ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় ভুল চিকিৎসায় ছাত্রের মৃত্যু ॥ বিক্ষোভ ক্লিনিক সিল

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ২০ জুলাই ২০১৮

বগুড়ায় ভুল চিকিৎসায় ছাত্রের মৃত্যু ॥ বিক্ষোভ ক্লিনিক সিল

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়ায় বুধবার রাতে ডলফিন ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি অনুমোদনহীন ক্লিনিকে চিকিৎসা অবহেলার কারণে সাকিব হাসান (১৩) নামে সপ্তম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই স্কুলছাত্রের স্বজনার অভিযোগ করেছেন, ভুল চিকিৎসার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বগুড়া সিভিল সার্জন ও বিএমএ নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে যান। পরে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেয়া হয়। এ ঘটনায় সিভিল সার্জন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। বুধবার রাতে এপেনডিসাইটিস অপারেশন করার পর স্কুলছাত্রটি মারা যায়। পরে ওই ক্লিনিকের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা মৃতদেহ ফেলে পালিয়ে যায়। এমনকি রাতেই ক্লিনিক থেকে যন্ত্রপাতি ও কাগজপত্র সরিয়ে ফেলে ক্লিনিকের লোকজন সেটিতে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ঘটনার পর রোগীর স্বজনেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ক্লিনিকে গিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। নিহত সাকিব শহরের লতিফপুর ফয়েজুল্লাহ স্কুলের সপ্তম শ্রেণীতে পড়ত। সে ফুলদীঘি পূর্বপাড়ার আব্দুল আজিজের ছেলে। সাকিবের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বুধবার বিকেলে সাকিবের পেটে ব্যথা হলে তাকে ডলফিন ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। এর আগে একটি ক্লিনিকে তাকে নেয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা পরিবারের লোকজনকে জানায়, পরে অপারেশন করলেও চলবে। তবে সেখান থেকে পরিবারের লোকজন তাকে শহরের শেরপুর রোডে নতুন চালু হওয়া ডলফিন ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে এস কে পাল পরিচয়ের এক চিকিৎসক তার অপারেশন করে। সাকিবের পরিবারের অভিযোগ, অপারেশন থিয়েটারে সে মারা গেলেও ডাক্তার ও নার্সরা সেটা গোপন রেখে পালিয়ে যায়। পরে তার স্বজনরা দ্রুত অন্য একটি ক্লিনিকে তাকে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, আগেই সাকিবের মৃত্যু হয়েছে। অপারেশনকারী চিকিৎসক এসকে পাল দাবি করেছেন, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে ছেলেটির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তিনি সফল অপারেশন করেছিলেন। দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিভিল সার্জন সামছুল হকসহ বিএমএ নেতৃবৃন্দ ঘটাস্থলে যান। সিভিল সার্জন জানান, সেখানে মেডিক্যাল যন্ত্রপাতিসহ অন্যকোন কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। ক্লিনিক স্থাপনের অনুপযোগী স্থানে ক্লিনিকটি অনুমোদন ছাড়াই ৩/৪ মাস ধরে পরিচালিত হচ্ছিল বলে জানতে পেরেছেন। তিনি জানান, ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ নিজস্ব সংবাদদাতা গোপালগঞ্জ, থেকে জানান, গোপালগঞ্জ আড়াই’শ বেড জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারের অবহেলায় রাবেয়া (২৭) নামে এক রোগীর মৃত্যু ঘটেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। রাবেয়া নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কামথানা সিকদারপাড়া গ্রামের আব্বাস উদ্দিনের স্ত্রী। আব্বাস উদ্দিন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ৭ দিন আগে তার স্ত্রী রাবেয়ার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে প্রথমে গোপালগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে চিকিৎসা করান। কিন্তু সেখানে তেমন উন্নতি না হওয়ায় সেখান থেকে তাকে গোপালগঞ্জ আড়াই’শ বেড জেনারেল হাসপতালে ভর্তির পরামর্শ দিলে ১৭ জুলাই রাত সোয়া ৯ টার দিকে তাকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু ভর্তির পর থেকে হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তাররা ইন্টার্ন ডাক্তারদের দিয়ে তার রোগীকে নামমাত্র চিকিৎসা দেন।
×