ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শুদ্ধাচারে পুরস্কার পাবেন ব্যাংকের কর্মকর্তারাও

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ১০ আগস্ট ২০১৮

শুদ্ধাচারে পুরস্কার পাবেন ব্যাংকের কর্মকর্তারাও

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শুদ্ধাচার চর্চার জন্য ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও পুরস্কার প্রদান করা হবে। পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা এবং সততার নিদর্শনসহ ২০টি সূচকের ওপর ভিত্তি করে প্রতি পঞ্জিকাবর্ষে এ পুরস্কার দেয়া হবে। এক্ষেত্রে শতকরা ৮০ নম্বর পেলেই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হবেন। পুরস্কার হিসেবে নির্বাচিতদের একটি সার্টিফিকেট এবং এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ দেয়া হবে। বুধবার দেশের সব তফসিলী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান’ শীর্ষক এ নীতিমালা ২০১৮ সাল থেকেই কার্যকর হবে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় : জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল’ শিরোনামে ২০১২ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল মন্ত্রিসভা-বৈঠকে অনুমোদিত হয়। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের রূপকল্প ‘সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা’ এবং অভিলক্ষ্য ‘রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা’। এ কৌশল বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় শুদ্ধাচার উপদেষ্টা পরিষদ এবং অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের নির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। জাতীয় শুদ্ধাচার উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে নৈতিকতা কমিটি গঠিত হয়েছে। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান শুদ্ধাচার কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে। ওই কর্ম-পরিকল্পনায় অন্যান্য কর্মকা-ের সঙ্গে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদানের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। শুদ্ধাচার চর্চায় সরকারের কার্যক্রমের সামান্তরালে দেশের তফসিলী ব্যাংকগুলোতেও অনুরূপ কার্যক্রম গৃহীত হয়েছে। এছাড়া সব ব্যাংকে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নৈতিকতা কমিটি গঠন, ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংক হতে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এমতাবস্থায় শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুরস্কার প্রদানের উদ্দেশে এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। কাক্সিক্ষত হারে ইবিআইএন নেয়নি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ তিন দফা সময় বাড়ানো হলেও কাক্সিক্ষত হারে ইলেক্ট্রনিক ব্যবসা শনাক্তকরণ নম্বর- ইবিআইএন নেয়নি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের হিসাবে, এখন পর্যন্ত মাত্র ১ লাখ ১৫ হাজার ব্যবসায়ী অনলাইনে নিবন্ধন নিয়েছেন অথচ ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে সাড়ে ৮ লাখ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন এ কার্যক্রমের যথাযথ প্রচার চালায়নি এনবিআর। তাই নিবন্ধনের সময় আরও বাড়ানো উচিত। তবে ডিসেম্বর নাগাদ এ কার্যক্রমের সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। কর অফিস মানেই কাগজ আর ফাইলের বোঝা এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে এনবিআর। এই যেমন ২০১৭ সালের মার্চ মাসে অনলাইন ভ্যাট নিবন্ধন কাজ শুরু করে এনবিআর। যার মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা ঘরে বসেই অনলাইনে ভ্যাট পরিশোধ করতে পারবেন।
×