ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গার্মেন্টস কর্মী শিউলীর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন, বাস চালকসহ গ্রেফতার ৩

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১১ আগস্ট ২০১৮

 গার্মেন্টস কর্মী শিউলীর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন, বাস চালকসহ গ্রেফতার ৩

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর, ১০ আগস্ট ॥ চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে পড়ে গার্মেন্টস কর্মী শিউলী বেগমের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত গ্রামীণ শুভেচ্ছা পরিবহন (নম্বর ঢাকা মেট্রো ব ১৫-৩৬৩৭) বাসের চালকসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে মির্জাপুর থানা পুলিশ। আরিফ নামে শিউলীর এক সহকর্মী বাসের মধ্যে শ্লীলতাহানির সময় শিউলীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে ঘটনাস্থলেই বাসের চাকায় পিষ্ট হয় শিউলী । বৃহস্পতিবার রাত সোয়া আটটার দিকে মির্জাপুর থানায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আফসার উদ্দিন খান এ তথ্য জানিয়েছেন। যে বাসে ঘটনা সংঘটিত হয় সে বাসটি আটক করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। গ্রামীণ শুভেচ্ছা পরিবহন বাসের ড্রাইভার রুহুল আমীন ওরফে রনি শেখ বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল কোর্টে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন বলে সহকারী পুলিশ সুপার আফসার উদ্দিন খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। গ্রেফতারকৃতদের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। লিখিত বক্তব্যে আফসার উদ্দিন খান জানান, গত ২৬ জুলাই সকাল ৭টার দিকে শিউলী তার কর্মস্থল গোড়াই শিল্পাঞ্চলের কমফিট কম্পোজিট গার্মেন্টসে যাওয়ার জন্য তার বাড়ি সংলগ্ন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পুষ্টকামুরী চরপাড়ায় বাসের জন্য অপেক্ষা করেন। টাঙ্গাইল থেকে চন্দ্রাগামী একটি খালি বাস থামালে শিউলী ও তার সহকর্মী আরিফ ওই বাসে ওঠেন। বাসটি কিছুদূর যাওয়ার পর আরিফ শিউলীর সিটে গিয়ে বসেন। এ সময় আরিফ শিউলীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হলে শিউলী বেগম বাসের ভেতর থেকে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকেন। এক পর্যায় আরিফ শিউলীকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাওয়ার কুমারজানী নামক স্থানে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান শিউলী। বাসটি আশুলিয়া থানার বারইপাড়া থেকে জব্দ করার পর মির্জাপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাসের ড্রাইভার রনি শেখ ও তার ছোট ভাই হেলপার সোহেল রানা ওরফে রানা শেখকে গ্রেফতার করে। রনি শেখকে রানা নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার পাংখার চর গ্রামের মুক্তার শেখের ছেলে। শিউলীর সহকর্মী আরিফ মির্জাপুর উপজেলা সদরের চরপাড়া গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে। অন্যদিকে আরিফের পরিবারের সদস্যরা আরিফকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, আরিফ ঘটনার আগেই অন্য একটি গাড়িতে সুরাইয়া ও রাশেদা নামে দুই গার্মেন্টস কর্মীর সঙ্গে তার কর্মস্থলে যোগদান করেছেন।
×