে জলবায়ু পরিবর্তনের দিক থেকে দেখা ঠিক হবে না। এবার তাপমাত্রা বিশ্বের কোন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলেই কেবল বাড়েনি। বেড়েছে বিভিন্ন অঞ্চলে। ৫ জুলাই সাহারা মরুভূমির প্রান্তীয় এলাকা আলজিরিয়ার উয়ার্গলা শহরে ১২৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপমাত্রা রেকর্ড করে দেশটির জাতীয় আবহাওয়া সার্ভিস। এমন তাপমাত্রা ওই অঞ্চলের জন্য একটি রেকর্ড। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা কখনও এত গরম দেখেননি। দক্ষিণ চীন সাগরে তীর ঘেঁষে হংকংয়ের অবস্থান। এ বছর মে মাসে টানা ১৫ দিন সেখানে তাপমাত্রা ৯১ ডিগ্রী ফারেনহাইট ছিল। ১৮৮৪ সাল থেকে সেখানে আবহাওয়ার হিসাব রাখা হয়ে আসছে। এর মধ্যে এটি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া দফতর। প্রচ- গরমের মধ্যেই লোকজনকে যার যার কাজে যেতে হয়েছে। পাকিস্তানের নওয়াবশাহ শহরটি তুলা উৎপাদনের জন্য পরিচিত। এপ্রিলে সেখানকার তাপমাত্রা ১২২ ডিগ্রী ফারেনহাইটে উঠেছিল। যদিও সেখানকার আবহাওয়া স্বাভাবিকভাবে উষ্ণ কিন্তু এত গরম সেখানে আগে পড়েনি। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, প্রচ- গরমে দিনের বেলা রাস্তাঘাট জনশূন্য হয়ে যেত। অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ রোগীদের দিয়ে হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো পরিপূর্ণ হয়ে যায়। উন্মুুুক্ত স্থানে আগুন ধরানো ও বার্বিকিউয়ের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নরওয়ের রাজধানী অসলোতে এ বছর মে থেকে জুলাই মাসে ১শ’ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৬ ডিগ্রী ফারেনহাইট রেকর্ড করা হয়েছে। বসন্তকালীন বৃষ্টি প্রতি বছর স্বাভাবিক নিয়মে হলেও এবার বৃষ্টিপাতও খুব বেশি হয়নি। অন্যদিকে সুইডেনের মতো শীত প্রধান দেশে দেখা গেছে দাবানল।
×