ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৪৮ বছরেও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা পাননি নকুল চন্দ্র

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ২৮ জুলাই ২০১৮

  ৪৮ বছরেও শহীদ  মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা  পাননি নকুল  চন্দ্র

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ২৭ জুলাই ॥ স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা পাননি সদর উপজেলার গয়েশপুরের পাকবাহিনীর হাতে নির্মমভাবে নিহত মুক্তিযোদ্ধা নকুল চন্দ্র সাহা। তার স্ত্রী শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি আদায়ে দীর্ঘকাল অপেক্ষা করলেও আজও পাননি। জানা গেছে, নকুল কুমার সাহার নেতৃত্বে এলাকার একদল মুক্তিযোদ্ধা শহরের টেলিফোন ভবনে পাক সেনার সঙ্গে জনতার সম্মুখযুদ্ধে শরিক হন। এরপর ১৮ জুন গয়েশপুরের বাড়ি থেকে পাকসেনারা তাকে ধরে নিয়ে গয়েশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে বেল গাছের সঙ্গে বেঁধে গুলি করে হত্যা করে। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা পাননি তিনি। এলাকার সাধারণ মানুষ গয়েশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নকুল চন্দ্র সাহার স্মৃতি রক্ষার্থে স্মৃতিসৌধ নির্মাণও করেন। এ স্মৃতিসৌধটি আজ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সেদিনের স্মৃতি স্মরণ করে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নকুল চন্দ্র সাহার স্ত্রী ঝর্ণা রানী সাহা জানান, তিনি গরু নিয়ে পাশের গ্রামে গিয়েছিলেন। এ সময় তার স্বামীকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পাকসেনারা গাছের সঙ্গে বেঁধে গুলি করে হত্যা করে। তিনি জানান, ৪৮ বছর পার হলেও কেউ তাদের কোন সহায়তা দূরে থাক খোঁজ পর্যন্ত নেয়নি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, তার স্বামীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া জন্য অনেক বছর চেষ্টা করেও পাইনি। তিনি আরও জানান, তিনি কোন সাহায্য চান না তিনি চান তার স্বামী যে এদেশের জন্য জীবন দিয়েছেন এ স্বীকৃতি যেন দেশ তাকে দেয়। স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মোঃ আজিজ জানান, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নকুল চন্দ্র সাহার স্ত্রী ঝর্ণা রানী সাহা দীর্ঘকাল ধরে স্বামীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি আদায়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও এখন পর্যন্ত তাকে কেউ সহায়তা করেনি। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমজাদ হোসেন জানান, নকুল চন্দ্র সাহা ছিলেন খুবই সাহসী মুক্তিযোদ্ধা। পাবনা শহরের টেলিফোন ভবনে পাকহানাদার বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধের সময় এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা তার নেতৃত্বে শহরে এসেছিল। তিনি নকুল চন্দ্র সাহার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতির জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
×